Breaking News
Home / Breaking News / ইলিশ প্রজনন ও বিচরন কেন্দ্র মেঘনা পদ্মা

ইলিশ প্রজনন ও বিচরন কেন্দ্র মেঘনা পদ্মা

বিশেষ প্রতিনিধি ঃ
চাঁদপুর শরীরয়তপুরের মেঘনা পদ্মাকে বলা হয় ইলিশ প্রজনন ও বিচরন কেন্দ্র। প্রতি বছর অক্টোবর মাসে মা ইলিশ রক্ষায়য় ২০/২২ দিন অভয়াশ্রম ঘোষনা করা হয় ডিম ছাড়ার জন্য। তথাটি জাটকা নামক ইলিশের পোনা রক্ষায় প্রতি বছরের মার্চ এপ্রিল দু মাসও অভয়াশ্রের আওতায় আনা হয় ইলিশ রক্ষায়।
সরকারীভাবে জেলা প্রশাসন, কোষ্টগার্ড ও পুলিশ বাহিনী ইলিশ রক্ষায় নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা, রাতের আধারে জাটকা নিধনকৃত অসাধু জেলেদের আর্থিকদন্ড ও জেল দিয়ে থাকেন। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যেও মেঘনা পদ্মায় ইলিশের পোনা জাটকা শিকার করে থাকে অসাধু জেলেরা।
বিশেষ করে কারেন্ট জালের মাধ্যমেই জাটকা নিধন করা হয়, দু মাসের অভয়াশ্রম চলাকালীন সময়ে সরকার অর্ধলক্ষাধিক জেলেদের খাদ্য সহায়তা ও নগদ অর্থ প্রদান করে থাকেন। দু মাসের অভয়াশ্রম চলাকালীন সময়ে চাঁদপুর ও শরীয়তপুরের মেঘনা পদ্মায় কোনো প্রকার জাল ব্যবহার, ক্রয় বিক্রয় সম্পুর্ন নিষেধাজ্ঞাজজারী থাকে।
তারপরও থেমে থাকে না রাতের আধারে মা ইলিশ ও জাটকা ইলিশ নিধন। অসাধু জেলেরা দাদনদারদের চাহিদা মিটাতে জীবনের ঝুকি নিয়ে ইলিশ প্রজনন ও বিচরন কেন্দ্র গুলোতে নেমে পড়ে, শহরে থাকে তাদের সোর্স, কোষ্টগার্ড কিংবা পুলিশ প্রশাসন নদীতে নামলেই জেলেদের জানিয়ে দেয়া হয়।
বিশেষ করে ইলিশ দেশের জাতীয় সম্পদ। ইলিশের কারনেই চাঁদপুর ইলিশের বাড়ী নামে সুনাম সুখ্যাতি পেয়েছে। এমনকি প্রতি বছর দেশ বিদেশে চাহিদা সম্পন্ন ইলিশ রপ্তানী করে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়ে থাকে। মা ইলিশ ও জাটকা রক্ষা কার্যক্রম আরো কঠিন হলে ইলিশ রপ্তানী করে করে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের সম্ভাবনা রয়েছে। ইলিশ মৌসুমে বিদেশে রপ্তানী করতে চাঁদপুরে দুটি ফিস কোল্ত ষ্টোরেজ রয়েছে।
ইলিশের মৌসুম শেষ কিংবা চলমানাবস্থায় চাঁদপুরের ব্যবসায়ীরা বিদেশে চড়া দামে ইলিশ রপ্তানী করে থাকে এলসির মাধ্যমে। এদিকে মা ইলিশ রক্ষা ও ইলিশের পোনা জাটকা রক্ষা কার্যক্রম চলাকালীন সময়ে চাঁদপুরের বৃহৎ মাছ ঘাটটি অচল হয়ে পড়ে। সেখান থেকে হারিয়ে যায় সহস্রাধীক শ্রমজীবির হাক ডাক আর কোলাহল। মা ইলিশ ও জাটকা রক্ষায় চাঁদপুরের জেলা প্রশাসন যে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করেছে তা নুন্যতম বলে সচেতন মহলের দাবী।
ইলিশের বাড়ী চাঁদপুর রক্ষা জাটকা নিধম প্রতিরোধে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসন হানারচর ইউনিয়নের হরিনা ফেরী ঘাট, ঈশানবালা, আলুরবাজার, চর ফতেজংপর, জালালপুর, চেয়ারম্যান ষ্টেশন, তারাবুনিয়া, গোবিন্দা, লক্ষীপুর, বহরিয়া বাজার, কানুদী, আনন্দবাজার, এখলাসপুর, মোহনপুর, হাইমচরের চরভৈরবী, আখনের হাট, কাটাখালী, কালীগোলা, বাবুর্চি ঘাট, রনাগোয়ালসহ কয়েকটি মেঘনা পদ্মার পাড়ে ভ্রাম্যমান পুলিশি ক্যাম্প স্থাপন করা অতীব জরুরী। এসব স্থান হতে মা ইলিশ ও জাকটা ইলিশ ক্রয় বিক্রয় করা হয়। প্রশাসনিকভাবে এসব স্থান গুলো নিয়ন্ত্রন করা হলেই দেশ তথা জাতী উপকৃত হবে এমনকি ইলিশের মৌসুমে সুস্বাদু ইলিশের স্বাদ গ্রহন করতে পারবে।

Powered by themekiller.com