Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

কবিতা
শিরোনাম -যদি ফিরে পেতাম!
-আ শ রা ফু ল ই স লা ম
১৩-০১-২৩

যদি আবার ফিরে পেতাম হারানো দিনগুলো
স্মৃতিময় শৈশব;ভাবনাহীন জীবন!
মায়ের বকুনি বোনের খুনসুটি
ভাইয়ের ভালোবাসা বাবার শাসন
মজা হতো ভীষণ!
যদি আবার ফিরে পেতাম হারানো
সেই দুরন্ত কৈশোর
গাছে উঠা,জল সেচে মাছ ধরা
ডাগ্গি-পিচ্চি দিল্লি-মদলি
গায়ে মেখে ধুলো-বালি
ইচ্ছে মতোন
হাতের তালুয় লাটিম বনবন
হৈচৈ লুটোপুটি চড়ুইভাতি
দুষ্টুমি গলাগলি মারামারি ফাটাফাটি!
গুড্ডি চিলা লালনীল ঘুড়ি ওড়ানো
স্কুল ফাঁকি
দুপুর রোদে টোটো বেড়ানো
কানামাছি ভোঁ ভোঁ
বাঁদরামি ডাংগুলি ডানপিটে দিন গুলি
আম চুরি জাম চুরি খেজুরের রস চুরি
সারাবেলা হোরিখেলা পানকৈড়ি ডুব পাড়া
লগি-বৈঠা কলার ভেলা
পদ্ম বিলে শাপলা শালুক তোলা
যদি আবার ফিরে পেতাম সেই শৈশব
হারানো কিশোর বেলা!

রচনা কাল -১০-০১-২৩ইং

——————————————–
কবিতা ।।
শিরোনামঃ ভালোবাসা ।।
কলমেঃ প্রহ্লাদ ভৌমিক ।।
তারিখঃ ১৩-০১-২০২৩

ভালোবাসা ।। প্রহ্লাদ ভৌমিক ।

মধ্যরাতের অন্ধকারে তুমি রোজ , চৌকাঠ পেরিয়ে আসো আমার কাছে
ঘুম-পোশাকহীন ছায়ার ভিতর ;

তোমাকে দেখে নিজেকে যতবার শাসন করি
ততবার পাশ ফিরি রুদ্ধশ্বাসে…
একেবারে মুখোমুখি এসেও থামে না দৃশ্যটি ।

অন্ধকারে ভেসে থাকা তোমার ছায়ার ভিতর থেকে
বেরিয়ে এসে তুমি অসম্ভব ছুঁয়ে দাও আমাকে,
আমিও ছুঁয়ে দিই তোমাকে…,

স্পর্শে স্পর্শে জ্বলে ওঠে লকলকে আগুন,
আগুনে আগুনে আমাকে পোড়াও, তুমিও পোড়ো,
তারপর আমাকে তুমি কবিতার অক্ষর বানাতে
নিয়ে যাও আড়ালে ।

এভাবে অক্ষর বানাতে বানাতে আমি তোমাকে
আলিঙ্গন করি এবং উষ্ণ জলস্রোতে
আমূল বিদ্ধ করি তোমাকে ।
এরকম জীবনের যতটুকু অনিবার্য আক্ষরিক
ও আনন্দময়, সত্য ও সুন্দর ,
সে সবের যে টুকু তুমি ধারণ করছ
আর আমার জন্য যে টুকু অনন্ত করে রাখছ
আমি তার নাম দিই ভালোবাসা ।

——————————————-
খবরের শিরোনাম
নার্গিস পারভীন
১২/০১/২০২২

খবরের শিরোনামটা ছিল–
‘অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূ– স্বামী পলাতক’
এক ঝলকে একটা পোড়া
বিকৃত কুন্ডলি পাকানো শরীর যেন ফুটে উঠলো–
কাগজের লেখার ওপর;

চুল পশম বস্ত্র নেই অবশিষ্ট,
কেবল চামড়াগুলো পোড়া বেগুনের খোসা মাত্র।

স্বজনেরা কেঁদেছিল কিনা
জানার লেশমাত্র ইচ্ছে নেই– আমার;

কারণ মেয়েটির বোবা কান্না শোনার মতো
স্বজন কেউ ছিল কি?
যদি থাকতো,
স্বজনদের মায়াকান্না– এভাবে
কাঁদতে হতো না।।

(#সিরিজ –০২)(রচনা :- ০৮/০১/২০২৩ )

——————————————–

কবিতা:-বিবেকের জন্মদিন
কলম:-অরিজিৎ ঘোষ(১২/০১/২৩)

