ফারুক হোসেন ঃ
মার্চ-এপ্রিল দুই মাস নিষেধাজ্ঞা শেষে শুক্রবার মধ্যরাতে মেঘনা নদীতে নৌকা ভাসাবে চাঁদপুরের জেলেরা।
গত কয়েকদিন টানা কাজ করে জাল নৌকা মেরামত শেষে সকল প্রস্তুতি নিয়ে ইলিশ শিকারে যাওয়ার অপেক্ষা করছে তারা। তবে মেঘনার বৃষ্টি না হওয়ায় ইলিশ প্রাপ্তি নিয়ে জেলেরা শঙ্কায় রয়েছেন।
মতলব উত্তরের বাবুর বাজর,এখলাশপুর ও আমিরাবাদসহ কয়েকটি মাছঘাট এলাকার কয়েকজন জেলের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃষ্টিও নেই। দীর্ঘদিন পর তারা নৌকা ভাসাবে, কিন্তু ইলিশ পাওয়া নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে। বৃষ্টি না হলে ইলিশ কম পাওয়া যায়।
সূত্র জানায়, ইলিশ উৎপাদন ও জাটকা সংরক্ষণে বছরের প্রায় ২ মাস মেঘনায় ছোট ইলিশ শিকারে সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার পর গত মৌসুমে মেঘনা নদী এলাকায় আশানুরুপ ইলিশ পাওয়া যায়নি। জেলেদের দাবি মেঘনায় ইলিশ খুব কম আসে।
উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের জেলে আকবর আলী বলেন, দীর্ঘ দুই মাস পর নদীতে মাছ ধরতে নামবো। এবার জাটকা মৌসুমে নদীতে অনেক অসাধু জেলে জাটকা নিধন করেছে। আজ থেকে আমরা নদীতে মাছ ধরার সব রকমের প্রস্তুতি নিয়েছি। জেলেরা ইতোমধ্যে ঘাট এলাকায় পাড়ি জমাচ্ছেন। আশা করছি আশানুরূপ ইলিশ পাবো। দেশের খ্যাতনামা ইলিশ গবেষক ড. আনিছুর রহমান জানান, জাটকা সংরক্ষণের জন্যে সরকার দু’মাস মতলব সহ দেশের আরো কয়েক স্থানে অভয়াশ্রম কেন্দ্র ঘোষণা করে। এ সময় নদীতে যে কোনো ধরনের মাছ আহরণ, পরিবহন, মওজুদ, ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়ে ছিলো। ইলিশসহ অন্যান্য মাছ ধরতে জেলেরা এখন প্রস্তুত। করোনার কারণে জাটকা রক্ষা কর্মসুচি কিছুটা সীমাবদ্ধতায় রয়েছিল। তবুও উৎপাদন ব্যাহত হবে না। আগামী ৫ বছরে ইলিশের উৎপাদন বাড়বেই।
এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মনোয়ারা বেগম জানান, সরকার ঘোষিত সকল নির্দেশনাই পালন করা হয়েছে। আশা করি ইলিশ উৎপাদন বাড়বে। আমাদের পক্ষ থেকে জেলেদের সকল রকম সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। যদিও কিছু অসাধু জেলে কর্তৃক নদীতে কিছুটা জাটকা নিধন হয়েছে।