সরকারের উন্নয়নের চিত্র বর্ণনা করে আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, ‘দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, আমার মনে হয় ২০২০ সালের পর বিএনপি-জামায়াতের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না।’
রোববার সকালে ছাত্রলীগ আয়োজিত সুনামগঞ্জের দিরাই ডিগ্রি কলেজে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বিলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতি দুটি ধারায় বিভক্ত। একটি হচ্ছে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা, অপরটি হচ্ছে মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। অন্যদিকে, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত চক্র দেশে উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ সৃষ্টির পাঁয়তারায় লিপ্ত।’
পেট্রোল বোমা ও জ্বালাও পোড়াওয়ের রাজনীতি পরিহার করে বেগম খালেদা জিয়াকে গণতন্ত্রের পথে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে মিথ্যা জন্মদিন পালন না করে আসুন সার্বজনীনভাবে বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকী পালন করি।’
ছাত্রলীগের উদ্দেশ্যে সাবেক এই রেলমন্ত্রী বলেন, ‘ছাত্রলীগ হচ্ছে শিক্ষা শান্তি ও প্রগতির সংগঠন। লেখা পড়াই হল তাদের জীবনের আসল লক্ষ্য। প্রাইভেট প্রথা পরিহার করে তোমাদের কলেজমুখী হতে হবে। শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের পাঠদানে ও পাঠ গ্রহণে নিবেদিতপ্রাণ হতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘জরাজীর্ণ দিরাই ডিগ্রি কলেজকে একটি আধুনিক কলেজে রূপান্তরিত করেছি। আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি দিরাই কলেজ ও হাইস্কুল এবং বালিকা বিদ্যালয় জাতীয়করণ করবো। আমি কর্তৃপক্ষকে বলেছি আপনারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবো।’
দিরাই ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি উজ্জ্বল আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মান্না তালুকদার লিমনের পরিচালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সোহেল আহমদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোশারফ মিয়া, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র আজিজুর রহমান বুলবুল, দিরাই কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অনুকূল চন্দ্র দেব, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় চৌধুরী, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পারভেজ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল মিয়া প্রমুখ।