তোমাকে নিয়ে তো আজ সবাই লিখছে,নানা কথাই লিখলো,আরো লিখবে,মেরুদণ্ডের হাড়ে তবু ঘূণ,
অধর্ম ও অধার্মিক ঘূর্ণিঝড়ে পৃথিবী আজও হতাশ,
তুমি এ মাটীতে এদিন না যদি আসতে কি হত?!
কতোটা কি ওলটপালট হত মানচিত্রের বৈচিত্র্যে!
সে হিসেবের মাপজোপ করা সত্যি অবান্তর খেয়াল,
এক একটা ‘জন্ম’ ইতিহাস লেখে,ইতিহাস গড়ে পূর্ব নির্ধারিত কোনো এক জটিল গাণিতিক কৌশলে।
তুমি এ দেশের মাটী ছুঁতে না সেটা আগে থেকেই মিথ্যা ছিলো,মহাকালের তান্ডবের সাথে সাথে একটা জবরদস্ত নিয়ম আছে তিন কাল গড়ার।
কজনের বিবেক জেগেছিল,এখন জাগছে কত বা ভবিষ্যতের জাগানিয়া সব সেই ত্রৈকালিক আবর্তনের চক্রে ঘূর্ণায়মান মহাজাগতিক কাব্য।
নির্ধারণের জটিল কারুকাজের কলমটি অবিরত কার হাতে লিখে চলেছে পৃথিবীর তিনকালের ইতিবৃত্ত সেই রহস্য উন্মোচনে এ গ্ৰহের জীবকূল নিতান্তই ছেলেমানুষ,অপারগ,তবুও প্রলাপ বকে।
পোষা জীবকুলের সর্বোচ্চ সিঁড়িতে সেই দাপুটে মানুষও কিন্তু নির্ঘাত খেলার পুতুল।
তুমি বলেছিলে মানুষের আস্ফালনে ও আর্তনাদে
ব্রহ্মাণ্ডের একটু মাটীও ফাটে না।
যা বলে গেছো তা আজও মাপতে পারেনি তাবৎ মানুষ।
তোমাকে নতুন করে চেনার সমস্ত উপাদান এখনও প্রখরতা নিয়ে সুস্থির সাম্যে,তবে যদি বাঁচে মানুষ।

——————————————–
শিরোনাম: মরুঝর
কলমে: শিপ্রা দেবনাথ(টুলটুল)
তারিখ: ১২.০২.২০২৩

মরুঝড়
আমার সুর ছন্দ লয় কারো কোন তালেই বাঁধা পরল না,,,
সুর ছন্দ লয় ভালো নয় কিংবা অপরদিকে তালই কাঁচা! এ এক বড্ড গোলযোগ।
আলেখ্য লেখা হয়েছিল আকাশের নীলে,
ধরনীর গুরু গম্ভীর মাদল-নিনাদে বারবার কেটেছিল তার তাল।
স্বপ্নসঙ্গীতে বভুক্ষু
নতুন জীবনের আশ্বাস প্রয়াত হয় বারবার
বিত্তশূন্য চিত্তের আবেগে অসচ্ছলতা
শ্বাসরুদ্ধ জীবন নিরস তাণ্ডবের শিকার,,,
জীবনের বেঁচে থাকা বসন্ত টুকু রক্তাল্পতায় ভুগছে
নির্যাস টুকু শুষে নেয় উসকোখুসকো এলোমেলো বাতাস।
মরু ঝড়ে পথভ্রষ্ট হয়ে এখন বেপরোয়া পথিক হয়ে উঠেছি,,,
নিষাদের বিষাদ কি উদাস!!!
তোমরাও কি জানো তাকে?
বাসর রচনার আগেই অজ্ঞাত ঘোড়সওয়ারের হাতের বর্শায় সব তছনছ।
ওরা জিরাফের মত গলা উঁচিয়ে হাটে
সাপের মতো প্যাঁচিয়ে ধরে দেহের প্রতিটি বাঁকে।
অজানা অচেনা এই উৎকণ্ঠাই কি যুগান্তরের উপন্যাস?
© Sipra Debnath Tultul.

——————————————-

একটি প্রজন্মের কণ্ঠস্বর

একটা হারানো প্রজন্ম এরা
তারাও বিকশিত করতে চায়
তাদের প্রতিভার, অথচ
তারা আজ বঞ্চিত সে সুযোগ থেকে।

তাদেরও চোখে আছে স্বপ্ন, আছে আশা
আছে চোখে, ফেলে আসা স্বদেশের স্বপ্ন
আছে ঘরে ফেরার তাগিদ ;
তবুও ফেরা হয়না?

অজস্র হাত এখানে উঁচানো একটু সাহায্যের আশায়
তবুও দেখার যেন কেউ নেই ,
আশ্রয়ের এক চিলতে জায়গা তাও নেই !
যতবার ভাবে একটা আবাস গড়বে ;
ততবার চোখে ভাসে দুঃসময়ের স্মৃতি —

সমস্ত চেতনায় ভিড় করে এক আকাশ যন্ত্রণা
গভীর অন্ধকারে শুনতে পায় কোনো এক লুকানো মুখের কান্না ;
যেন পলিহীন বালুচরে আছড়ে পড়ে ঢেউয়ের সাথে
ভয়াল শব্দে ভারি হয়ে ওঠে চারপাশ,
তবুও ফেলে আসা স্বদেশের ছবিতে ভিজে ওঠে চোখ
ফেরার তাগিদে ।

কলমে : রোকশানা আক্তার
তারিখ : ১২.০১.২০২৩

Powered by themekiller.com