সরকার খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে বাধ্য- সেতুমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধিঃ
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের আদালত সব সময়ই স্বাধীন ছিল। শেখ হাসিনার সরকার কখনোই বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ করেনি এবং ভবিষ্যতেও করবে না। খালেদা জিয়ার ব্যাপারেও আদালত স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এ জামিনের মধ্য দিয়ে আবার তা প্রমাণ হলো যে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন এবং সরকার কখনও আদালতের উপর খবরদারি করে না।
আজ মঙ্গলবার (১৮ জুন) দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে সোমবার (১৭ জুন) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আদালত খালেদা জিয়ার জামিন দিতে চাইলে সরকার তাতে কোন রকম হস্তক্ষেপ করবে না। এটি সম্পূর্ণ আদালতের বিষয়। আদালত যে কাউকে জামিন দিতে পারেন। সরকার কখনও আদালতের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেনি এবং ভবিষ্যতেও করবে না বলে আবারও পুনব্যক্ত করেন গতকালের বক্তব্যের ন্যায়।

মানহানির দুই মামলায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ছয়মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
২০১৪ সালে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও ২০১৬ সালে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত মামলা দুটি বিচারাধীন।

বিএনপি নেতারা শুধু বিরোধিতার জন্যই সরকারের ওপর দোষারোপ করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপির বন্ধুরা বলে আদালত স্বাধীন নয়। সেজন্যই খালেদা জিয়ার জামিন হচ্ছে না। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যাচার এবং কল্পনা প্রসূত বক্তব্য। তারা খালেদা জিয়ার জন্য দলীয়ভাবে কিছু করতে ব্যর্থ হয়ে সরকারের ওপর অযাচিত দোষারোপ করেন।

এ সময় এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, এবার খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন কি? এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটাও আদালতের ব্যাপার। মামলা তো অনেকগুলো। সব মামলায় জামিন পেলে আদালত মুক্তি দেবেন। আদালত নির্দেশ দিলে সরকার কাউকে কারাগারে রাখতে পারে না। খালেদা জিয়ার মুক্তি দিতে সরকার বাধ্য বলেও জানান তিনি।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে কাদের বলেন, শপথ না নিয়ে ফখরুলে এখন মনে মনে আফসোস করছেন। তাদের দুজন এমপি সংসদ গরম করে দিয়েছেন। ফখরুল ইসলাম থাকলে সংসদ আরও গরম হতো। তিনি শপথ না নিয়ে নিজে ও দলকে বঞ্চিত করেছেন। তিনি যোগ দিলেন না, অথচ তার সতীর্থরা যোগ দিলেন। যারা সংসদে যোগ দিয়েছেন, তারা তো কথা বলছেন। ফখরুল কেন দ্বৈত নীতি গ্রহণ করলেন? সরকারবিরোধী কৌশলের জন্য তিনি শপথ নেননি, এ বক্তব্য হাস্যকর ও ধোপে টিকে না বলেও জানান তিনি।