Breaking News
Home / Breaking News / মেডিক্যালে ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের সুযোগ নেই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বৈঠক

মেডিক্যালে ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের সুযোগ নেই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বৈঠক

অনলাইন ডেস্ক :এবার সারা দেশের মেডিক্যাল কলেজগুলোতে ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৫ অক্টোবর; আর ৯ নভেম্বর হবে ডেন্টালে ভর্তি পরীক্ষা। দেশের ৩৬টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ এবং ৬৯টি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে আসন সংখ্যা ১০ হাজার।
মেডিক্যালে ভর্তি পরীক্ষার জন্য অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু হয় ২৭ আগস্ট। আবেদন করার শেষ সময় ছিল ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। আর ডেন্টালে বিডিএস কোর্সে ভর্তির আবেদন করার সময় ছিল ১৬ অক্টোবর থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত। এ বছর মোট পরীক্ষার্থী ৬৬ হাজার।

গতকাল সোমবার সচিবালয়ে আসন্ন এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং পরীক্ষা সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এতে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, আগামী ৫ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার দিন সকল শিক্ষার্থীদেরকে সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।
পরীক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষার্থীসহ কর্তব্য পালনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী মোবাইল ফোনসহ কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ও ঘড়ি নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না। শিক্ষার্থীদেরকে প্রবেশ পত্রের সঙ্গে উল্লিখিত নির্দিষ্ট ধরনের কলম নিয়ে প্রবেশ করতে হবে।
বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আসন্ন এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষাকে সর্বোচ্চ কঠোর ও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন করার সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই নেওয়া হয়েছে। প্রশ্নফাঁসের কোনো সুযোগ নেই। তাই পরীক্ষা নিয়ে কোনো বিতর্ক সৃষ্টির সুযোগ এবারো থাকবে না।
তিনি বলেন, জনগণের কাছে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে দেশের মেডিক্যাল কলেজগুলোতে যেন প্রকৃত মেধাবীরাই ভর্তির সুযোগ পায়, তা নিশ্চিত করতে সরকার কোনো আপস করবে না। ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁস বাণিজ্য বা গুজব প্রতিরোধে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমকে সচেতন থাকার জন্য আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অসত্য তথ্য সংবলিত পোস্ট ও ভুয়া অনলাইন পোর্টালের উপর তীক্ষ্ম মনিটরিং করতে সকল সচেতন নাগরিক এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাসমূহের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। এ ক্ষেত্রে কেউ কোনো তথ্য পেলে তা সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানিয়ে দেওয়ার জন্য মন্ত্রী অনুরোধ করেন।
শিক্ষার্থীরা যেন সময়মতো পরীক্ষা কেন্দ্রে আসতে পারে সে লক্ষ্যে তাদেরকে সহায়তা করার জন্য ট্রাফিক পুলিশের প্রতি মন্ত্রী অনুরোধ জানান। এছাড়াও সভায় পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে একটি কন্ট্রোল রুম খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যার নম্বর গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব জি এম সালেহ উদ্দিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. ইসমাইল খান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান, বিএমডিসি’র পরিচালক অধ্যাপক ডা. সহিদুল্লা, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী,
স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ, ওভারসাইট কমিটির সদস্যরা, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিঞা, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাহবুবুর রহমানসহ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

Powered by themekiller.com