বিশেষ প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সব মিলিয়ে দেশে ব্যাংক খাতে আমানতের বিপরীতে গড় সুদ হার পাঁচ দশমিক সাত ভাগ। অন্যদিকে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হারও দাঁড়িয়েছে সাড়ে পাঁচ ভাগের বেশি। এ কারণে ব্যাংকে টাকা রেখে সঞ্চয়কারীরা এখন আর প্রকৃত অর্থে লাভবান হতে পারছেন না। বরং তাদের জমা করা টাকার মূল্যমান বা আয় কমে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। ধরুন ব্যাংকে কেউ ১০০ টাকা জমা রেখেছেন। সুদ হার ছয় ভাগ হলে বছর শেষে তিনি ১০৬ টাকা পাবেন। কিন্তু মূল্যস্ফীতির হারও যদি ছয় ভাগ হয় তাহলে ১০০ টাকায় এখন যেই পণ্য বা সেবা পাওয়া যায় বছর শেষে তার জন্য ১০৬ টাকা খরচ করতে হবে। সেক্ষেত্রে ব্যাংকে টাকা জমা রেখে সেই টাকা থেকে কোনো আয় হবে না আমানতকারীদের।
এই অবস্থাকে সঞ্চয়ের জন্য মোটেও অনুকূল নয় বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এর অর্থ হলো মানুষের টাকা নাই হয়ে যাচ্ছে। দরিদ্র, মধ্যবিত্ত তাদের মূল সম্পদ হচ্ছে টাকা। তাদের সঞ্চয়ের অভ্যাস কমে যাবে। ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স যাকে বলছি, সেটা কমে যাবে। এখন ব্যাংকগুলো তাদের নিজেদের ব্যবসায়িক নীতি অনুযায়ী সুদ হার নির্ধারণ করে। এপ্রিল থেকে সেই সুযোগও তারা হারাবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, তখন কোনও ব্যাংকই আমানতকারীদের ছয় ভাগের বেশি হারে সুদ দিতে পারবে না। এর ফলে সঞ্চয়কারীদের আরও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা রয়েছে।