Breaking News
Home / Breaking News / মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের মৌ মৌ গন্ধে ভরে উঠেছে রোপা আমনের মাঠ

মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের মৌ মৌ গন্ধে ভরে উঠেছে রোপা আমনের মাঠ

এইচ এম ফারুক
দেশের দ্বিতীয় বৃহওম চাঁদপুরের মতলব মেঘনা দনাগোদা সেচ প্রকল্পে রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।
চাসকৃত জমিগুলো বাতাসে দুলছে ধানের শীষ। মাঠে মাঠে রোপা আমন দেখে কৃষকের মুখে ফুটছে উজ্জ্বল হাঁসি। সেচ প্রকল্পের বিভিন্ন ধানক্ষেত ঘুরে দেখা যায়,দিগন্ত জোড়া মাঠ সেজেছে সবুজ ও হলুদ রংয়ে। ধানের গন্ধে ভরে উঠছে গ্রামীণ জনপদ।

মাঠজুড়ে কৃষকের ফলানো সোনা রং ধানের ছড়াছড়ি। চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় মতলব উওর উপজেলার চাষিরা বেশ খুশি। কৃষক ও মজুররা দলবদ্ধভাবে জমিতে ধান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলনের পাশাপাশি বাজারে ধানের দাম ভালো থাকায় কৃষকরা বেশ উৎফুল্ল।

অনেক জায়গায় আগাম ধান কাটা শুরু করছে। মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের ঘুরে ও একই চিত্র লক্ষ করা যায়। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়,এবার চলতি মৌসুমে সেচ প্রকল্পের ১৮ হাজার ১ শত ১৫ হেক্টর জমিতে রোপা-আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে জমিতে রোপা আমন চাষাবাদ হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় বেশি। ঘনিয়ারপাড় গ্রামের শাহিন মোল্লা ধানচাষি বলেন, বাজারে চাহিদা ও দাম বেশি হওয়ায় অন্যান্য জাতের তুলনায় রোপা আমন ধানও ভালো চাষ হয়েছে। এ জন্য রোপা আমন ধানের মৌ মৌ গন্ধে ভরে উঠেছে মাঠ।

একই কথা বলেন,তালতলি গ্রামের ধানচাষি লেকায়ত সরকার জানান, স্বর্ণা-৫১, ব্রি- ৪৯,২৩,২২ ধানসহ এ জাতের ধান ৫০ সতাংশে ৩৫ /৪০ মণ করে পাচ্ছেন। আর বাজারে বর্তমানে প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা দরে। তিনি আরো জানান, ধানের এমন দাম পাওয়া গেলে তাদের কোনো সমস্যা হবে না।

মতলব উওর উপজেলা কৃষি অফিসার মো.সালাউদ্দিন জানান, এ উপজেলায় এবার রোপা আমন ধানের চাষ ভালো হয়েছে। ভালো চারা পাওয়ার জন্য বীজতলায় নিয়মিত সেচ দেয়া, আগাছা দমন,সবুজপাতা ফড়িংসহ অন্যান্য আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য কৃষকদের নিয়মিত পরামশ্র প্রদান করা হয়েছে। কৃষকরা তাদের কষ্টের ফসল ঠিকভাবে করতে পারলে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলেও তিনি মনে করেন।

Powered by themekiller.com