এম. রহমান ॥ চাঁদপুর শহরের আলিম পাড়ার বাসিন্দা জাকিয়া বেগমকে (৩৬) শ^াসরোধ করে হত্যার ঘটনায় আসামী মো. খায়ের মিয়াকে মৃত্যু দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খাঁন এই রায় প্রদান করেন।
হত্যার শিকার জাকিয়া বেগম আলিমপাড়া শহীদ বেপারীর স্ত্রী। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী খায়ের মিয়া ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার মিরপুর গ্রামের মো. জামাল মিয়ার ছেলে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর জাকিয়া বেগম নিখোঁজ হয়। ২০১৬ সালের ২ জানুয়ারী জাকিয়ার ছোট বোন পাপিয়া বেগম চাঁদপুর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। এরপর জাকিয়ার পরিবারের লোকজন জানতে পারে ব্রাহ্মনবাড়িয়া নবীনগর থানায় একজন নারীর মরদেহ পাওয়া গেছে এবং আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে সেই নারীর মরদেহ দাফন করা হয়। তারই সূত্রধরে ওই থানায় গিয়ে বোন পাপিয়া থানা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে নিখোঁজ বোনের জামা কাপড় দেখে জাকিয়াকে সনাক্ত করেন।তাকে শ^াসরোধ করে হত্যা করার পর বিলের মধ্যে রেখে যায়।নবীনগর থানা পুলিশ সেই মরদেহ উদ্ধার করে সুরাতহাল শেষে দাফন করেন। বোনের হত্যার ঘটনায় পাপিয়া বেগম অজ্ঞাতনামা আসামী করে চাঁদপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার সূত্র ধরে পুলিশ আসামী মো. খায়ের মিয়াকে ব্রাহ্মনবাড়িয়া থেকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন সময়ের চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিজাম উদ্দিন ভুঁইয়া ২০১৬ সালের ৫ জুন আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আমান উল্যাহ জানান, মামলাটি গত প্রায় ৩ বছর চলাকালীন সময়ে ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহন করেন। সাক্ষ্য প্রমান ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে উল্লেখিত রায় দেন। সরকার পক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটির (এপিপি) ছিলেন মোক্তার আহম্মেদ অভি।