Breaking News
Home / Breaking News / ধারাবাহিক উন্নয়ন ধরে রাখতে পুনরায় আবুল হোসেনকে প্রয়োজন বলে মনে করেন সদরের জনগন

ধারাবাহিক উন্নয়ন ধরে রাখতে পুনরায় আবুল হোসেনকে প্রয়োজন বলে মনে করেন সদরের জনগন

নিপুন জাকারিয়া :—
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হতে না হতেই, উপজেলা পরিষদ নির্বাচকে ঘিরে, সারা বাংলাদেশের দেশের মতো জামালপুর সদর উপজেলাতেও টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। দলীয় প্রার্থী হিসাবে নাম ঘোষণা করেছেন অনেকে আওয়ামী লীগ নেতা। সর্ব মহলে এক নতুন আলোচনা ও উত্তেজনায় চন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হয়েছে, আসন্ন জামালপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে। তবে, সদর উপজেলা বেশিরভাগ জনগন মনে করেন, বিগত ২০১৯ সালের ২৫ এপ্রিল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে, নৌকা প্রতিক পেয়ে বিজয়ী হওয়া , আবুল হোসেন, মানুষের ধারে ধারে ছুটে গিয়েছেন। ডাক পেলেই উপস্থিত হওয়া আবুল হোসেন করেছেন, স্কুল -মাদ্রাসা, রাস্তা- ব্রিজের স্বার্ধ মতো উন্নয়ন। ১ টি পৌরসভা ও ১৫ টি ইউনিয়ন সংস্করণে তিনি প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছুটে চলে কাজ করেছেন রাত-দিন । শতভাগ বয়স্ক ও বিধুফা ভাতাসহ ৩৬টি ভাতার ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছেন। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের নামে তেমন বরাদ্দ না থাকলেও তিনি জামালপুরের রুপকার মির্জা আজমের দিক নির্দেশনায় ও স্থানীয় সংসদসহ রাজনৈতিক নেতাদের সুপরামর্শে উন্নয়নের রোড় ম্যাপ তৈরি করে, ধারাবাহিক উন্নয়নে সদরকে এগিয়ে নিতে বিশেষ ভুমিকা রেখেছেন। তাই ধারাবাহিক উন্নয়ন ধরে রাখতে, পুনরায় আবুল হোসেনকে প্রয়োজন বলে মনে করেন সদর বাসী । তারা মনে করেন, আবুল হোসেন পুনরায় উপজেলা চেয়ারম্যান হলে, ধারাবাহিক উন্নয়নের অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করতে তেমন বেগ পেতে হবে না। সদর বাসীর মনেও তিনি সাদা মনের মানবিক মানুষ হিসাবে বেশ সুপরিচিত।

জানা যায় – আবুল হোসেন লক্ষিরচর ইউনিয়নের বারুয়ামারী গ্রামের মৃত আলহাজ্ব আব্দুল জব্বারের ছেলে। নান্দিনা মহা বিদ্যালয় থেকে তিনি ১৯৯৫ সালে বি এস এস ডিগ্রি লাভ করে শিক্ষা জীবন শেষ করে। তিনি ১৯৯১ সালে সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ ছাত্র লীগের যুগ্ম- সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। ১৯৯১-৯২ শিক্ষাবর্ষে সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্র লীগ মনোনীত সাহিত্য সম্পাদক এবং ১৯৯৩ -৯৪ শিক্ষাবর্ষে নান্দিনা মহা বিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্র লীগ মনোনীত জি এস নির্বাচিত হন। ১৯৯৩-৯৬ পর্যন্ত নান্দিনা সাংগঠনিক থানা ছাত্র লীগের দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করেন। ১৯৯৬ – ২০০১ পর্যন্ত নান্দিনা সাংগঠনিক থানা ছাত্র লীগের ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৩-২০১৪ পর্যন্ত জামালপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক হিসাবে সততার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫-২২ পর্যন্ত জামালপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২২ সালে থেকে অদ্যবদি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও ১৩-০৬-২০২৩ থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন চলমান রয়েছে।

সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন জানান, তিনি পুনরায় নির্বাচিত হলে, রোর্ড ম্যাপ অনুযায়ী, অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করে, স্মার্ট সদর গড়ে তুলবে। শিক্ষা, চিকিৎসা, রাস্তা-ঘাটসহ সর্বক্ষেত্রে স্মার্ট হবে সদর। তিনি বলেন, আমি নির্বাচিত হবার পর থেকে বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস বিশ্ব ব্যাপি ছড়িয়ে পড়ে। জামালপুর সদর তার তার বাহিরে ছিল না। তবে করেনাকালীন সময় যখন অনেকেই ঘর থেকে বের হতে ভয় পেয়েছে, তখনো আমি করোনায আক্রান্ত রোগীসহ মানুষের পাশে ঘিরে দাড়িয়েছি। ওই সময় উপজেলার হাজার হাজার মানুষের বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী ও ওষুধ পৌঁছে দিয়েছি। সমস্যায় থাকা অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারের বাড়িতে রাতের অন্ধকারে খাদ্য সামগ্রী ও ওষুধ পৌঁছে দিয়েছি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীনতা স্থপতি বঙ্গবন্ধুর কন্যা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যদি পূনরায় আমাকে নৌকা মনোনয়ন দেন, তবে আমার জীবনের শেষ রক্ত বিন্দু থাকা পর্যন্ত দারিদ্র্য মুক্ত ও স্মার্ট সদর উপজেলা গঠনে কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ ।

সদর উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়নে সরকারি বরাদ্দ ছাড়াও ব্যক্তি উদ্যোগে হাজারো মানবিক কাজ করায়, মানবিক উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি অতিমধ্যেই ভূষিত হয়েছেন।

নিপুন জাকারিয়া
জামালপুর

Powered by themekiller.com