অভিজিত রায় ।। চাঁদপুরের সর্বজন শ্রদ্ধেয় সাবেক গণপরিষদ সদস্য ও চাঁদপুর পৌরসভার সফল চেয়ারম্যান, প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা মরহুম আবদুল করিম পাটওয়ারীর ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া শহরের তালতলাস্থ পাটওয়ারী বাড়ি জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২১ জানুয়ারি সোমবার বাদ অাসর
দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান, পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির, জেলা অাওয়ামীলীগের সভাপতি পৌর মেয়র নাছির উদ্দিন অাহমেদ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ওচমান গণি পাটওয়ারী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মরহুম অাব্দুল করিম পাটওয়ারীর জেষ্ঠ সন্তান ও সাধারন সম্পাদক অাবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শওকত ওচমান, সহ সভাপতি অাব্দুর রশিদ সর্দার, সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী, শাহীর হোসেন পাটওয়ারী, অাপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক অাবু নাছের বাচ্চু পাটওয়ারী, সদস্য এম এ কুদ্দুস, অাইয়ুব অালী বেপারী, এডভোকেট সাইয়েদুল ইসলাম বাবু, এডভোকেট বদিউজ্জামান কিরন, হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহাবুব অালম লিপন, কচুয়া উপজেলা পনিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট হেলাল উদ্দিন, হাইমচর উপজেলা অাওয়ামীলীগের সভাপতি মোতালেব জমাদার, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শহীদ পাটওয়ারী, সাবেক;সভাপতি ইকরাম চৌধুরী, সাবেক সাধারন সম্পাদক শরীফ চৌধুরী, চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র সিদ্দিকুর রহমান ঢালী, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাবু, রাজরাজেশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান হযরত অালী। দোয়া পরিচলিনা করেন মাওলানা অাব্দুল সালাম। দোয়া শেষে উপস্থিত সকলে মরহুমের কবর জিয়ারত করেন।
উল্লেখ্য ২০০০ সালের ২০ জানুয়ারি ভোর ৬টা ৩৫ মিনিটে চাঁদপুর শহরের তালতলাস্থ নিজ বাড়িতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এই দিনেই বিকেল ৫টায় চাঁদপুরে স্মরণাতীতকালের বিশাল জানাজা শেষে পাটওয়ারী বাড়ি জামে মসজিদের দক্ষিণ পাশে পারিবারিক কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁকে দাফন করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মরহুম আবদুল করিম পাটওয়ারী সকল রাজনৈতিক নেতা-কর্মী এবং চাঁদপুরবাসীর কাছে ছিলেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় ও সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। তাঁর মৃত্যুর সংবাদ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার মানুষ এই মহান নেতাকে শ্রদ্ধা জানাতে বাড়িতে এসে ভীড় জমায়। সর্বত্র নেমে আসে শোকের ছায়া। মরহুম আবদুল করিম পাটওয়ারী শুধু রাজনীতিবিদই ছিলেন না, তিনি ছিলেন শান্তিপ্রিয় ব্যক্তিত্বসম্পন্ন একজন সাধারণ মানুষ এবং নির্ভীক সমাজসেবক। স্বাধীনতাত্তোর চাঁদপুর পৌরসভাকে আধুনিকায়ন করতে তাঁর চিন্তা-চেতনা ও পরিকল্পনা ছিল অতুলনীয়। সে জন্যে চাঁদপুরবাসী মৃত্যুর আগে ও পরে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে আসছিলো।