নারায়ন রবিদাস, ফরিদগঞ্জ :;
ফরিদগঞ্জে পৃথক ৩টি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত এক আসামীকে আটক করেছে পুলিশ। ৩টি মামলাতেই তার এক বছর করে সাজার রায় প্রদান করেছিলেন পৃথক তিনটি আদালতের বিচারক। এছাড়া ঐসব বিচারকদ্বয় যথাক্রমে তিন লক্ষ, পাঁচ লক্ষ ও ১৫ লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক মাস করে বিনাশম সাজার রায় দিয়েছিলেন তার বিরুদ্ধে। আটককৃত ব্যক্তির নাম সৈয়দ আহমেদ। তিনি পেশায় গার্মেন্টসের জুট ব্যবসায়ী ছিলেন। মাসিক আশি হাজার টাকায় ভাড়া বাসায় পরিবার-পরিজন নিয়ে নরসিংদি জেলায় বসবাস করতেন। অবশেষে ব্যবসায় প্রায় দুই কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়ে ভাড়া বাসা ছেড়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে পালিয়ে বেড়াতেন। কিন্তু পাওনাদাদের একের পর এক মামলায় সাজা, অর্থদন্ড ও তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হতে থাকে। এরকম তিনটি মামলায় বুধবার গভীর রাতে তাকে তার বাড়ি ফরিদগঞ্জ উপজেলার সকদিরামপুর গ্রাম থেকে আটক করে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ।
পূলিশ জানায়, ২০১৭ সালে সিআর মামলা নং ১১৩১/১৪-এ নরসিংদি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক তার বিরুদ্ধে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ১৫ লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক মাসের বিনাশ্রম সাজার রায় প্রদান করেন। এছাড়া সিআর মামলা নং ১৭২/১৫-এ চলতি বছরের ২৩ মে চাঁদপুরের জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক মাসের বিনাশ্রম সাজার রায় দেন। একই আদালতের বিচারক চলতি বছরের ১৪ জুলাই অপর একটি সিআর মামলা নং ৭০/১৫-এ এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ০৩ লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক মাসের বিনাশ্রম সাজার রায় প্রদান করেন। রায় ঘোষনার পুর্বে থেকেই পাওনাদারদের চাপের মুখে ভাড়া বাসা ছেড়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে পালিয়ে বেড়াতেন। পুলিশ আরো জানায়, এরকম আরো বিভিন্ন আদালতে বেশ কয়েকটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অবশেষে বুধবার গভীর রাতে তাকে তার বাড়ি ফরিদগঞ্জ উপজেলার সকদিরামপুর গ্রাম থেকে আটক করে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ।
ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আব্দুর রকিব সৈয়দ আহমেদকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।