Breaking News
Home / Breaking News / হজযাত্রীরা মিনায়, কাল পবিত্র হজ

হজযাত্রীরা মিনায়, কাল পবিত্র হজ

অনলাইন ডেস্কঃ
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এবার পবিত্র হজ পালিত হচ্ছে ভিন্ন আবহে, সীমিত পরিসরে। গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকেই শুরু হয়েছে হজের আনুষ্ঠানিকতা। হজযাত্রীরা আজ বুধবার মিনায় অবস্থান করবেন। হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা আগামীকাল বৃহস্পতিবার আরাফাতের ময়দানে।

এবার সৌদি আরবের বাইরে থেকে গিয়ে কেউ হজে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না। সৌদি আরবে অবস্থানরত মাত্র ১০ হাজার মুসলমান এ সুযোগ পাচ্ছেন, যেখানে গত বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ২৫ লাখ মানুষ হজ পালন করেছিলেন। এবার যাঁরা হজের সুযোগ পেয়েছেন, তাঁদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই সৌদি আরবে অবস্থানরত প্রবাসী।
পবিত্র হজ পালনের জন্য সমবেত ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা গতকাল সন্ধ্যার পরপরই পবিত্র মসজিদুল হারাম (কাবা শরিফ) থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরে মিনায় পৌঁছেন। সেলাইবিহীন দুই টুকরা সাদা কাপড় পরে হজের নিয়তে তাঁদের মুখে ছিল, লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হাম্দা ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মুল্ক, লা শারিকা লাকা। মিনার খিমায় (তাঁবু) রাত কাটান তাঁরা।

হজ্বযাত্রীরা আজ মিনাতেই নিজ নিজ তাঁবুতে নামাজ আদায়সহ অন্যান্য ইবাদত করবেন। আগামীকাল ভোরে ফজরের নামাজ আদায় করে মিনা থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে আরাফাতের ময়দানে যাবেন এবং সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান সেখানে করবেন। এরপর সেখান থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে মুজদালিফায় গিয়ে রাতযাপন এবং জীবাণুমুক্ত পাথর সংগ্রহ করবেন। ভোরে ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে মিনায় ফিরবেন।

হাজিরা বড় শয়তানকে পাথর মারবেন, কোরবানি দেবেন, মাথা মুণ্ডন বা চুল ছেঁটে মক্কায় গিয়ে কাবা শরিফ তাওয়াফ করবেন। তাওয়াফ, সাঈ শেষে আবার মিনায় ফিরে ১১ ও ১২ জিলহজ (সৌদি আরবের তারিখ অনুযায়ী) পর্যন্ত অবস্থান করবেন। সেখানে প্রতিদিন তিনটি শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করবেন তাঁরা। প্রত্যেক শয়তানকে সাতটি করে পাথর মারতে হয়। প্রথমে জামারায় সগির বা ছোট শয়তান, তারপর জামারায় ওস্তা বা মেজ শয়তান, এরপর জামারায় আকাবা বা বড় শয়তানকে।
করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) থেকে রক্ষা পেতে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে সৌদি সরকার। হজের জন্য মনোনীতদের প্রত্যেকের করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছে। হজ শুরুর আগেই দুই ধাপে কোয়ারেন্টিনে থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। হজে অংশগ্রহণকারী ও আয়োজকদের বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। রোগ প্রতিরোধ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুসারে এ বছর হজের সময় কাবা শরিফ স্পর্শ বা চুম্বন নিষিদ্ধ থাকবে। হজের প্রতিটি কাজে একজন থেকে অন্যজনের শারীরিক দূরত্ব থাকবে ১.৫ মিটার (পাঁচ ফুট)। তাওয়াফ, নামাজ, সাঈ প্রতিটি কাজেই এই দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এ ছাড়া মিনা, আরাফাত ও মুজদালিফায় ২ আগস্ট পর্যন্ত হাজিদের জন্য অবস্থান নির্ধারিত থাকবে।

দীর্ঘ ৯০ বছরের মধ্যে এবারই প্রথম সৌদি আরবের বাইরে থেকে হজ্বযাত্রী আসা ছাড়া এত ছোট পরিসরে হজ্ব পালিত হচ্ছে। তবে বিভিন্ন সময় যুদ্ধ-বিগ্রহ, বন্যা ও অন্যান্য কারণে ৪০ বারের মতো হজ বন্ধ ছিল।

Powered by themekiller.com