Breaking News
Home / Breaking News / বেনাপোলে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক বর্জন করল সাংবাদিকরা

বেনাপোলে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক বর্জন করল সাংবাদিকরা

যশোর প্রতিনিধি : বেনাপোল স্থলবন্দর আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের দ্বিতীয়তলায় নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও স্থল বন্দরের উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি খালেদ মাহমুদ চৌধুরীকে নিয়ে গোপন বৈঠক করছে বলে অভিযোগ উঠেছে স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষর বিরুদ্ধে।

বেনাপোল চেকপোষ্ট আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের সামনে সকাল সাড়ে ১০ টার সময় নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রীকে ফুলের শুভেচ্ছা জানান শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা। এরপর মন্ত্রী চেকপোষ্ট কাস্টমস, ইমিগ্রেশন ও নো-ম্যন্সল্যান্ড পরিদর্শন করে প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের দ্বিতীয় তলায় স্থল বন্দরের উপদেষ্টা কমিটির ১০ম বৈঠকে যোগ দেন। এসময় মাইকে ঘোষনা করা হয় এখানে উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ছাড়া কেউ থাকতে পারবে না। এমনকি সাংবাদিকরাও থাকতে পারবে না। ঘোষনা দেওয়া হয় সাংবাদিক ভাইয়েরা বাহিরে যান আপনাদের পরে ডাকা হবে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, তাহলে সাংবাদিকদের অনুপস্থিতিতে সেখানে কি বৈঠক হচ্ছে তা জাতি কি ভাবে জানবে। এখানে গোপন বৈঠকের কি আছে। এই বন্দর নিয়েও বার বার অনেক নাটকীয়তা দেখা গেছে। সাংবাদিকরা কি মন্ত্রীর কাছে বন্দরের বার বার আগুন লাগা, আমদানি পণ্য চুরি, ভায়গ্রার মত মাদক দেশে আমদানি করে বন্দরে রাখা, নির্ধারিত ওজনের পণ্য ছাড়া বেশি পণ্য আসার কারন জানতে চাইবে এই ভয়ে তাদের বৈঠক থেকে দূরে রেখেছে।

এদিকে বেনাপোল স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের সাংবাদিকদের মাইকে ঘোষনা দিয়ে বাহির যেতে বলায় প্রেসক্লাব বেনাপোলের সাধারন সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রাশু মন্ত্রীর উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক এর সংবাদ বর্জন করার ঘোষনা দেন। সাথে সাথে বেনাপোলের আরো কয়েকটি প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা তার সাথে একাত্ন ঘোষনা করেন।

প্রেসক্লাব বেনাপোলের সাধারন সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রাশু বলেন, কি কারণে সাংবাদিকদের ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হলো না, তা আমাদের বোধগম্য নয়। মাইকিং করে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের তাদের গোপন বৈঠকে নিষেধাজ্ঞা জারি করলো তা সত্যি অনাকাঙ্ক্ষিত। বর্তমানে বন্দর অনিয়ম ও দূর্ণিতীতে ছেয়ে গেছে। সাংবাদিকরা যাতে এবিষয়ে মন্ত্রীকে কোন প্রশ্ন করতে না পারেন, তাই কৌশলে সাংবাদিকদেরকে ভিতরে ঢুকতে দেয়নি।

এবিষয়ে বন্দর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক বলেন, দেশ উন্নয়নের যেমন সরকার, রাজনীতিবীদ ও প্রশাসনের অবদান আছে, তেমনি সাংবাদিকদের অবদানের বিষয়টিও কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না। বন্দরের উন্নয়ন মূলক আলোচনায় এর আগে সাংবাদিকরা অনুষ্ঠানে থেকে নিউজ সংগ্রহ করতেন। কিন্তু এবারও সাংবাদিকদের দাওয়াত দিয়েও ভিতরে প্রবেশ করতে না দেওয়াকে অসৌজন্য মূলক আচরণ বলে মনে করছি।

সীমান্ত প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহিদুল ইসলাম শাহিন জানান, নৌ-পরিবহন মন্ত্রীর আগমনের দাওয়াত পায় উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে। এবং আমরা সকল সাংবাদিকবৃন্দ সেখানে সংবাদ সংগ্রহের জন্য উপস্থিত হই। সরকারের উন্নয়নের সমস্ত খবর আমরা পত্র-পত্রিকার মাধ্যম প্রচার করে থাকি। কিন্তু স্থলবন্দরের কিছু দূর্ণিতীবাজ কর্মকর্তা মাইকিং করে আজ আমাদের মন্ত্রীর বৈঠকে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। আমরা সাংবাদিকরা ভাবতেও পারিনি কি এমন অদৃশ্য কারণে এমন আচারন করলেন তারা। এহেন কাজের জন্য আমরা এ সংবাদ বর্জনের ঘোষণা করলাম। #

Powered by themekiller.com