Breaking News
Home / আন্তর্জাতিক / তোমরা কেমন অকৃতজ্ঞ জাতি?

তোমরা কেমন অকৃতজ্ঞ জাতি?

বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর সময় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ছিলেন বেলজিয়ামের একটি এয়ারপোর্টে। ইমিগ্রেশন অফিসার শেখ হাসিনার পাসপোর্ট দেখে ভ্রূ কুচকে বললো, তুমি কী বাংলাদেশী ?

পিতার মৃত্যু শোকে কাতর কন্যা অনেক কষ্টে হা সুচক মাথা নাড়লে ওই অফিসারটি বললো , “তোমরা কেমন অকৃতজ্ঞ জাতি? যে মুজিব নিজের জীবন কে তুচ্ছ করে তোমাদের স্বাধীনতা এনে দিলো সেই তাকেই কিনা তোমরা এমন নির্মম ভাবে হত্যা করে ইতিহাসে এমন নজীরের জন্ম দিলে’ ? শেখ হাসিনা আর পারলেননা নিজেকে ধরে রাখতে, শোক কে পারলেননা দমিয়ে রাখতে, আকাশ বাতাস কে কাদিয়ে চিতকার করে মাতম শুরু করলেন, সেদিন তাকে সান্তনা দেয়ার ছিলনা কেউ পাশে।

এক অসহায়, সহায় সম্বলহীন নারীর আর্তনাদের নীরব সাক্ষী হয়ে রইলো বেলজিয়ামের সেই এয়ারপোর্ট।
যাযাবরের জীবন হয়ে গেলো বঙ্গবন্ধু কন্যার, এই দেশ থেকে সেই দেশ , এক জায়গা থেকে আরেক জায়গা পালাতে পালাতে অবশেষে ঠাই হোলো কলকাতার এক টিনের কুঠিরে। যিনি দেশকে স্বাধীনতা এনে দিলেন, ভাষা দিলেন, আইন দিলেন , জাতীয়তা দিলেন সেই তিনি অযত্নে অবহেলায় শুয়ে রইলেন গোপালগঞ্জের এক নিভৃত পল্লীতে, আর তার কন্যা অনাদরে অপমানে নির্বাসিত হয়ে রইলেন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের এক অন্ধকার কুটীরে !
তখনকার বাংলাদেশে ঠাই হলো গোলাম আজোমের, পুনর্বাসন হলো একে একে সব রাজাকারের কিন্তূ স্বদেশের মাটিতে অবাঞ্চিত হয়ে রইলেন বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা ! শত বাধা পেরিয়ে জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে বন্ধুর পথ পেরিয়ে সেদিনের অশ্রুসিক্ত পিতৃহারা কন্যাটিই আজকের বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী লৌহ মানবী শেখ হাসিনা।

দেশের ইতিহাস কে তিনি আবার ফিরিয়ে আনলেন, দেশের মুখে তিনি আবার হাসি ফুটাতে শুরু করলেন, রাজাকারদের তিনি ফাসীর দড়ির দিকে টেনে টেনে নিয়ে যেতে থাকলেন , দেশে আবার ও জয় বাংলার সুবাস ছড়াতে লাগলেন।

এমন দিনে আমরা শুধুই তার সমালোচনা নয়, বন্ধু হিসেবে তার পাশে দাড়িয়েছি, কর্মী হিসেবে তার সংগে আছি এবং শুভানুদ্ধায়ী হিসেবে তারই পথে চলছি। যে বা যারা অতি বুদ্ধির জন্য পথ হারাচ্ছেন তাদেরকে আবারও সঠিক পথের যাত্রী হবার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

error: Content is protected !!

Powered by themekiller.com