নিপুন জাকারিয়া:—
বাংলাদেশ স্কুল ছাত্র কার্যনির্বাহী সংসদের লগো ব্যবহার করে, শফিকুল ইসলাম সাকিব নামের এক প্রতারক, বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি গঠন করেছে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কাজ থেকে তুলছেন সংগঠনের জন্য চাদাঁ। কোন স্কুলে ছাত্রদের বেতন ও রেজিষ্টেশন এবং ফরম পূরনে সমস্যা হলে আনন্দোলনের ডাক দিতেন এ প্রতারক নেতা। পরে জাতির বিবেক, শিক্ষকদের কাজ থেকে চাহিদা অনুযায়ী টাকা নিয়ে, ম্যানেজ করতো সে।
শফিকুল ইসলাম সাকিবের প্রতারনা হার মানায়, সব কিছুকেই। শিক্ষা মন্ত্রী, ড়া.দিপু মনির সাক্ষর জাল করে, ও ছবি কম্পোজ করে, নিজ কমিটিসহ গঠন করেছেন, শতাধিক কমেটি। সেখানে বিভিন্ন মন্ডলীর চেয়ারম্যান ও সমন্নয়কারী করা হয়েছে, নামী দামী রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যাক্তিবর্গদের। তাদের সাথে তুলেছেন একাধিক ছবি। তার দাপটে ও কৌশলে কাছে, রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গকে হাতিয়ার বানিয়ে, এই প্রতারক নবম শ্রেনীর ছাত্র হয়েও ভাগিয়ে নিয়েছেন, ছাত্রলীগের মতো সুনামধন্য সংগঠন, জামালপুর শহর ছাত্রলীগের পদ।
জনমনে প্রশ্ন, এত কিছু করার আগে তার সম্পর্কে খোজঁ নিল না কেউ কোন স্বার্থে। যাদের নাম তার কমিটির পরিচালনা পরিষদে দিয়েছিলেন, তারা কোন যুক্তিতে সেই কমিটি সম্পর্কে কেন্দ্রে কোন খোজঁ না নিয়েই কমিটিতে সামিল হলেন। এত দিন সুক্ষ প্রতারনার মাধ্যমে, জামালপুরে বিভিন্ন ইউনিয়ন তথা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ধোঁকা দেওয়ার সুযোগ পেলো, এই বাটপার। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কয়েক জনের সাথে কথা বললে তারা জানান, প্রতারক বাটপার শফিকুল ইসলাম সাকিবকে আইনের আওতায় আনা হবে কি? নাকি থেমে যাবে কারো অদৃশ্য ইশারায়।