এইচ এম ফারুক::
চাঁদপুরে মতলব উওর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার সহযোগিতায় খোলা আকাশের নিচে বসবাসকারী ১ টি পরিবারকে ঘর প্রদান করা হয়েছে। সরজমিনে জানা যায়, স্হানীয় প্রাাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা হোম ভিজিটে এসে দেখেন তাদের শিক্ষার্থীদের লেখা পড়ার কোন পরিবেশ নেই। বসবাস করার ঘর নেই। খোলা আকাশের নিচে পলিথিন পেচিয়ে ঝুপড়ি ঘরে মানববেতর জীবন যাপন করছে অসহয় পরিবারটি। দারিদ্র্যতার করাল গ্রাসে তারা আক্রান্ত। ৬ সদস্যের পরিবারে একমাত্র আয়ের উৎস ৬৫ বছর বয়সী আয়েত আলী। জীবন যুদ্বে পরাজিত সৈনিক সে। তিন ছেলে তিন মেয়ে তার। তন্মধ্যে তাকে কেউ দেখা শোনা করেনা। তিন মেয়ের বিয়ে হলেও ছোট মেয়ে সালমা আক্তার স্বামী পরিত্যাক্তা। তার রয়েছে দু’টি সন্তান। আয়েত আলীর সংসারে রয়েছে স্ত্রী ভুলু বেগম,স্বামী পরিত্যাক্তা মেয়ে সালমা আকতার ছোট ছেলে আমির হোসেন(৪র্থ শ্রেনী) নাতি সবুজ(৩য় শ্রেনী) সিফাত( ৩য় শ্রেনী), নাতনি ফাতেমা(২য় শ্রেনী)।
এই অসহায় পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তি হচ্ছে আয়েত আলী। পেশায় দিন মজুর। বয়সের ভারে ন্যুজ। সে সাদুল্লাপুর ইউনিয়ের জামালপুর গ্রামে শ্বশুড় বাড়িতে বসবাস করেন। দিন মজুর আয়েত আলী জানান,তার স্ত্রী ভুলু বেগমের বাপের বাড়ি থেকে পাওয়া ৫ শতক জায়গায় তাদের বসবাস। অর্থনৈতিক দৈন্যদশার কারনে সে বসত ঘর করতে পারেনি। ফলে খোলা আকাশের নিচে পলিথিন পেচিয়ে বসবাস করেছে।
সুএে জানা যায়, উপজেলার ৩৪ নং মুক্তিরকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা ইয়াসমিনসহ শিক্ষকিরা হোম ভিজিটে গিয়ে দেখেন জামালপুর গ্রামের আয়েত আলী(৬৫) স্ত্রী মেয়ে স্কুল পড়ুয়া ১ ছেলে ও ২ নাতি ও ১ নাতিন কে নিয়ে পলিথিন পেচিয়ে ঝুপড়ি বানিয়ে খোলা আকাশের নিচে মানববেতর জীবন যাপন করছে এবং আয়েত আলীর ১ ছেলে ও ৩ নাতি – নাতিন স্কুলে পড়াষানা করেন এ বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে অবহিত করেন।
মতলব উত্তর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন ভুইয়া মুক্তির কান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা ইয়াসমিন কাছ থেকে অসহায় পরিবারের কথা জেনে ইউএনও কে জানান। মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার মানবিক দিকে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে পলিথিন পেচানো বসবাসকারী আয়েত আলীর অসহায় পরিবারের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করে । ১ টি ঘর ও ১ টি স্বাস্থ্য সম্মত ল্যাটিন করে দেয় । এতে খরচ হয়েছে ১ লাখ টাকা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার জানান আয়েত আলী তার পরিবার নিয়ে খোলা আকাশে বসবাস করতো তা আমার ভাবতে কষ্ট হচ্ছে। তাই এ বিষয়টি জেনে অল্প সময়ে মধ্য ঘর নির্মানের ব্যাবস্হা করি।