Breaking News
Home / Breaking News / ফরিদগঞ্জে মসজিদের সভাপতির পদ হারিয়ে ইমামকে মারধর করলেন কনস্টেবল ॥ সংঘর্ষে আহত ৮ জন

ফরিদগঞ্জে মসজিদের সভাপতির পদ হারিয়ে ইমামকে মারধর করলেন কনস্টেবল ॥ সংঘর্ষে আহত ৮ জন

আবু হেনা মোস্তফা কামাল, ফরিদগঞ্জ: ফরিদগঞ্জে কমিটির সভাপতির পদ হারিয়ে মসজিদের ইমামকে পিটিয়ে আহত করেছেন কনস্টেবল মোস্তাফিজুর রহমান দুলাল। ঘটনা জানতে গেলে এলাকাবাসীর ওপর চড়াও হন মোস্তাফিজুর রহমান ও তার নিকট জনেরা। এতে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।

এতে অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন। আহত ইমাম আবুল কালাম আজাদসহ দু’পক্ষের চারজন ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্খ্য কমপ্লেক্স ও চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে মুক্তিযোদ্ধা আলী আহমেদ জানিয়েছেন। ঘটনাস্থল উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে এলাকাবাসী দাবী করেছেন।

ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার মোস্তাফিজুর রহমান দুলালের ভাই জাহাঙ্গীরের মেয়ের বিয়ের দাওয়াতে গ্রামের চন্দ্রা বাড়িতে যান ইমাম আবুল কালাম আজাদ (৫৮)। সেখানে পূর্ব হতে দাঁড়িয়ে ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান দুলাল। তিনি ইমামের গতিরোধ করে বলেন, তোমাকে বলেছি আইডি কার্ড জমা দিতে, দাওনি কেনো। তুমি তো একটা জঙ্গি। আমাদের এলাকায় চাঁদাবাজি করো। এ কথার প্রতিবাদ করলে ইমামকে বেদম মারধর করেন জাহাঙ্গীর হোসেন দুলাল (৪৮)।

এতে ইমামের নাক-মুখ থেকে রক্ত বের হয়। তিনি কাঁদতে কাঁদতে মসজিদ এলাকায় ফিরে যান। সেখানে থাকা এলাকাবাসী ঘটনা শুনে জানতে গেলে মোস্তাফিজুর রহমান দুলাল, তার সহোদর ভাই জাহাঙ্গীর, ফায়ার সার্ভিস কর্মী ছেলে স্বাধীনসহ একদল লোক তাদের ওপর চড়াও হন। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময়ে অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেনে। আহত ইমাম আবুল কালাম আজাদ, এলাকার প্রবীণ ব্যক্তি একেএম গোলাম কিবরিয়া (৭৫), মুক্তিযোদ্ধা আলী আহমেদ (৬৫), আবু জাফর মঞ্জু (৩০) চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ও মোস্তাফিজুর রহমান দুলাল ও আলমগীর হোসেন (৩৫) ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন।

এ ব্যপারে মসজিদের ইমাম আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমার বাড়ি কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ থানার চাঁদনী কেশতলা গ্রামে। প্রায় তিন বছর আমি পাইকপাড়া গ্রামের বাইতুল মামুর জামে মসজিদ-এর ইমামের দায়িত্ব পালন করছি। প্রায় দেড় বছর পূর্বে মোস্তাফিজুর রহমান দুলাল মসজিদ কমিটির সভাপতির পদ ত্যাগ করতে হয়েছে। তিনি মনে করেন এতে আমার হাত ছিলো। এ জন্য তিনি আমাকে জঙ্গী, চাঁদাবাজ বলে মারধর করেছেন।

মসজিদ কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার সাদাত বলেন, দুলাল এবং তার ভাইয়েরা বরাবরই উগ্র। দুলাল নিজেকে পুলিশের লোক পরিচয় দিয়ে এলাকার মানুষকে শাসিয়ে বেড়ায়। তার ভাই আলমগীর মার্শাল কোর্টে শাস্তি প্রাপ্ত হয়ে চাকুরীচ্যুত হয়েছেন। তিনিও নিজেকে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের লোক বলে জাহির করে বেড়ান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোস্তাফিজুর রহমান দুলাল মুঠোফোনে বলেন, আমি এখন ব্যস্ত আছি পরে কথা বলবো। এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, আমার সভাপতির পদ ছাড়ার জন্য ইমামের ষড়যন্ত্র ছিলো।

এদিকে, নির্দেশ পেয়ে প্রাথমিক তদন্তে যান এসআই আবুল ফজল। মুঠোফোনে জানতে চাইলে ঘটনাটি সামান্য বলে তিনি দাবী করেন। এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, মোস্তাফিজ ইমাম সাহেবকে একটি চড় মেরেছেন। অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Powered by themekiller.com