শাহরিয়ার খানঃ
চাঁদপুরে লকডাউনের চতুর্থ দিনেও কঠোর অবস্থানে রয়েছে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মাঠে রয়েছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগন, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা।
লকডাউনে সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করা এবং ভোক্তা অধিকার আইন লঙ্ঘন করে যারা বাহিরে বের হচ্ছে তাদেরকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মামলা দিয়ে অর্থদণ্ড আদায় করা হচ্ছে।
লকডাউনের চতুর্থ দিনেও চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত করা হয়।
৪ জুলাই রবিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সর্বমোট ২২ টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। চাঁদপুর শহরের কালীবাড়ি শপথ চত্বর এলাকা, পালবাজার গেট, বাস স্ট্যান্ড, চেয়ারম্যান ঘাটা, ওয়ারলেস বাবুরহাট সহ বিভিন্ন স্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগন।
এতে যারা লকডাউন অমান্য করে বিনা কারণে বাইরে বের হয়েছে এবং যারা দোকানপাট খোলা রেখেছেন তাদের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য ও দণ্ডবিধির ২৬৯ ধারায় ১৬৭ টি মামলায় ১,২৯,১৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। আর এসব তথ্য চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে জানা গেছে।
এসময় লকডাউন অমান্য করে যারা বিনা কারণে বাইরে বের হয়েছে তাদেরকে আলাদা আলাদাভাবে মামলা দিয়ে অর্থদন্ড আদায় করা হয়েছে।
চাঁদপুর বাবুরহাট পেন্নাই সড়কের মোড়ে পুলিশ প্রশাসন চেকপোস্ট বসিয়ে বহিরাগত গাড়ি মোটরসাইকেল তল্লাশি করে কাগজপত্র জটিলতা মামলা করেন। এছাড়া যারা ঘর থেকে বিনা কারণে বের হয়েছেন তাদেরকে সচেতন করার জন্য পুনরায় ফিরিয়ে দিয়েছেন।
এসময় বাবুরহাট চেকপোষ্টে অবস্থান নেন চাঁদপুর মডেল থানার এসআই সুমন ও এএসআই সাকোয়াত এবং ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট সুব্রত।
চাঁদপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল আসিফ মহিউদ্দীন জানান, সরকার ঘোষিত সাত দিনের লকডাউন চতুর্থ দিনে জনসচেতনতা জন্য পুলিশ যা যা করা দরকার সবটুকু করেছে। যারা বিনা কারণে ঘর থেকে বের হয়েছে তাদেরকে বুঝিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশ প্রশাসন কঠোর ভূমিকা রয়েছে। করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বগতি দমন করতে পুলিশ প্রশাসন সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে।