বিশেষ প্রতিনিধিঃ
গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ড. কামাল হোসেন বাংলাদেশের একজন ব্যর্থ রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত। এক সময়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করলেও এখন তিনি নেতৃত্বহীন বিএনপি জোটের হাল ধরার চেষ্টা করছেন।
সদ্য অনুষ্ঠিত হওয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বিএনপি ও তাদের জোটসঙ্গী স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতসহ আরও কয়েকটি দল নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে ধানের শীষ প্রতীকে অংশ নেয়। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ তাদের এ জোটকে ইতিহাসের নির্মম পরাজয় বরণ করিয়েছে। ৩০০ সংসদীয় আসনের মাত্র ৭টি আসন পেয়েছে তারা।
ভোটের আগে ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ড. কামাল বলেন, জামায়াত নেতারা ধানের শীষ পাবে জানলে তিনি ঐক্যফ্রন্টে যেতেন না। তবে ৫ জানুয়ারী ঠিক উল্টোসুর শোনা গেল তার মুখে। তিনি বলেছেন, জামায়াত তাদের জোটে নেই, আছে ২০ দলে।
এর আগে গত ১৩ অক্টোবর বিএনপিকে নিয়ে ঐক্যফ্রন্ট গঠন করার আগেই এই জোট নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন ড. কামাল। তিনি প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়ে বলেছিলেন, বিএনপির সঙ্গে জামায়াত থাকলে তিনি বিএনপির সঙ্গে জোটে যাবেন না। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি জামায়াতকে সাথে নিয়েই বিএনপির সঙ্গে জোট করেছেন।
শনিবার (৫ জানুয়ারি) দলের সবশেষ অবস্থান জানাতে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে গণফোরাম নেতা বিএনপির অবস্থানের বাইরে গিয়ে জানান ৩০ ডিসেম্বরের ভোটে জেতা তার দলের দুইজন সংসদ সদস্য শপথ নিতে চান। এ সংক্রান্ত নানা প্রশ্নের পর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জামায়াত প্রসঙ্গে দেয়া সাক্ষাৎকার নিয়েও জানতে চাওয়া হয় তার কাছে।
ধানের শীষে জামায়াত উঠবে জানতেন না, এখন তো জানলেন, এখন তো জানেন। তাহলে কি ঐক্যফ্রন্টে থাকবেন না?- এমন প্রশ্ন ছিল ড. কামালের কাছে। জবাবে তিনি বলেন, আমার সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেছেন, জামায়াত ঐক্যফ্রন্টে নেই। তারা ২০ দলীয় জোটে আছে।
এখন দেখা বিষয়, জামায়াতকেসহ ঐক্যফ্রন্টকে কোথায় নিয়ে যায় ড. কামাল হোসেন।