Breaking News
Home / Breaking News / বীর প্রতিক তারামন বিবি আর নেই

বীর প্রতিক তারামন বিবি আর নেই

জেলা প্রতিনিধিঃ
বীর প্রতিক তারামন বিবি । এই বীর যোদ্ধার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। (১৯৫৭-২০১৮)
২০১১ সালের ৮ই ডিসেম্বর রাত ছিলো আমার জিবনের করা প্রথম নাটক ৭১ এর তারামন বিবি।আমি ছিলাম ১০ বছর বয়সী তারামন। তখন বুঝতাম না যে অভিনয় কি। আমি নিজেও যানতাম না অভিনয় কাকে বলে। হটাৎ ২০১১ সালের ১ই ডিসেম্বর মানে দিনটা ছিলো ঠিক আজ,,, এই দিনে আমার নানুর বাড়ির দূরসম্পর্কিত এক মামা নাম তার ছিলো কবির। মামার প্রতিদিনই দুপুরে খাবার সময় আমাদের নানুর বাড়ির পাশে দিয়েই যাওয়া হয়। একদিন আমি ঘড়ের কাজ করতেছি আর গলা ছেড়ে গুনগুন করে গান,গজল একটার পর একটা গেয়ে গাচ্ছি। আমি যখন ঘড়ের কাজ শেষে ঘড় ঝাড়ু দিয়ে বাহিরে ময়লা উঠাবো ঠিক তখনি দেখি আমাদের ঘড়ের পিরার উপরে একটা কাগজ দিয়ে বসে আছে কবির মামা।মামা আমাকে দেখে কোনো কথা না বলে সরাসরি আমাকে জড়িয়ে ধরে বলে তোর কন্ঠ আমারে পাগল করছেরে। তুই এত সুন্দর গান করতে পারিস। যাই হোক খুবই প্রশংসা। পরে মামা আমার আপন ছোট আন্টির সাথে কথা বল্লো অবশেসে সিদ্ধানত হলো আমাকে মামার বন্ধুর গানের ইসকুলে নিয়ে যাবে আমিও রাজি হলাম, গান কি বা গান কাকে বলে এসবের কিছুই না বুঝে।
শুধু এতটা যানি ছোট বেলায় আমি গান বা গজল গাইলে আমার বাড়ির সবাই খুবই ভালো বলতো আমার ও খুব ভালো লাগতো প্রতিদিন বিদ্দুৎ যাবার অপেক্ষায় থাকতাম কারন বিদ্দুৎ গেলেই বাড়ির সবাই আমাকে যোর করে উঠানে নিয়ে যেতো গান গাওয়ার জন্য খুব মজার সময় ছিলো। যাক মামা আমাকে আজকের এই দিনে নিয়ে গেলো চাঁদপুর শিল্পকলা একাডেমিতে,, যাওয়ার পর কিছু লোকের সাথে মামা আমাকে পরিচয় করিয়ে দিলো। ওখানে ছিলো বাবু মামা, জিবন ভাই,রুবি আপু,আলমগির ভাই,আরও অনেকে,,,, বসে আছি উনারা ৭১ এর তারামন বিবি নাটকটি আজই প্রথম রিয়ার্চেল করতেছে তাও আবার টেবিল টকিং যাক বসে প্রায় ৪০ মিনিটের মত দেখতেছি,,, একটা সামান্য কথা যে #বাবা বাবাগো এই দশবছর বয়সে কেন তুমি আমারে একলা রাইখা চইল্লা গেলা# এই ডায়লকটা নাহলেও ৫০ থেকে ৬০ বার বুঝানো হইছে রুবি আপুকে কিন্তু আপুটার উপর আমার এত্ত রাগ হলো যে আমি রাগের মাথায় বল্লাম এই সামান্য কথাটা আপনি পারতেছেন না কেনো? ব্যচ -সব ঝামেলা এবার আমার কাছে, বাবু মামা বলে উঠলো তুমি পারবে,,?
