মোহাম্মদ ইয়াছিনঃ বীরমুক্তিযুদ্ধা সুজায়েত উল্যাহর সুযোগ্য সন্তান মরহুম
শহিদ হত্যার ১৫ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো বিচার কার্যক্রম চলছে আর চলছে।
বিচার কত দূর?
২০০৩ সালে নিষ্টুর ভাবে ছাত্রলীগ নেতা শহিদকে হত্যা করা হয়েছে । একটি
স্বাধীন বাংলাদেশে একজন মুক্তিযুদ্ধার সন্তানকে হত্যা করা কত নিষ্টুর
বিষয় বলে সর্বপেশার মানুষ আলোচনা করেন। এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর মুক্তিযুদ্ধা
সংসদ সন্তান কমান্ড সূত্রে জানা যায়, আমাদের পিতারা কি দেশ স্বাধীন
করেছে । আমরা এখন নিরাপদ নই?
আমাদের ভাই শহিদকে হত্যা করা হয়েছে। প্রায় ১৫ বছর হলেও এখনো হত্যার
বিচার পায়নি মুক্তিযুদ্ধা পরিবার। মুক্তিযুদ্ধাদেরকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায়
দাপন করা হয়। এতেই কি শেষ!
এই জন্যই কি মুক্তিযুদ্ধারা স্বাধীন করেছে বাংলাদেশ? মুক্তিযুদ্ধার
সন্তানদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। নইতো বাংলাদেশ থেকে মুক্তিগামী
মানুষের চেতনা দিন দিন হারিয়ে যাবে বলে মুক্তিযুদ্ধারা মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশে রুপান্তর করার মধ্যে দিয়ে শেখ মুজিবুর
রহমানের উদ্দ্যেশ বাস্তবায়ন করার জন্য বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানের হাতে
ক্ষমতা নিরাপদ ও সর্বপেশার মানুষের সুখ দুঃখ ভাগ করার জন্য শেখ হাসিনার
পরিশ্রমের সুফল কখন সফলতা আসবে সে অপেক্ষায় রয়েছে, মুক্তিযুদ্ধা পরিবার।
তবে মানুষের এখন একটাই হতাশা দেখা যায়, আগামী নির্বাচন হবে কি?
নির্বাচন হলে সর্বপেশার মানুষ ভোট দিতে পারবে তো! যদি ভোটাররা ভোট দেয়
তাহলে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসবে, এমন টাই আশা করেন মক্তিযুদ্ধা পরিবার !
নাকী সড়যন্ত্রকারীরা বড় ধরনের কোনো সড়যন্ত্র করবে! ইতি পূর্বে একাধিক
সড়যন্ত্র মোকাবেলা করে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থেকে বাংলাদেশকে একটি উন্নত
দেশে রুপান্তর করার জন্য রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছে শেখ হাসিনা ।
সড়যন্ত্র তিন ধরনের বলে জানা যায়। তিন ধরনের সড়যন্ত্র দিয়ে লক্ষ্মীপুর
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদকে হত্যা করা হয়েছে বলে মুক্তিযুদ্ধা
পরিবার সূত্রে জানা যায়। অপরদিকে
এমন কিছু বিষয় রয়েছে যা বলতে গেলে জ্বীব কাটা যায়, না বলতে পারলে
হৃদয়ে রক্ত জমাট হয়। এমন একটি বিষয়ে হতাশ হয়েছে সর্বপেশার মানুষ। সদর
উপজেলার ১৭নং ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কয়েকজন ইউপি সদস্য
মুখ খুলে। বিষয়টি হলো চেয়ারম্যান সাইফুল হাসান রনি প্রত্যেকটি ইউপি
সদস্যদের কাজ থেকে অসহায় মানুষের জন্য ঘর দিবে বলে লক্ষ লক্ষ টাকা
হাতিয়ে নেয়! এ বিষয় সাবেক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি নুরুল আমি খোকন
প্রতিবাদ করে। তাৎক্ষনিক ইউপি সদস্যরা দু’ভাগে ভাগ হয়ে যায়। কারণ
চেয়ারম্যান সাইফুল হাসান রনির রয়েছে অনেক ক্ষমতা। টাকার গরমে তিনি
মানুষের সাথে কারণে বিনা কারণে খারাপ আচারণ করে থাকে। এ বিষয়ে নাম
প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি জানান, চেয়ারম্যান ঘর এর অজুহাতে টাকা
নিয়েছে সত্য কিন্তু বলে লাভ হবে কি?
