Breaking News
Home / Breaking News / হত্যা মামলার সুষ্ঠু বিচার হবে কি?

হত্যা মামলার সুষ্ঠু বিচার হবে কি?

এম. আর হারুনঃ
(পর্বঃ এক)
সন্তানের লাশ বাবার কাধে চিরচায়িত এ প্রবাদটি খুব কম সংখ্যক মানুষের মাঝে থাকে। তবুও ঘটে গেলো একটি মর্মাহত ঘটনা, যা একটি পরিবারে কারো কাম্য ছিলো না। সন্তান ফিরে আসায় এখনো পথ চেয়ে বসে থাকে গর্ভধারিনী মা, দশ মাস গর্ভধারন করার পরও অসাধু দুস্কৃতকারীদের হাতে নিহত হয় আদরের সন্তান। দুখিনী কান্না আজো থামেনি। না ফেরার দেশে চলে যাওয়া সন্তান যে আর পৃথিবীর আলোতে ফিরে আসবে না একজন মা তা মানতে রাজি নয়। পুরো পরিবারের মাঝে অনবরত আহাজারি অব্যাহত অবিরত। প্রতিনিয়ত বোনের আতর্নাদ, চোখের কোনে সর্বময় জমে থাকে ছলছল জল। ভাই ফিরে আসবেনা জেনেও মাসের পর মাস কাটছে অনিদ্রা আর মগ্ন চিন্তায়। সে কি আর ফিরে আসবে, বোন বলে ডাকবে, না ডাকবে না, কুখ্যাত লেবাসধারী সন্ত্রাসীরা কেড়ে নিয়েছে তার প্রান। ভাইয়ের নির্মম হত্যার দৃশ্যটি এখনো বোন ইলা ইয়াসমিনের চোখে ভেসে ওঠে। কি ছিলো তার অপরাধ, যার জন্য দিতে হলো প্রান। ইসলামের অনুসারীরা কেনইবা ধুকে ধুকে মরবে। এর বিচার কি হবে এ দেশের মাটিতে, প্রশাসন কি হত্যাকান্ডের ফাইলটি উন্মোচন করবে, নাকি লাল ফিতায় বেধে ফাইলটি ডাস্টবিনে ফেলে রাখবে। মানবতার মনুষত্য কোথায়, বিবেকহীন মানুষেরা কেনইবা না বুজে না শুনে এমন নির্মম ঘটনা ঘটালো। মানুষের মধ্যে মনুষত্য নেই কেনো। ইসলামে মানুষ হত্যা নেই, তারপরও এক শ্রেনীর মুসলিম নামক বিবেকহীন অমুসলিমরাই মানুষ হত্যা করতে কৃপনতা করেনা। বৃহত্তর নোয়াখালী জেলার অভ্যান্তরে ২০১৬ সালের ১৪ মার্চ সোনাইমুড়ি এলাকায় এমন একটি হত্যাকান্ড ঘটে। দীর্ঘ ২ বছর অতিবাহিত হলেও এর বিচারকার্য থমকে রয়েছে। তদন্তকারী হত্যাকারীদের চার্জশীট থানায় জমা দিলেও সেটি খোলার সময়টুকু হয়তো পাচ্ছে না থানা কর্মকর্তা। বিবাদীরা কঠোর অবস্থানে রয়েছে, হত্যা মামলার আষামীরা প্রকাশ্য ঘুরাফেরা করছে। নির্ভয়ে থাকছে সন্ত্রাসীরা। দু বছর অতিবাহিত হলেও পুনরায় হত্যাকান্ডের ফাইলটি উন্মোচন করা প্রয়োজন। মানবিক দৃষ্টিতে হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে দোষীদের শাস্তি দেয়া প্রশাসনের নৈতিকতা। উল্লেখ্য বৃহত্তম নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে হেজবুত তওহীদ নামে একটি ইসলামী সংগঠন সৃষ্টি হয়। মুসমানের মাঝে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর আদর্শ এবং আল্লার সান্নিধ্য কি আমল করলে আমরা পেতে পারি তার উপর নির্ভর করেই হেজবুত তওহীদের সদস্যরা অবজ্ঞা মুসলমানের দ্বারস্থ হন। ধীরে ধীরে যখন আল্লাহর রাসুলের প্রতি মানুষ অনুসারিত হচ্ছে তখন এক শ্রেনীর অসাধু সন্ত্রাসীরা এর উল্টোপীঠ তৈরী করে নব গঠিত সংগঠনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে সংগঠনটি উৎখাত করার প্রয়াস অব্যাহত রাখেন। যেমনিভাবে হেজবুত তওহীদ প্রচুর সুনাম এবং সংখ্যাগরিষ্ঠতা বাড়তে শুরু করলো তখনই অসাধু মুসল্লীরা এ সংগঠনটি বন্ধ এবং অপপ্রচার চালিয়ে উচ্ছৃংখলতা সৃষ্টি করে। এক সময় অসাধু চক্ররা হেজবুত তওহীদের সদস্য ও কর্মকর্তাদের উপর চড়াও হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করেন। এ হামলায় হেজবুত তওহীদের কেন্দ্রীয় কমিটির নারী বিষয়ক সম্পাদক ইলা ইয়াসমিনের ছোট ভাই মোঃ সোলাইমান খোকনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। দুস্কৃতকারীরা হেজবুত তওহীদের অন্যান্য কর্মীদের হত্যার সকল প্রক্রিয়া গ্রহন করে রাস্তায় ব্যারিকেড সৃষ্টি করে গাছের ফালি ফেলে। ঐ সময় প্রশাসনের আন্তরিকতায় প্রান নিয়ে বেঁচে ফিরে কয়েকজন কর্মী। প্রবাদে আছে জোর যার মুল্লুক তার, অসাধু চক্ররা হেজবুত তওহীদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। যেখানে একটি হত্যা মামলা রুজু হলে তার বিচারকার্য সত্য নিষ্ঠায় চলমান থাকবে সেখানে বিবাদীরাই বিভিন্ন ধরনের মামলার আষামী হয়। এটা কেমন নিয়ম, এটা কেমন প্রবঞ্চনা তা বোধগম্য নয় নিরাপরাধ আষামীরা। তথাপি সোলাইমান হত্যা মামলার আষামীরা মামলা থাকা স্বত্ত্বেও প্রকাশ্যে জীবনযাপন করছে। প্রশ্ন জাগে আইন কোন পথে চলছে নাকি এ মামলার আষামীরা প্রভাবশালী। যদিও প্রভাবশালী কিংবা রাজনীতির সাথে জড়িত থাকে তাহলে আষামীদের বিচারকার্য দ্রুত করার প্রয়োজন।

Powered by themekiller.com