Breaking News
Home / Breaking News / মিশরে ৭৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

মিশরে ৭৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

মিশরের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর মুসলিম ব্রাদারহুডের সমর্থকদের এক অবস্থান ধর্মঘটে সহিংসতার ঘটনায় ৭৫ জন আন্দোলনকারীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে মিশরের একটি আদালত।

শনিবার ওই আদালতের রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে আরও ছয় শতাধিক ব্যক্তিকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্স, বিবিসির।

২০১৩ সালে ব্যাপক সহিংসতার মধ্য দিয়ে কায়রোর রাব্বা আদাবিয়া স্কয়ারে মুসলিম ব্রাদারহুড আয়োজিত ওই অবস্থান ধর্মঘটের অবসান হয়েছিল। ওই সময় কয়েশত আন্দোলনকারী নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছিল।

এই রায়ের মাধ্যমে খুন, সহিংসতা উস্কে দেওয়া ও অবৈধ প্রতিবাদ সংগঠিত করাসহ বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত প্রায় ৭০০ ব্যক্তির গণবিচার শেষ হল।

মিশর সরকার জানিয়েছে, ওই অবস্থান ধর্মঘটের সময় অনেক প্রতিবাদকারী সশস্ত্র ছিল এবং ওই স্থান থেকে প্রতিবাদকারীদের তুলে দিতে গিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর আট সদস্য নিহত হয়েছিল। প্রথমদিকে ওই ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনীর ৪০ জনেরও বেশি সদস্য নিহত হয়েছে বলে সরকারি ভাষ্যে দাবি করা হয়েছিল।

মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো জানিয়েছে, মিশরে ২০১১ সালের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী অস্থিরতার সময়কালে একক সবচেয়ে প্রাণঘাতী ওই ঘটনায় ৮০০ প্রতিবাদকারী নিহত হয়েছিল।

কায়রোর দক্ষিণে অবস্থিত তোরা কারাগারে স্থাপিত ফৌজদারি আদালত ব্রাদারহুডের জ্যেষ্ঠ নেতা ইসাম আল এরিয়ান, মোহাম্মদ বেলতাগি ও ধর্মপ্রচারক সাফওয়াত হিগাজিসহ বেশ কয়েকজন প্রখ্যাত ইসলামপন্থিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে।

মুসলিম ব্রাদারহুডের আধ্যাত্মিক নেতা মোহাম্মদ বাদিয়াসহ ৪৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অন্যান্যদের পাঁচ বছর থেকে সর্বোচ্চ ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

কারাগারে আটক থাকার সময় পাঁচ জনের মৃত্যু হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছে বিচারিক সূত্রগুলো।

আদালতের দেওয়া এ রায়কে ‘কলঙ্কজনক’ অভিহিত করে এর নিন্দা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

অনলাইন ডেস্ক :সামরিক বাহিনী কর্তৃক মিশরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রতিবাদে ২০১৩ সালে রাব্বা স্কয়ারে কয়েক সপ্তাহ ধরে অবস্থান ধর্মঘট চলার পর নিরাপত্তা বাহিনী শক্তি প্রয়োগ করে প্রতিবাদের অবসান ঘটায়। মিশরের বর্তমান প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তা আল সিসি ওই সময় দেশটির সামরিক বাহিনীর প্রধান ছিলেন।

ধর্মঘট ভেঙে দেওয়ার পর কয়েকশত লোককে গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা উস্কে দেওয়া, খুন ও অবৈধ প্রতিবাদ আয়োজনের অভিযোগ আনা হয়।

অনেক অহিংস প্রতিবাদকারী ও সাংবাদিকের বিরুদ্ধেও এসব অভিযোগ আনায় বিচার কার্যক্রমের নিন্দা জানিয়েছিল মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো।

Powered by themekiller.com