অজ্ঞতনামা সেই অসহায় লোকটিকে দেখে এলাম হাসপাতালে।ব্যস্ততায় যাওয়া হয়নি ক দিন।দেখলাম একহাতে স্যালাইন দিয়ে ভাত দেয়া হয়েছে।আমায় দেখে মনে হলো আপন কেউ এলো কি না।হয়তো এ ভাবনা আমার! কিন্তু না সে কোন কথা বলতে পারে না এখনো। সন্ধান মিলেনি কোন স্বজনেরও।তবে চাঁদপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক নার্স বয় বুয়াদের যত্নে আগে থেকে অনেক ভালো আছে।হাসপাতালের তত্ত্ববধায়ক ডা: আজিম,মিডিসিন কনসালটেন্ট ডাঃ সালেহ আহমেদ,ডা:সিরাজুম মনিম,ডা: রুবেলসহ সবাই তার খোঁজ নিচ্ছেন।ডাঃ আজিম জানালেন ও আগে থেকে অনেক ভালো। কিন্তৃু সে মানসিকভাবে অসুস্থ।যার সঠিক চিকিৎসা করা এখানে হবে না।তাকে আমরা দিন কয়েকের মধ্যে কুমিল্লা মেডিকেলে রেফার করতে পারি।তিনি জানান,আমাদের হাসপাতালের সমাজসেবা বিভাগ থেকে আমরা প্রয়োজনীয় সাহায্য করছি।এখানের সমাজ সেবা বিভাগ থেকে আমরা বলেছিলাম তার জন্য তারা কোন ব্যবস্থা করতে পারে কি না।আজ আমার সাথে ছিলো সাংবাদিক গোলাম মোস্তফা।প্রসংঙ্গত: গত ১৩ নভেম্বর এই ৩০/৩৫ বছরের লোকটিকে শহীদ মিনার এলাকা থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে আনে পুলিশ সাংবাদিক এবং রনজিৎ রায় চৌধুরী।ওইদিন রাতে তার খবরটি আমায় দিয়েছিলেন প্রবীন রাজনীতিক সফিউদ্দীন আহমেদ।তারপরক্ষনেই আমি সাংবাদিক অমরেশকে পাঠাই।ও সহ সবাই খুব অল্প সময়ে হাসপাতালে আনে।এরপর তাকে দেখে মনেই হয়নি বাঁচবে! আজ তাকে দেখে মনে হলো -যদিতো রাখে আল্লাহ তো মারে কে!।তো একটা ব্যাপার আমার খারাপ লাগে- আজ প্রায় ৭ দিন হতে চল্লো সে হাসপাতালে,নিউজ হলো,কিন্তু আমাদের রাজনীতিক কিংবা প্রশাসনিক উচ্চ পর্যায়ের কেউ তাকে দেখতে এলেন না।অথচ মাঠে আমরা অনেক কথা বলি।! হ্যাঁ আল্লাহ তুমি তাকে ভালো করে দাও। অজ্ঞাতনামা শব্দটি মুছে দাও।আপনকে কাছে এনে দাও।