এম. আর হারুন ঃ নব্বই এর গন আন্দোলনের চাঁদপুরের বীর সৈনিক ছাত্রনেতা জিয়াউর রহমান রাজু দিবস আজ। প্রতি বছরই এ দিবসটি চাঁদপুর সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে পালিত হয়ে থাকে। সৈরাচার নিপাত যাক গনতন্র মুক্তি পাক এ শ্লোগানকে সামনে রেখে ১৯৯০ সালে তৎকালীন সৈর শাসক এরশাদ হঠাও আন্দোলন দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। দেশের জনসাধারন, ছাত্রজনতা সৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের ডাক দেয়। সৈরশাসক হঠাতে বাংলার জনতা এক ভুমিকা নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ে। গনতন্ত্রের শ্লোগানে শ্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে উঠে বাংলার জনতা, গনতত্ন্র রক্ষায় প্রতিবাদী হয়ে উঠে দেশের প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ এমনকি ছাত্র সংসদরা। চাঁদপুরেও গনতন্ত্রের প্রতিরোধী অবস্থান ছড়িয়ে পড়ে। চাঁদপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা গনতন্ত্রের মিছিল মিছিল নিয়ে নেমে পড়ে রাস্তায়। পুলিশের সাথে কয়েকদফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ শুরু হয়। আজ ৩ নভেম্বর চাঁদপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ সৈরাতন্ত্র নিপাত যাক গনতন্ত্র মুক্তি পাক’ শ্লোগান নিয়ে ছাত্ররা রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে। পুলিশের সাথে নিরস্ত্র ছাত্ররা হামলায় জড়িয়ে পড়ে। পুলিশের এলোপাথারী গুলিতে চাঁদপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জিয়াউর রহমান রাজুর বুকের পাজর গুলিবিদ্ধ হয়। হাসপাতালে নেয়ার পর সে মৃত্যু বরন করেন। রাজুর মৃত্যুর সংবাদ সারা চাঁদপুরে তথা দেশে ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ছাত্র সমাজ থেকে দেশের জনগন। পুলিশ ছাত্রদের রোষনালে পড়ে হটে যায়। সৈরাতন্ত্র থেকে দেশ আবার স্বাধীন হয়। দীর্ঘ ১৮ বছর পর চাঁদপুর শহরের কুমিল্লা রোডের চিত্রলেখা মোড়ে শহীদ রাজুর স্মৃতিচারনে একটি ভাস্কার্য নির্মিত হয়। আজ ৩ নভেম্বর শহীদ রাজু ভাস্কর্য উদ্ভোধন করেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও মেয়র মোঃ নাছির উদ্দীন আহমেদ, সাধারন সম্পাদক আবু নঈম দুলাল পাটোয়ারী, চাঁদপুর প্রেস ক্লাব সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী, সাধারন সম্পাদক মির্জা জাকির সহ শহীদ রাজু সংসদের নেতৃবৃন্দ। মেয়র নাছির উদ্দীন আহমেদ শহীদ রাজুর ভাস্কর্যে ফুল দিয়ে স্মৃতিচারন করেন।