ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
বরকত, সালাম, রফিক ও জব্বাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বাংলা ভাষা, তাদের স্মৃতির এমন অবমাননায় জনমনে চলছে তীব্র সমালোচনা।
ফরিদগঞ্জের ৪১ গুপ্টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২১ ফেব্রæয়ারীতে পরিত্যাক্ত ও জরাজীর্ন শহীদ মিনারে
ফুল দেওয়ায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে কারন দর্শানোর
নোটিশ (শোকজ) করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের সামনে পরিত্যাক্ত শহীদ মিনারটি ব্যবহার না করার জন্য ইতোপূর্বে প্রধান শিক্ষক নাছির উদ্দিনকে অবহিত করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার তোয়াক্কা না করেই শহীদ দিবসের মর্যাদাকে অবজ্ঞা করে ভাঙ্গা ও পরিত্যাক্ত শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে মহান শহীদ দিবসকে অবমাননা করা হয়েছে বলে কারন দর্শানোর নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো.
মনিরুজ্জামান ২৪ ফেব্রæয়ারি এক লিখিত নোটিশে এ আদেশ জারি করেন।
এ বিষয়ে উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নাছির উদ্দিন বলেন, আমি আমার বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে প্রভাত ফেরিতে বের হই, আমরা এসে দেখি কে বা কারা ঔ জরাজীর্ণ মিনারটিতে ফুল দিয়েছে আমার জানা নেই।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শহীদ দিবসে শহীদ মিনারে ফুল দিতে হবে, এমন বাধ্যবাধকতা নেই। তিনি সংবাদ কর্মীকে বলেন, আপনি যে ছাত্র- ছাত্রীদের বক্তব্য নিয়েছেন তা গ্রহন যোগ্য নয়। আপনার এ বিষয় নিয়ে এত মাথা ব্যাথা কেন? রুপসা রাস্তা নিয়ে সংবাদ লিখুন।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক’জন ছাত্র-ছাত্রী জানায়,
আমরা প্রতি বছর এই শহীদ মিনারেই ফুল দিয়ে থাকি । এ
বছরও শিক্ষকদের নির্দেশে শহীদ মিনারটি সাজিয়ে ফুল
দিয়েছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় ব্যক্তি বলেন, প্রধান শিক্ষকের
এমন উধাসিনতা অত্যন্ত দূঃখ জনক। ভাষার জন্য আত্মহুতি দেওয়া শহীদদের এমন অবমাননা, তা স্বাধীন দেশে মেনে নেওয়া যায় না