ষ্টাফ রির্পোটারঃ
চাঁদপুরে এই প্রথম কোনো থানা বা পুলিশ ফাঁড়ির দেয়ালে লেখা হলো “দালালমুক্ত”। সত্যিকার অর্থে এটা মানবিক এবং জনসাধারণের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা না বললেই নয়। আইন শৃংখলা রক্ষায় প্রশংসনীয় উদ্যোগটি গ্রহন করেছে পুরানবাজার পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোঃ মাসুদ হোসেন। তিনি ৮ মাস যাবৎ পুরানবাজার ফাঁড়ির দায়িত্ব গ্রহনের পর পরই একজন করোনা যোদ্ধার ভুমিকা পালন করেন সরকারী নির্দেশ মোতাবেক। দিবানিশী দায়িত্বের মধ্যে থেকেই পুরানবাজাবাসীকে করোনামুক্ত রাখতে নিজের জীবনের কোনো চিন্তাই তিনি করেননি। কোভিড ১৯ থেকে পুরানবাজারবাসীকে বাঁচাতে তিনি যুদ্ধ করেছেন, সচেতনমুলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে আলোচিত একজন পুলিশে পরিনত হয়েছেন। পুরানবাজারের সকল স্তরে মোঃ মাসুদ হোসেনের নির্ভরশীল দায়িত্ব ছড়িয়ে পড়ে। তিনি সৎ এবং একজন নামাজী মানুষ হিসাবে পরিচিতি লাভ করেন। পুরানবাজারের সচেতন মহল এবং পুরানবাজারবাসীর মাঝে ফিরে আসে স্বস্তি। সচেতন মহলে সাড়া পরে যায় তার প্রশাসনিক দায়িত্বের পরিসীমা। তিনি একজন দানশীল এবং সমাজ সেবকও বটে। অসহায় মানুষের পাশে থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন নিজের উদ্যোগে। করোনাকালীন সময়ে তিনি বেতনের টাকা থেকে শত শত মানুষকে মাস্ক উপহার দিতে দেখা গেছে। তার সততা এবং কর্মদক্ষতা নিয়ে কথা হয়। পুরানবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোঃ মাসুদ হোসেন জানান, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা আমার সব সময় রয়েছে এবং থাকবে, আমি কোনো অন্যায় অপরাধকে প্রশ্রয় দিবো না। যেহেতু প্রশাসনিকভাবে আমি দায়িত্ব পালন করছি সেহেতু পুরানবাজার থেকে সকল ধরনের অপরাধ, মাদক নিয়ন্ত্রণ হলো আমার দায়িত্ব। আমি যতদিনই দায়িত্ব পালন করবো আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই পুরানবাজারকে মাদকমুক্ত করবো। পুরানবাজারে কোনো প্রকার মাদকসেবী, মাদক বিক্রেতা কিংবা পাঁচারকারী থাকতে পারবে না। যারা মাদক মাদক নিয়ন্ত্রণ করে কিংবা মাদক বিক্রেতাদের মদদ দিয়ে আসছে তাদেরও ছাড় দেয়া হবে না। তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে। পুলিশ ফাঁড়িতে “দালালমুক্ত” লেখার উদ্দেশ্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুর্বে ফাঁড়িতে শালিশী হতো, যেটা আইন পরিপন্থী বলে আমার ধারনা। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই ফাঁড়ির ভিতর কোনো প্রকার শালিশী যেনো না হয় সে ব্যাবস্থা করেছি। বিশেষ করে পুরানবাজারের মানুষ সচেতন, তাদের পারিবারিক জুটঝামেলা গুলো স্থানীয় প্রতিনিধিরা সমাধান করবেন। আর যদি কেহ মামলা দায়ের করেন তাহলে তাকে আইনের মধ্যেই সমাধান করতে হবে কোর্টের মাধ্যমে। আমি শুধু জনগনের সেবক হিসাবে কাজ করছি। সরকারী নিয়মবহির্ভূত কোনো কাজ এ ফাঁড়িতে যেনো না হয় তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমান সময়ে পুরানবাজার ফাঁড়ি একটি পবিত্র স্থানে পরিনত হয়েছে। এমনকি এ পবিত্র স্থানটি রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্ব শুধু প্রশাসন নয় পুরাো পুরানবাজারবাসীর। শেষে তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে পুরানবাজারে কোনো মাদক ক্রয় বিক্রয় নেই। সেবনকারীও নেই। গত মে মাসে মাদকের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যে ঘটনাটি ঘটেছে তা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। মাদক বিস্তারকে কেন্দ্র করে পুরানবাজার পরিস্থিতির বাইরে চলে গেছে। পুলিশবাদী কিংবা অপরাধমুলক কাজে নিয়োজিত তালিকাভুক্ত আষামীদের আটক করে থানা প্রেরন করা হয়েছে। এখন পুরানবাজার শান্ত। এদিকে এক শ্রেনীর দালাল চক্র পুরানাজার পুলিশ ফাঁড়ি থেকে তাকে ট্রান্সফার করার বিভিন্ন প্রক্রিয়া গ্রহন করা হলেও তা ভেস্তে যায়। এমনকিও সচেতন মহলেও একজন সৎ অফিসার বদলী নিয়ে ব্যাপক গুন্জনের সৃষ্টি হয়েছে। পুরানবাজারবাসী এমন একজন সৎ পুলিশ অফিসারের বদলী চাননি, বরং তার দ্বারা পুরানবাজার মাদক মুক্ত হয়েছে এ নিয়ে সচেতন মহলে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতি পুরানবাজারবাসীর আবেদন একজন সৎ পুলিশ অফিসার যেনো পুরানবাজারকে মাদকমুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে ও প্রশাসনিকভাবে সুযোগ দেয়া হয় আবেদন জানান।