বিশেষ সংবাদদাতা : গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থেকে তিন মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে জেলার ডিটেকটিভ বাঞ্চের (ডিবি) সদস্যরা। তাদের জবানবন্দীতে শীর্ষ কয়েকজন মাদক কারবারির নাম ওঠে এসেছে।
মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) ডিবির মাদক বিরোধী বিশেষ দল অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন শ্রীপুরের রাজাবাড়ি ইউনিয়নের চিনাশুখানিয়া বড়চালা পশ্চিমপাড়া এলাকার মো. বিল্লাল হোসেনের ছেলে মো. আমান উল্লাহ (৩২), বড়চালা মালিপাড়া এলাকার বিল্লাল হোসেনের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩০) ও রাজাবাড়ির গজারিয়া এলাকার মমতাজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৩)।
তাদের তল্লাশি করে ১৩০ পিস ইয়াবা বড়ি ও বিক্রির ১ লাখ ২০ হাজার ৬৫০ টাকা পেয়েছে বলে দাবি করছে ডিবি পুলিশ।
তবে আসামিদের দাবি, তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের মাদক ছিল না। তবে অসমর্থিত একটি সূত্রের তথ্যমতে, তারা সবাই চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ি। এমন খবর পেয়ে যোগফল তাদের সঙ্গে কথা বলেছে।
মো. আমান উল্লাহ’র ভাষ্য, তিনি ৬ মাস ধরে মাদক ব্যবসায় যুক্ত। আগে তিনি র্যাবের হাতে মাদকসহ গ্রেপ্তার হয়ে তিনমাস জেল খেটেছেন। পেশায় তিনি বাস চালক। তার দাবি, তিনি মাদক কারবারে যুক্ত নন। প্রতিদিন ২-৩টি ইয়াবা বড়ি কিনে সেবন করেন।
পরক্ষণেই কথা পাল্টে জানান, বড়চালার এক পাইকারি মাদক কারবারির কাছ থেকে তিনি ১০০-২০০ পিস ইয়াবা ২০০-২৫০ টাকা দরে কিনে ব্যবসা করতেন। বেশির ভাগ সময় বামনগাঁওয়ের জুয়েলের কাছ থেকে তিনি ইয়াবা কিনেন। তিনি জানান, তাকে টয়লেট থেকে ধরেছে ডিবি পুলিশ। তবে সঙ্গে বা ঘরে কোনো ধরনের মাদক পায়নি।
আনোয়ার হোসেনের ভাষ্য, তিনি সকালে ঘুম থেকে ওঠে দাঁত ব্রাশ করার সময় ডিবি ধরেছে। সঙ্গে কোনো ধরনের মাদক পায়নি। আগে তিনি টমটম (ইঞ্জিন চালিত গাড়ি) চালাতেন। বর্তমানে রাজমিস্ত্রির সহযোগীর কাজ করেন। পুলিশের দাবি, তিনি গ্রেপ্তারের দিন আমান উল্লাহ’র কাছ থেকে ২০০ টাকা দরে ১০০ পিস ইয়াবা বড়ি কিনেছেন। তবে তিনি এমন অভিযোগ অস্বীকার করে যোগফলকে জানিয়েছেন, ৫ পিস ইয়াবা বড়ি ২০০ টাকা দরে কিনেছেন।
আব্দুল্লাহ আল মামুনের ভাষ্য, তাকে ধলাদিয়া-রাজাবাড়ি এলাকার ডার্ড গার্মেন্টের সামনে থেকে ডিবি গ্রেপ্তার করেছে। তবে সঙ্গে কোনো মাদক পায়নি। তিনি শ্রীপুর থানার একটি মাদক মামলায় দুই মাস জেলে ছিলেন। কাপাসিয়া থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মাদকের, একটি পারিবারিক মামলা রয়েছে।