Breaking News
Home / Breaking News / ভৈরবে থানা থেকেই মোটরসাইকেল চুরি হয়!

ভৈরবে থানা থেকেই মোটরসাইকেল চুরি হয়!

ভৈরব প্রতিনিধিঃ
সম্প্রতি কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় মোটরসাইকেল চুরির হিড়িক পড়েছে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সেখানকার পুলিশ বাহিনীর মোটরসাইকেলও ‘জাঁদরেল’ চোরের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না।
সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো, সিসিটিভি ক্যামেরার আওতাভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও খোদ থানা কমপ্লেক্সের নজরদারি ও নিরাপত্তা প্রহরা ডিঙিয়ে মোটরসাইকেল হাতিয়ে নিচ্ছে চোর। সিসিটিভি ফুটেজ দেখেও তার বিহিত করতে পারছে না পুলিশ।
এরই মধ্যে গত বুধবার মাঝরাতে থানা থেকে উপপরিদর্শক (এসআই) শ্যামল মিয়ার ১৬০ সিসির সুজুকি মোটরসাইকেল চুরি হয়েছে। এর মাত্র দুদিন আগেই এক লাখ ৭০ হাজার টাকা মূল্যের বাহনটি কেনেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে জানুয়ারিতে থানা কমপ্লেক্সের ভেতর থেকে ১৫০ সিসির একটি পালসার মোটরসাইকেল চুরি যায়। তারও আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে গভীর রাতে থানার গ্যারেজ থেকে চুরি হয়ে যায় উপপরিদর্শক (এসআই) অভিজিৎ চৌধুরীর ইয়ামাহা ফেজার মডেলের ১৫০ সিসির একটি মোটরসাইকেল।
এদিকে, চলতি মাসের ৮ তারিখ শহরের কমলপুর এলাকা থেকে ভৈরব বিএডিসি সার গুদামের গুদামরক্ষক আতাউর রহমানের বাজাজ ডিসকভারি ১২৫ সিসির মোটরসাইকেলটি নিয়ে যায় চোর। এর আগে ভৈরবপুর গ্রামে দিনেদুপুরে বাড়ি থেকে চুরি হয়ে যায় সবুজ নামের ইতালিপ্রবাসী এক যুবকের পালসার মোটরসাইকেল।
এসব ছাড়াও সম্প্রতি উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের ভেতর থেকে উপজেলা প্রকৌশলীসহ বেশ কয়েক কর্মকর্তার মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভৈরব থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. বাহালুল খান বাহার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বিষয়টি সত্য, স্পর্শকাতর। পর পর পুলিশ অফিসারদের তিনটি মোটরসাইকেল চুরি হয়ে গেছে। এমন দুঃসাহসিক কাজ কারা, কীভাবে ঘটাচ্ছে, এর তদন্ত হবে। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছুটিতে আছেন। তিনি ফিরলেই বিষয়টি নিয়ে বসব আমরা।’
এদিকে এসব মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় থানায় জিডি করেও কোনো সুরাহা হচ্ছে না। উপরন্তু খোদ থানা থেকেই মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। থানার নিরাপত্তা ব্যবস্থাই যদি এমন নাজুক হয়, তাহলে বাইরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেমন হতে পারে, তা ভেবে শঙ্কিত অনেকে।

Powered by themekiller.com