এভাবে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণ করে জনপ্রতিনিধিরা গাড়ি বাড়ির মালিক
হয়। বললে জ্বীব কাটা যায় আর না বললে হৃদয়ে রক্ত খরণ হয়! কথাটি পুলিশ
সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান তার ফেজবুক স্ট্যাটাসে বলেছেন। শাহ মিজান
শাফিউর রহমান এর স্ট্যাটাস নিয়ে বর্তমান প্রেস ক্লাবের সভাপতি কামাল
উদ্দিন হাওলাদার একটি কলাম লিখে। লেখনিও মাধ্যমে তিনি বুঝাতে পেরেছেন
একজন মানুষ না বলতে পারলে কতটুকু কষ্ট পায়!
বিভিন্ন অনলাইন ও জাতীয় স্থানীয় পত্রিকায় অনেক সময় ইউপি সদস্যদের নানা
অপকর্ম ও অনৈতিক কর্মকান্ডের সংবাদ তুলে ধরে। এমনি একটি বিষয় বাংগাখাঁ
ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান কাজী আনোয়ার হোসেন কাজল কে নিয়ে বিভিন্ন
পত্রিকায় সংবাদ প্রচার করা হয় । দেখা গেছে টাকার গরমে প্রাথমিক ভাবে ইউপি
চেয়ারম্যান কেটে উঠলেও জনসম্মুখে তিনি সাধারণ মানুষকে সেবার পরিবর্তে
বাঁশ দিচ্ছেন তা প্রশাসনসহ সর্বপেশার মানুষ অবগত রয়েছে।
একজন জন প্রতিনিধি কি করেন তা সাধারণ মানুষ দেখার ও আলোচনা করার ক্ষমতা
রয়েছে। কারণ সংবিধানে বলা আছে রাষ্ট্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ। এ
সংবিধানটি এখন কাগজ কলমে দেখা যায় বাস্তবে ভিন্ন। সদর উপজেলার মেঘনা
বাজারের পাশে ফারুক নামের একটি ব্যাক্তি ইউপি চেয়ারম্যানের কারণে কতটুকু
নির্যাতন হয়েছে তা এখন সাধারণ মানুষ সবসময় আলোচনা করতে দেখা যায়। ফারুক
লক্ষ্মীপুর সদর থানায় মামলা করে। মামলা সূত্রে জানা যায়, সন্ত্রাসীরা তার
স্ত্রীকে মারধর করে। এসময় ফারুকের স্ত্রী তিন মাসের আন্তসত্তা ছিলেন।
জেলা সদর হাসপাতাল সহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করেও বাঁচাতে
পারেনি তার বাচ্চা । বিষয় টি চেয়ারম্যান সমাধান করবে বলে অসহায় ফারুক কে
ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে সারা দিন আবদ্ধ করে রাখে । পরে স্থানীয়
মেম্বারের জিম্মায় সমাধান করবে বলে প্রায় ১০ বারের মত চেয়ারম্যানের
বাড়িতেও ইউপি কার্যালয়ে ফারুককে বসিয়ে রাখে। সমাধান কত দূর? পরে নাটকীয়
ঘটনার জম্ম দেয় সাখাওয়াত মেম্বার?
মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,চেষ্টা করলেও ইতিহাস বদলানো যায়
না- নোয়াখালী প্রতিদিন ১৯ নভেম্বর ১৭। তিনি যে বিষয়টি তুলে ধরেছেন আর তা
হলো- ইতিহাস বলছে মানুষ এর কর্মফল আলোচনা সমালোচনা হবেই। বিশ্বে আজ
বাংলাদেশ একটি উন্নত রাষ্ট্রে প্রতিষ্টিত হয়েছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
কিন্তু কতিপয় হাইব্রিট আওয়ামীলীগ নেতাদের চরিত্র রাজাকারের মত দেখা যায়।
এরা গণপরিবহন থেকে চাঁদা উঠিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়নে
বাঁধার একমাত্র কারণ হিসেবে গোয়েন্দা প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে ।
নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে দেখা গেছে সরকারের ভিতর আরেকটি সরকার হিসেবে উল্লেখ
করে একাধিক টিভির টকসোতে বলা হয়েছে। আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সরকার
জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবে। তবে নির্বাচন ইশ্তেহারে থাকতে হবে গণপরিবহনে
চাঁদাবাজী বন্ধ করতে হবে। চলাচলের একমাত্র উপায় হলো গণপরিবহন । তা হতে
