Breaking News
Home / Breaking News / রায়পুরের অধিকাংশ ম্যানেজিং কমিটির দূর্বলতার জন্য শিক্ষা ব্যবস্থা বেহাল দশা

রায়পুরের অধিকাংশ ম্যানেজিং কমিটির দূর্বলতার জন্য শিক্ষা ব্যবস্থা বেহাল দশা

হোম শিক্ষাঙ্গন
রায়পুরের অধিকাংশ ম্যানেজিং কমিটির দূর্বলতার জন্য শিক্ষা ব্যবস্থা বেহাল দশা।

রায়পুরের অধিকাংশ ম্যানেজিং কমিটির দূর্বলতার জন্য শিক্ষা ব্যবস্থা বেহাল দশা

দেলোয়ার হোসেন মৃধা: লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার মাধ্যমিক ও দাখিল পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠা গুলোতে শিক্ষার মান ক্রমেই বেহাল দশায় পরিনত হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা উচ্চ মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শতকরা ২ভাগ মেধার বিকাশ ঘটাতে পারছে না এবং উচ্চ শিক্ষার সুযোগ নিতে শিক্ষার্থীদের সু-শিক্ষার অভাব অন্যতম কারন। বিভিন্ন সুত্রে থেকে জানাযায়, দুই একটি সম্মানজনক ব্যতিক্রম স্কুল, মাদ্রাসা বাদে শিক্ষক এবং প্রদত্ত শিক্ষার মান বিচার করলে, হতাশ হওয়া ছাড়া কিছুই খুঁজে পাওয়া যাবে না।

দেখা যায়, বেসরকারি স্কুল, মাদ্রাসা গুলো দেখা শুনার জন্য স্থানীয় ব্যক্তিদের সমন্বয়ে ম্যানেজিং কমিটি থাকলেও আমলা তান্ত্রীক জটিলতা, স্থানীয় রাজনৈতিক পদ্ধতিগত ত্রুটি সর্বপরী প্রধান শিক্ষক, সুপারদের আর্থিক স্বার্থ হাসিলের চিন্তাই শিক্ষার মান উন্নয়ন ভেঙ্গে পড়েছে এবং ক্রমেই নিন্মগামী হয়ে পড়ছে। সুত্রে জানায়, শিক্ষা ব্যবস্থায় বেগাল দশার অন্যতম কারণ ম্যানিজিং কমিটির সদস্য, শিক্ষক সদস্যরা, প্রতিষ্ঠান প্রধানদের আন্তরিকতা অভাব, সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনা ও জবাবদিহিতার যতেষ্ঠ অভাব রয়েছে। স্কুল, মাদ্রাসা গুলোতে যদি সুষ্ঠ জবাব দিহিতা প্রতিষ্ঠা করার যায় এবং ম্যানেজিং কমিটির সার্বক্ষনিক তদারকি করা গেলে শিক্ষার মান অধিকতর ভাল হবে এবং কোয়ালিটি এডুকেশন বৃদ্ধি পাবে। বিগত এক যুগ ধরে আমাদের রায়পুরে সর্ব নিন্ম থেকে সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষার নামে যা চলে আসছে তা একজন শিক্ষার্থীর মানসিক নৈতিক এবং দৈহিক সামর্থ্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে লক্ষনীয় কোন অবদান রাকছে না। শিক্ষার বিভিন্ন পর্যায়ে কি কি সমস্যা বিরাজমান, তা উত্তোরণের সময়ে যদি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ নজরে না আনে তাহলে শিক্ষার মান মারাক্তক বিপর্যয়ের আশংকা রয়েছে।

অনুসন্ধান সুত্রে জানাযায়, বেশির ভাগ সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা ব্যাস্ত থাকেন কখন কাশে পড়ানো শেষ করে বাড়ি গিয়ে নানা কাজে ব্যস্ত থাকা, প্রাইভেট টিউশনারী প্রাইভেট পড়ায়ে অতিরিক্ত টাকা রোজগার, বাড়ি নির্মাণসহ নানা কাজে সময় ব্যয় করছে। বৃত্তবান সচেতন অভিভাবকরা তাদের ছেলে মেয়েদের ভাল লেখা পড়ার স্বার্থে ভাল স্কুল এবং শহরে পাঠাচ্ছেন। তার মধ্যে প্রাইভেট স্কুল, কলেজের সংখ্যাই বেশি। যদিও সে সংখ্যায় এলাকায় খুবই নগণ্য।

এ ছাড়া সরকারি ভাবে মাদ্ররাসা গুলোতে আইসিটি কম্পিউটার দেওয়া হলেও কার্যত তার কোন শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তি শিক্ষার বিষয়ে কোন কাজেই আসছে না। এ ছাড়া প্রশিক্ষিত শিক্ষকেরা এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠান গুলোতে যথেষ্ট সময় দিচ্ছেনা বলে অভিযোগ রয়েছে এবং বেশিভাগ মাধ্যমিক স্কুল, মাদ্রাসা, সরকারি প্রাথমিক স্কুল গুলোতে ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনের নামে পকেট কমিটি, দলীয় কমিটি, ভাই কমিটি, আন্তীয় কমিটি, তকদির কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন হয়ে থাকে। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই কমিটির লোক জনই স্ব-শিক্ষিত। তারা স্কুলের উন্নয়নের টাকা প্রধান শিক্ষকদের সাথে সমন্বয় করে নয়ছয় করার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে।

তা ছাড়া স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্য করছে তারা এ ধরনের অভিযোগও রয়েজে ম্যানিজিং কমিটির লোক জনের বিরুদ্ধে। সচেতন মহলে দাবী, স্কুল ম্যানেজিং নির্বাচনে শিক্ষিত জনপ্রতিনিধিদের দিয়ে নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হয় তাহলে রায়পুরের শিক্ষা ব্যবস্থা ব্যাপক উন্নয়ননের সম্ভাবনা রয়েছে।

Powered by themekiller.com