এম. আর হারুনঃ এ দেশে হাজার হাজার মানুষ অসহায়ত্ব জীবন যাপন করছে, লাখ লাখ মানুষ ক্ষুদার যন্ত্রনা সইতে না পেরে ভিক্ষারর ঝুলি হাতে নিয়ে পথে পথে ঘুরছে, কখনো কোনো পরিবার থেকে এক প্লেট ভাত পাচ্ছে আবার কেউ ফেরত যাচ্ছে, অনেক ভিখারী বয়সের ভারে নুব্জ হয়ে পথের পাশে বসে ভিক্ষা করছে, কখনো খেয়ে কিংবা না খেয়ে দিনাতিপাত করছে, দারিদ্রমুক্ত এ দেশ গড়ার কথা থাকলেও এখনো পথে প্রান্তরে ভিক্ষুককের আনাগোনা অবিচল, এদের দেখার কেউ নেই, এরা অবহেলিত বলেই বয়সের কারনে কোনো বাড়ীতে ঝিয়ের কাজ করতে পারছে না, আবার কেহ ঝিয়ের কাজ করতে গেলে গৃহকর্তীর রোষনালে পড়তে, ভুল হলে বকাজকা কিংবা শরীরেও আঘাত করতে কৃপনা করেনা। কিন্তু আজকাল মাজার ভক্ত হয়ে ওঠেছে মানুষ। নিয়ত মানতের মানতের টাকা কোনো মসজিদ নির্মানে কিংবা কোনো অসহায় মানুষকে দান করছে না। আজ আমরা বোকার রাজ্যে বসবাস করছি, ঢাকার গোলাপশাহ মাজারসহ দেশে হাজার হাজার মাজার রয়েছে, এসব মাজার গুলো লাখ লাখ টাকা প্রতি মাসে কোথায় যাচ্ছে তা অজানার বাইরে। কিন্তু এক শ্রেনীর পাগল টাইপের মানুষ মাজার পাহারা দিয়ে ভোগ বিলাস করছে। ঐ সব লোকের ছদ্দবেশ ধরা খুবই মুশকিল বলে জানা যায়। আমরা কোনো মাজারে টাকা না দিয়ে আমাদের পাশের অসহায়, দারিদ্র মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসতে পারি। মুলতঃ কোনো মাজারের অলি আওলারা মানুষের কাছ থেকে টাকা চেয়ে পৃথিবী ত্যাগ করেনি, কিন্তু বাৎসরিক উৎসবের নামে মাদকের নেশায় নেশাক্ত হয়ে পাপের রাজ্যে ভুষিত হচ্ছে। নিয়ম বহির্ভুত এ সমস্ত কাজ থেকে আমাদেরই সচেতন হতে হবে, কোনো মাজারে টাকা প্রদান না করে মসজিদ নির্মানে আমরা এগিয়ে আসি, আমাদের আশপাশের দারিদ্র অসহায় মানুষের পাশে প্রান মন খুলে দাড়াই, এতে আল্লাহ যেমন খুশি হবে তেমন ঐ অসহায় দারিদ্র মানুষ গুলো এক মুঠো ভাত খেয়ে আল্লার কাছে প্রার্থনা করবে। আমরা আজ থেকে সচেতন হই, এটাই আমাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য।