হবে চাঁদামুক্ত ও দুর্নীতি মুক্ত।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ভিক্ষা নিয়ে চলতে হবে সেই বাংলাদেশ দেখতে
চাই না সূত্রে নোয়াখালী প্রতিদিন ২ নভেম্বর ১৬। তিনি বলেন, একটি দেশ তখনি
উন্নত হবে যখন যুব সমাজ সকাল প্রকার অন্যায় থেকে বিরত থাকবে। বিশেষ করে
মাদকাসক্তি,সন্ত্রাস, উগ্রবাদও জঙ্গিবাদ থেকে যুব সমাজকে বিরত থাকতে হবে।
সমাজের সকাল প্রকার অন্যায় থেকে যুব সমাজ কে বিরত থাকার আহ্বান করা হলেও
স্বাধীনতা বিরোধী শক্ররা দেশে নানা সমস্যার সৃষ্টি করে। বিভিন্ন জেলার
বাস, ট্রাক, সিএনজি,অটো রিকসার স্ট্রানে দেখা যায়, কয়েকজন যুবক গণপরিবহনে
চাঁদা আদায় করছে। এসকল যুবকদেরকে কর্মদক্ষতায় উন্নয়ন করতে হবে। নয়তো এরা
দেশের শুক্রতে পরিণত হবে বলে সংবাদ বিশ্লেষকরা আলোচনা করে থাকেন।
রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণবাহী জাহাজ বাংলাদেশে শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ নজিবের
সূত্র নোয়াখালী প্রতিদিন ১৬ ফেব্রুয়ারী ১৭। রোহিঙ্গাদেরকে আশ্রয় দিয়ে
গোটা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে সুযোগ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । রোহিঙ্গা
সমস্যা খুব দ্রুত সমাধান করতে হবে। রোহিঙ্গারা ইতিপূর্বে একাধিক অপরাধের
সাথে জড়িত রয়েছে বলে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে। এক
প্রশ্নের জবাবে লক্ষ্মীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হোসেন
জানান, সাংবাদিক এখন ঘরে ঘরে! এতো সাংবাদিক দিয়ে কি হবে? লক্ষ্মীপুর
প্রেস ক্লাব সূত্রে জানা যায়, ৭১জন সাংবাদিকের ভোটে নির্বাচিত বর্তমান
প্রেস ক্লাব। আমি লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবে কয়েকটি কারণে আবেদন করেনি।
যে কয়েকটি কারনে প্রেস ক্লাবে আবেদন করেনি তা বর্তমান প্রেস ক্লাবের
নেতাদের মাঝে দেখা গেছে। প্রেস ক্লাবের অতীদের নেতাদের মতো নিজেদের পকেট
ভারি করা । টাকার কারণে দু’জন ব্যাক্তিকে সমাজে খাটো করা। সাংবাদিকের
ক্লাব উন্নয়ন করার জন্য কেউ টাকা দিতে বললে কি টাকা দিতে হবে? প্রেস
ক্লাব ভূলে গেছে তারা ঐ দু’জন ব্যাক্তির কাছে টাকা পাবে কি? সেচ্ছায় কেউ
ক্লাবের উন্নয়নের জন্য টাকা দিতে চাইলে টাকা নেওয়া যাবে। কিন্তু টাকার
জন্য প্রেস ক্লাবের ফেস বুক আইডি থেকে কাউকে ছোট করা একজন পেশাদার কিংবা
জাতীর বিবেকের কাজ হতে পারে না বলে সর্বপেশার মানুষ আলোচনা করেন। যাই
হোক মূল বিষয়ে ফিরে আসি, সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন হলো পরিচিত একটি
ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অতীতে যারা ছিল তারা সাধারণ মানুষের
ভালোবাসা অর্জন করে এমপি উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে। বর্তমানে
যিনি চেয়ারম্যান আছে তার উচিত সবার সাথে মিল রেখে একটি উন্নয়ত ইউনিয়ন
রুপান্তর করে জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সহযোগিতা করা,
এমনটাই আশা করেন সর্ব পেশার মানুষ। একজন মুক্তিযুদ্ধা নিজের জীবনের কথা
চিন্তা না করে দেশ রক্ষার্থে যুদ্ধ করেছেন। এখন তাকেই স্বাধীন বাংলাদেশে
বিচারের অপেক্ষায় থাকতে হয় কেন? মুক্তিযুদ্ধা সন্তানদের জীবনের
নিরাপত্তাসহ যে সকল মুক্তিযুদ্ধার সন্তানদেরকে হত্যা করা হয়েছে। দ্রুত
বিচার কার্যকর করে, সন্তান হারানোর ব্যাথা নয় বরং বিচার পেয়ে শান্তিতে
তো গুমাতে পারবে মুক্তিযুদ্ধারা!