মফিজুল ইসলাম বাবুলঃ
কচুয়ায় ৮ মাস পর গৃহবধু শান্তার লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে গত সোমবার চাঁদপুরের পিবিআই কচুয়া উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুমন দে’র উপস্থিতিতে শান্তার লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে।
কচুয়া উপজেলার ডুমুরিয়া গ্রামের প্রবাসী রুবেল হোসেনের স্ত্রী শান্তা আক্তার চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি রাতের কোন এক সময় হত্যার শিকার হয়। ১৭ জানুয়ারি কচুয়া থানার পুলিশ শান্তার লাশ উদ্ধার করে অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করে। শান্তার শ^াশুড়ি দোলোয়ারা বেগম, ননদ আলেয়া ও তার জামাই কেরামত আলী মিলে শান্তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্য করেছে বলে শান্তার পিতৃ পক্ষ দাবী করে। তারা আরো দাবী করে শান্তাকে হত্যা করে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখে শান্তা আত্মহত্যা করেছে বলে অপপ্রচার চালায়।
এব্যাপারে শান্তার চাচা তরিকুল্লাহ একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা নং জিআর ২৪/১৯।
মামলার বাদী তরিকুল্লাহ ময়নাতদন্ত রিপোর্টের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে পুনঃময়নাতদন্ত করার আবেদন জানানোর প্রেক্ষিতে চাঁদপুরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের নির্দেশে চাঁদপুরের পিবিআই শান্তার লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে পুনঃময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মর্গে প্রেরণ করে। এসময় পিবিআই এর ওসি মাহবুব, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মহীউদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য যে শান্তা হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে এলাকার শত শত লোকজন মানববন্ধনসহ মিছিল ও সমাবেশ করে।