এম. আর হারুন ঃ আগামী ৩০ ডিসেম্বর সারাদেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে একাদশতম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে সরকার দলীয় ও বিরোধী দলীয় প্রার্থীদের একাধিক মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ হয়েছে। প্রার্থীরা ভোটের জন্য যেভাবে নিজ নিজ এলাকা চষে বেড়াচ্ছে তেমনি উর্ধ্বতন মহলে চলছে জোর লবিং। চাঁদপুর জেলার ৮টি উপজেলায় ৫ আসন রয়েছে। জেলায় ১৮ লক্ষাধীক ভোটার রয়েছে। চলতি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীতা ঘোষনার কয়েক ঘন্টা বাকি থাকলেও একই দলের একাধীক প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে। এ নির্বাচনে নতুন পুরাতন রাজনীতির সাথে জড়িতরাই নিজ নিজ এলাকায় প্রচারাভিযান অব্যাহত রয়েছে। কে হবে জেলার ৫টি আসনের দলীয় প্রার্থী এ নিয়ে প্রার্থীদের মাঝে হতাশার ছাপ থাকলেও নির্বাচনী প্রচারনায় কেউ থেমে নেই। চাঁদপুরের ৫টি আসনেই অভিজ্ঞ রাজনৈতিক নেতারা মাঠ চষে বেড়াচ্ছে। এখন কেন্দ্রীয় নেতার অনুমতির উপর নির্ভরশীল হয়ে আছে নেতারা। তবে যে যার সখ্যতা অনুযায়ী বহাল তবিয়তে রয়েছে। চলতি নির্বাচনে চাঁদপুরের ৫ আসনে নতুনের মুখ দেখা যাবে কিনা তা নিয়েও রয়েছে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সংশয়। যার যার অনুপাতে দলীয় কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে যোগাযোগ রাখছে মনোনয়ন পাওয়ার আশায়। তবে যোগ্যতা ও ভোটারদের চাহিদানুযায়ী চলতি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীতা দেয়া হবে বলে একটি সুত্র জানায়। গত কয়েকদিন ধরেই, কচুয়া, হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি, মতলব উত্তর ও দক্ষিন, চাঁদপুর-হাইমচর এবং ফরিদগঞ্জ আসনের একাধীক প্রার্থীরা উর্ধ্বতন মহলে জোর লবিং করছে বলে জানা যায়। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি তথা ঐক্যজোট মনোনয়ন সংগ্রহকারীরা যার যার এলাকায় নির্বাচনী প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে রাজনেতিক মাঠে কয়েকটি পক্ষ থাকায় মনোয়নপত্র সংগ্রহ করে থাকেন প্রার্থী প্রত্যাশীরা। আর মাত্র কয়েক ঘন্টা বাকি রয়েছে দলীয়ভাবে প্রার্থী অনুমোদনের। আওয়ামীলীগ কিংবা বিএনপি তথা ঐক্যজোট কেন্দ্রীয়ভাবে অনুমোদনের আশায় প্রার্থীরা তৎপর। নির্বাচনী প্রচারনায় মাঠ সরগরম হয়ে থাকলেও ভোটারদের মাঝে রয়েছে সংশয়। একই দলের ৩/৪ জন প্রার্থীরা যার প্রতীক অনুসারে কিংবা বিগত দিনের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে কিংবা আরে উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দেয়ার ধারা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন মনোনয়ন সংগ্রহকারীরা। কে হবেন নৌকার মাঝি কিংবা ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আর কয়েক ঘন্টা পরই তা উন্মোচিত হবে।