কিছুদিন আগেই পাঁচ বছর পরের স্মার্টফোনের চেহারা দেখিয়েছেন গুগলের এক পরিচালক। এদিকে, নতুন এক গবেষণায় বলা হলো, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে মৃত্যু ঘটবে মহা জনপ্রিয় প্রযুক্তিপণ্যটির।
এরিকসন একটি জরিপ চালায়। এ প্রতিষ্ঠানের কনজ্যুমার ল্যাব থেকে ৩৯টি দেশের ১ লাখ মানুষকে প্রশ্ন করা হয়। ভবিষ্যতের মোবাইল সম্পর্কে কি ভাবছেন তা জানতে চাওয়া হয়। এদের অর্ধেক মনে করেন, ২০২১ সালের মধ্যে মোবাইল প্রযুক্তি অতীত হয়ে যাবে। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্ট যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে করে এমন হওয়াটা বিচিত্র কিছু নয়।
এরিকসন কনজ্যুমার ল্যাবের গবেষক রেবেকা অ্যাংস্ট্রম জানান, হাতে একটি স্মার্টফোন ধরে রেখেছেন, এ বিষয়টি আর বাস্তবতা থাকবে না। গাড়ি চালাচ্ছেন বা কোনো কাজে ব্যস্ত, এমন অবস্থায় এ কাজটি মোটেও মানায় না। আর আগামী পাঁচ বছরেই ঘটনা এমনই হবে। তা ছাড়া ব্যবহারকারীর নড়াচড়ার সঙ্গে মানানসই প্রযুক্তি জনপ্রিয় হতে থাকবে।
ধরুন, ফুটবল খেলা হচ্ছে। আপনি ঠিক করে নেবেন ঠিক কোথা থেকে দাঁড়িয়ে কোন স্পটে খেলা দেখতে চান। এ ছাড়া শপিংয়ের ক্ষেত্রে স্মার্টফোন আরো অনেক সহজে জুড়ে যাবে। টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে এরিকসনের রিপোর্টের প্রসঙ্গ তুলে বলা হয়, পাঁচ বছর পর মোবাইল সম্পর্কে ১০০ কোটিরও বেশি মানুষের চিন্তাধারার প্রতিফলন ঘটেছে এই রিপোর্টে। এরিকসনের রিপোর্টে উঠে এসছে ব্যবহারকারীদের কয়েকটি দারুণ চাহিদার কথা।
১. অনলাইন সেবা পেতে চান প্রতি পাঁচজনের মধ্যে চারজন। এ সেবার দারুণ চাহিদা মানুষের মাঝে।
২. স্ট্রিমিং সার্ভিস পেতে মুখিয়ে আছেন অসংখ্য মানুষ। বিশেষ করে টিনেজারদের মধ্যে দারুণ জনপ্রিয়। ইউটিউবের মতো অসংখ্য চানেল চান তারা।
৩. স্মার্টফোনের পর্দায় চাহিদা মোতাবেক বস্তু দেখাবে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এমনটাই দেখতে চান প্রযুক্তিপ্রেমীরা।
৪. প্রতিদিন প্রায় প্রতিটি কাজকে ভার্চুয়াল প্রযুক্তি পেতে চান সবাই। খেলা বা ভিডিও কলিংয়ের ক্ষেত্রে এর চাহিদা অপরিসীম।
৫. স্মার্টফোনের মতো স্মার্টফোন বাড়ি চান জরিপে অংশ নেওয়া ৫৫ শতাংশ মোবাইল ব্যবহারকারী। তারা মনে করেন, স্মার্ট প্রযুক্তিতি বাড়ির দেওয়ার পর্যন্ত নির্মাণ করা সম্ভব।
৬. চলাচলের জন্যে স্মার্ট কমিউটার চান মানুষ। জরিপের ৮০ শতাংশ ব্যক্তিগত স্মার্ট ট্রান্সপোর্ট চাইছেন।
৭. জরুরি ভিত্তিতে চ্যাটিং সার্ভিস চান তারা। তারা প্রাকৃতিক দুর্যোগের খবর পেতে বিশেষ অ্যাপ চান।
৮. যাবতীয় স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য দিতে আরো বেশি সেন্সর চান ব্যবহারকারীরা।
৯. যেকোনো কিছু হ্যাকড হতে পারে বলে বিশ্বাস তাদের। তাই এমন একটি সংস্থা চান যারা হ্যাকিং সংক্রান্ত যাবতীয় সমাধান দেবে।
১০. ইন্টারনেটে সাংবাদিকতা সব সুবিধা চান মানুষ। ইন্টারনেটেই দুনিয়ার সব ঘটনা ও তথ্য পেতে আগ্রসী সবাই।