এইচ এম ফারুক:
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার বড়হলদিয়া গ্রামের বাঁশজার থেকে নিখোঁজ বাকপ্রতিবন্ধী গৃহবধু হেলেনা বেগমের (৩০) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
১৬ নভেম্বর ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের বড়হলদিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী মাষ্টারের বাড়ির ২শ’ গজ দূরে নির্জন বাঁশজারে পথচারীরা ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। মতলব উত্তর থানার এসআই জসিমউদ্দিন লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করে।
নিহতের আত্মীয়-স্বজন সূত্রে জানাযায়, এখলাছপুর গ্রামের কামাল হোসেন প্রধান দুলালের মেয়ে নিহত বাকপ্রতিবন্ধী হেলেনা বেগম (৩০)। ৮ বছর পূর্বে কলাকান্দা ইউনিয়নের দশানী গ্রামের নূর মোহাম্মদ এর ছেলে রাসেল এর সাথে বিবাহ হয়। তাদের ৬ বছরের আরিচা মরিয়ম নামে এক কন্যা সন্তান রয়েছে। হেলেনা বেগম রাসেলের দ্বিতীয় স্ত্রী, প্রথম স্ত্রীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার পর পারিবারিকভাবে হেলেনাকে বিবাহ করে। হেলেনাকে বিবাহের পর ঢাকায় রাসেল তৃতীয় বিবাহ করে। এরপরই তাদের সংসারে অশান্তি নেমে আসে।
এরই জেরে ১৪ নভেম্বর রাতে ৬ বছরের আরিচা মরিয়মকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পাষ- পিতা রাসেল। ওই রাতের পর থেকে বাকপ্রতিবন্ধী হেলেনা বেগম নিখোঁজ ছিল। মেয়েকে হত্যা করে মা হেলেনা বেগম পালিয়েছে বলে এলাকায় ঘটনা রটায়। শিশু আরিচা মরিয়মের ময়নাতদন্ত না করেই তড়িৎগতিতে দাফন করা মরদেহ।
বাড়ীর লোকজন জানায়, হেলেনাকে একাধিকবার স্বামী রাসেল হত্যা করার চেষ্টা করে শিশু আরিচা মরিয়ম দেখে ফেলায় হত্যা করতে ব্যর্থ হয়। এ নিয়ে এলাকায় কয়েকবার শালিশী বৈঠকও বসে। তাই প্রথমে পথের কাঁটা শিশু আরিচা মরিয়মকে হত্যা করা হয়। বাকপ্রতিবন্ধী হেলেনার মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকেই আত্মগোপনে রয়েছে তার স্বামী রাসেল।
মতলব উত্তর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মুরশেদুল আলম ভূঁইয়া বলেন, নিহত হেলেনা বেগমের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়। ময়না তদন্তে বের হয়ে আসবে মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য।