Breaking News
Home / Breaking News / যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা আনিসের বিরুদ্ধে দুদকের দুই মামলা

যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা আনিসের বিরুদ্ধে দুদকের দুই মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে যুবলীগের বহিষ্কৃত দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী সুমি রহমানের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা ১-এ মামলা দুটি করা হয় বলে জানিয়েছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য।

প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বলেন, ‘দুদকের করা মামলায় কাজী আনিসের বিরুদ্ধে ১২ কোটি ৮০ লাখ ৬০ হাজার এবং তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে এক কোটি ৩১ লাখ ১৬ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া দুই মামলার বাদী দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান।’
মামলার এজাহারে বলা হয়, রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের লেভেল ১-এ কাজী আনিসুরের নামে একটি দোকান আছে। গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার রসুলপুরে তাঁর নামে ২৪ দশমিক ৫০ শতাংশ জমি আছে। রাজধানীর আর কে মিশন রোডের আমিন বিলাস ভবনের পাঁচ তলায় তাঁর নামে রয়েছে এক হাজার ৩০০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট ও কার পার্কিংয়ের জায়গা। ৫৪/১ স্বামীবাগ রোডে আছে ৮২০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট। ধানমন্ডির ১০/এ সড়কে আছে (বাড়ি-২২, ফ্ল্যাট নম্বর-বি-১৩) একটি ফ্ল্যাট। শুক্রাবাদে (বাড়ি-৮/২, আরেফিন পার্ক) আছে সাততলা একটি বাড়ি। বাড়ির প্রতিটি ফ্ল্যাট ৭৫০ বর্গফুটের। ধানমণ্ডির ৪ নম্বর সড়কে (১৫/এ নম্বর বাড়ি, ফ্ল্যাট নম্বর ২) এক হাজার ৪০০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট।
এ ছাড়া, মেসার্স আরেফিন এন্টারপ্রাইজ কোম্পানিতে ৮৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ারের মালিক কাজী আনিসুর রহমান। মা ফিলিং স্টেশনেরও মালিক তিনি। প্রাইজবন্ড আছে তিন লাখ টাকার। একটি প্রাইভেট কারও (ঢাকা মেট্রো গ-৩৩-১৫১৪) আছে তাঁর। ব্যাংক এশিয়া, প্রাইম ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, ইসলামি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউসিবিএল, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ও ডাচ বাংলা ব্যাংকে কাজী আনিসুরের অ্যাকাউন্ট রয়েছে।
শুক্রাবাদে আনিসের স্ত্রী সুমি রহমানের নামে আছে তিন হাজার ৪০০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট। ৫০ হাজার টাকার প্রাইজবন্ডও আছে তাঁর। সুমি রহমানের কোনো বৈধ আয় নেই বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত ১১ অক্টোবর যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সভায় দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমানকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অভিযোগ আনা হয় শৃঙ্খলাভঙ্গের। চলমান দুর্নীতি-মাদক-ক্যাসিনোবিরোধী শুদ্ধি অভিযান শুরু হলে তিনি আড়ালে চলে যান। দলীয় নেতাকর্মীরা তাঁকে খুঁজে পাচ্ছেন না।

Powered by themekiller.com