Breaking News
Home / Breaking News / বিএনপির নেতৃত্ব কার হাতে, জানে না কেউ

বিএনপির নেতৃত্ব কার হাতে, জানে না কেউ

ষ্টাফ রির্পোটারঃ

প্রায় এক বছর ধরে কারাগারে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি জেলে থাকলেও তার পরামর্শেই বিএনপি চলছে বলে দাবী করেন বিএনপির নেতারা। কিন্তু একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে দলের মনোনয়ন সহ সকল বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন তারেক রহমান। আবার নির্বাচনের আগেই বেশ করেকবার দলের সিনিয়র নেতা ও আইনজীবীরা খালেদা জিয়ার পরামর্শ নিয়েছেন বলে দাবী করেন।
যদিও বিএনপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির দিকনির্দেশনার ভিত্তিতেই দল পরিচালিত হওয়ার রীতি রয়েছে। তবে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের দুই ধরণের নির্দেশনায় সিদ্ধান্ত নিতে পারে না স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
বিএনপি যদিওবা কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছায়, কিন্তু জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় সেই সিদ্ধান্তের প্রতিফলনও বাস্তবে দেখা যায় না। সম্প্রতি জামায়াত ইস্যুতে বিএনপির বিপরিত বক্তব্য দেয়ায় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গেও তিক্ততা সৃষ্টি হয়েছে বিএনপির। ঐক্যফ্রন্টের তীর্যক মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়েছে বিএনপি। এ নিয়ে ২০-দলীয় জোট ও ফ্রন্টে চলছে টানাপড়েন। গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তই এখন আটকে যাচ্ছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও জোটের বৈঠকে। এ মুহূর্তে বিএনপির নেতৃত্ব এখন কার হাতে তাও স্পষ্ট নয়। দলের নেতৃত্ব কীভাবে চলছে-তা নিয়ে প্রশ্ন মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদেরও।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে করুণ পরাজয়ের পর দলের ভেতর এই প্রশ্নটি আরো তীব্র হয়ে উঠেছে। বিএনপি কি এখন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে চলবে, নাকি কারাবন্দী দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পরামর্শে দলের স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে? নাকি দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্ব ঘিরে দল চলবে অথবা লন্ডনে নির্বাসিত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে চলবে বিএনপি?
এদিকে নেতৃত্বহীনতার প্রভাব পড়েছে দলের ভিতরেও। বিএনপির মধ্যম সারির নেতারা দাবী করেন, প্রার্থী বাছাইয়ে পর্যাপ্ত হোমওয়ার্ক ছাড়াই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিএনপি। ভোট নিয়ে নানা প্রশ্ন থাকলেও কেন্দ্রে এজেন্ট ধরে রাখার মতো সাংগঠনিক শক্তি বিএনপির অধিকাংশ আসনেই ছিল না। কেন্দ্র পাহারা দেওয়ার কথা বললেও নেতারা আগের দিনই ভোটের মাঠ ছেড়ে দেন। যুবদল, ছাত্রদলসহ বিএনপির কোনো অঙ্গসংগঠনকেই মাঠে দেখা যায়নি।
বিশ্লেষকরা বলছেন এ অবস্থায় আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে বিএনপির ভারডুবি হতে পারে।

Powered by themekiller.com