অনলাইন ডেস্ক :
যশোরের ডিবি পুলিশ শার্শা উপজেলা বিএনপির ১২ নেতাকর্মীকে আটক করেছে। তাদের কাছ থেকে ১৫টি হাতবোমা উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ মামলায় দাবি করেছে। এ ঘটনায় ৩৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ১০/১২ জনের নামে নাশকতার মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলো, বেনাপোলের বিএনপি নেতা ওহিদুল ইসলাম খোকন, শার্শা উপজেলার বাগুড়ি গ্রামের সাগর হোসেন, কাঠুরিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম ওরফে ফজের আলী, গাতীপাড়া আমতলার আতিয়ার রহমান, বনমান্দার গোড়পাড়ার গোলাম মোস্তফা, উলাশী পূর্বপাড়ার ইসমাইল হোসেন, বড়বাড়িয়ার আনোয়ার হোসেন আশা, নাভারন রেলবাজারের আনোয়ার হোসেন বাবু, রুহুল আমিন, হাবিবুর রহমান হাবিব, পাড়িয়ার ঘোপ গ্রামের তবিবর রহমানের ছেলে আবু জাফর, রাড়িপুকুর গ্রামের মৃত আজগর আলী গাজীর ছেলে শামছুর রহমান।
পলাতক আসামিরা হলো, বেনাপোল পোর্ট থানার নমাজ গ্রামের ইয়াব আলী, বেনাপোল কলেজপাড়ার মোহাম্মদ আলী, পুটখালীর লিয়াকত আলী, দক্ষিণ বারপোতা গ্রামের কাউছার আলী, রওশন আলী, বারপোতা কদমতলার গফফার আলী, নমাজ গ্রামের আব্দুল মজিদ, মোহাম্মদ হাবু, শার্শার শ্যামলাগাছীর মোস্তফা কামাল মিন্টু, দক্ষিণ বুরুজবাগানর আব্দুল হাই বিশ্বাস, কালিয়ানীর আব্দুল হামিদ সরদার, মহিষা গ্রামের মাওলানা কাছেদ আলী, দক্ষিণ বুরুজবাগানের মোকলেছুর রহমান, খাজুরা গ্রামের রুহুল আমীন, বাগআঁচড়ার জামাল হোসেন, লাউতাড়া গ্রামের আব্দুল হামিদ, জহর আলী, রামপুর গ্রামের তবিবর রহমান, কন্যাদহ গ্রামের মিজানুর রহমান মিজান, ধলদাহর রাজ্জাক, মহিষাকুড়ার বাবলু, ভবারবেড় গ্রামের মাসুদুর রহমান মিলন, বেনাপোল বলফিল্ডের নাজিম উদ্দিন ও বড়আঁচড়ার আবু তাহের ভারত।
ডিবি পুলিশের এসআই খায়রুল আলম শার্শা থানায় দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করেছেন, সোমবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে যশোর-বেনাপোল সড়কের যাদবপুর গ্রামের মীম ফিলিং স্টেশনের পাশে আসামিরা নাশকতা করার জন্য জড়ো হন। গোপন সূত্রে সংবাদ পেয়ে ডিবি পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে আটক করে। বাকিরা পুলিশ দেখে পালিয়ে যায়। পরে তাদের দেখানো মতে ঘটনাস্থল থেকে ১৫টি তাজা হাতবোমা উদ্ধার করা হয়। আর আটক আসামিদের কাছ থেকে পলাতক আসামিদের নাম পরিচয় জানা যায়।
আটক ব্যক্তিদের সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিবি পুলিশের ওসি মনিরুজ্জামান মনির।