আমি মনস্থির হয়ে বল্লাম পারবো,,,, ৭ দিন রিয়ার্চেল করে ৮ তারিখ চাঁদুপুর বিজয় মেলায় শো যাক রিয়ার্চেল ঠিকঠাক মতই ছিলো সবই প্রায় ঠিক কিন্তু আমার আব্বু আমাকে মেলায় যেতে দিবেনা।
হায় হায় এখন কি করবো।
মা ও কোনো উপকারি করতে পারতেছে না আমাকে।
আব্বু খুবই রেগে আছে,,,, এখানে শো এর সময় ৭টা।
ঘড়ির কাটার মত মনটা যেনো খটখট করে একই কথা বলছে কখন জাবি কখন জাবি।
যাক কোনো রকম সাহস করে বল্লাম আব্বু আমি মেলায় যেতেই হবে নাহলে আমি আর পরবো না।
# ও আল্লাহরে বলা শেষ হওয়ার আগেই আব্বু এমন মাইর দিলো।
মাইর খেয়েও চিন্তা শুধু একটাই ৭টা বাজে শো আরম্ভ,,,,,।
আব্বু দোকানের দিকে গেলো আর আমি মাকে শুধু বল্লাম মা মেনেছ কইরেন আমি আইতাছি,,,, এটা বলে পিছনের দরজা দিয়ে পালাইয়া প্রায় ৪০ টাকার পথ হেটে মেলায় গেলাম।
সবাই আমাকে দেখে ঘাবরে গেলো। আমি সেই মূহুর্তে কোনো কথা না বলে শুধু বলাম মামা আমাকে একটু পানি খাওয়াবেন।।। পানি খেলাম। বাবু মামা হয়তো কিছু বুঝতে পেরেছিলো বাকিটা আজও যানিনা। পরে মামা মেকআপ মেনকে বল্লো আমাকে সাজিয়ে দিতে আমার গায়ে যা পরা ছিলো তার সাথেই মেকআপ করিয়ে দিলো।।।। শো শেষে অনেক মানুষের ভালোবাসা পেলাম। এবার হঠাৎ করে আমার মধ্য কেমন যানি একটা লজ্জা ভাব আর আব্বুর ভয়টা কাজ করতেছে।।। যাক নাস্তা করার জন্য সবাই হোটেলে গেলো পেট ভরে সবাই খেলাম। আর খেতে খেতে সবাই নাটকটির প্রশংসা বিষেশকরে আমার প্রশংসার কোনো ত্রুটি ছিলোনা।
আমার খুব ভালো লাগছিলো শেই সময়টা। এবার বিদায় রাত তখন প্রায় ১১ টা। আমাকে বাবু মামা বাইকে করে আমাদের বাসায় নিয়ে গেলো আমি লজ্জায় মামাকে ঘড়ে নিতে পারিনি কারন আব্বুর ভয়টা ছিলো অনেক বেশি।মামা চলে গেলো ঘড়ে ঢুকলাম আস্তে করে মায়ের পাশে শুয়ে পরলাম, ভয় আর অনেক কথা ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পরলাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে মাকে রাতের শো এর কথা সব বলতেছি কথা বলেছি আর মা বল্লো তোর জামা কি ছিলোরে-? বল্লাম আমার গায়েরটাই মা।
মা বল্লো কি কছ তোর জামার তো পিঠের কাছে ছিড়া। নিজের পিঠ আর কেমনে দেখি জামাটা খুলে দেখলাম হাছাই।
যখন খালি গায়ে ছিলাম মা কেঁদে বল্লো মা তুই কেমনে আছিলি রাতে-?
বল্লাম কিল্লিগ্গা মা-?
মা কয় তোর পিঠের মধ্যে অনেক দা,
তোর বাপে যে তোরে সলার মুঠা দিয়া মারছিলো ওইডা তোর মনে নাই-?
### উফ কথাডা হনার লগে লগে যেনো অসয্যকর যন্ত্রনা পুরা পিঠে###
যাক মা গোসল করাইয়া দিলো,পরে ফার্মেসি তে নিয়ে বেথার ঔষধ আনলো খেলাম।

Powered by themekiller.com