Breaking News
Home / Breaking News / কবি লাজু চৌধুরীর কথোপকথন ” সংস্পর্শ “

কবি লাজু চৌধুরীর কথোপকথন ” সংস্পর্শ “

জীবন সব সময় সুন্দর হয় প্রিয়জনদের সংস্পর্শে।এটা আমি বিশ্বাস করি।
অনেক দিন হয় আমার হারানো মুখ গুলো খুঁজে বেড়াচ্ছিলাম।
যাদের আমি খুঁজে বেড়াচ্ছি তাদের নাম গুলো বলতে হয়।
রীমা খালা
রীভা খালা
রীনা খালা
ডীনা খালা
মাকসুদ মামা
আকবর মামা
আর আর আমার প্রিয় মিষ্ট বীনু মামী আর সীমা মামী।
ওনারা আমার একটা বিশেষ জগৎ। ছেলে বেলা থেকে ওনাদের সংস্পর্শে ছিলাম।

আমার মা খালারা সাত জন ছিলো —
আমার নিজের বা নিজস্ব কোন মামা ছিলো না।
আজ এই পৃথিবীতে প্রিয়জনের সংস্পর্শ ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে গেছে, দুঃখ জনক আমার পরিবারের
বাবা মা কেউ নেই। প্রায় ছয় মাস হতে চলছে আমার
ছোট্ট বোন টুম্পা ও না ফেরার দেশে চলে গেছে।

প্রতিদিন ভাবি মরে যাবো। আবার প্রতিদিন ভাবি বেঁচে থাকার জন্য কত আয়োজন।
আমি ভীষণ বিষন্নতায় ডুবে গিয়েছিলাম।
অধীক রাতে একাকী চেয়ারে বসে আমার অতীতকে
খুঁজে বেড়াতাম

যাদের খুঁজছি তারা সবাই প্রবাসী। হঠাৎ করেই বন্ধ
দরজা খুলে যায় —-
আমি খোঁজা শুরু করি প্রিয় মুখ গুলোকে যারা আমার
মা এর খুব প্রিয় বোন গুলোর কথা।
আমার মা এর খালাতো ভাই বোন, সব সময় আমার মা এর সংস্পর্শে ছিলো আমাদের বাসায় যাতায়াত খুব
বেশি ছিলো।

খুব বেশি মনে পড়তো রীমা খালার কথা খুব সুন্দর খুব
মিষ্টি করে কথা বলে আমি অনেক মুগ্ধ হয়ে কথা শুনতাম আর মনে মনে ও ভাবে কথা বলার চেষ্টা করতাম।
রীমা খালারা তিন বোন এক ভাই — রীমা খালা,রীভা খালা, রীনা খালা —মাকসুদ মামা ও বীনু মামী।
তারপর মনে পড়লো ডীনা খালা অসম্ভ সুন্দরী।

প্রথমেই বলেছি জীবন সুন্দর প্রিয়জনদের সংস্পর্শে।হঠাৎ মনের দক্ষীণা জানালা খুলে গেলো ——
চোখের সামনে ভেসে এলো আকবর মামা ও সীমার কথা, মামী ভীষণ ভালোবাসে আমাকে।
এক দিন ফোন করে বসলাম ——-

নিজেকে সামলাতে পারছিলাম না কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছিলাম। ও পাশ থেকে মামা ও। আমি মামাকে
বললাম আমি ভীষণ একা হয়ে গেছি নিজের কাছে নিজে। পুরনো সংস্পর্শ আমি ছুঁতে চাই আমি তাদের সঙ্গ চাই,
আমি একা একা দুঃখ পুষি আমি আমি পুরনো ঠিকানা গুলো খুঁজে পেতি চাই।

মামা প্রশ্ন করলো কার ঠিকানা কাকে খুঁজছো?
বীনা নানুর ছেলে মেয়েদের , আর ডীনা খালাকে।
আমি খুঁজেবেড়াচ্ছি । কারন আমার সাত খালারা কেউ
আজ নেই ছেড়ে চলে গেছে না ফেরার দেশে।
তুমি আমাকে help কর মামা। No one today.
I am alive and dying to but with pain।

আমি আমার পুরনো মুখ পুরনো মানুষ গুলোকে খুঁজে পেতে চাই আমার বর্তমান সময়ে। আমাকে তুমি সহযোগিতা কর।

আকবর মামা আমাকে সত্যি সহযোগিতা করলো।
মাকসুদ মামার ফোন নাম্বার দিলো, ওনারা সবাই প্রবাসী ।
মামার নাম্বার save করলাম whats up। রাত দশটায়
মামাকে ছোট্ট করে লিখলাম
মামা কেমন আছো।
আমি হেনা আপার মেয়ে লাজু। তারপর পোস্ট করলাম।
রাতে ঘুমানোর আগে ভাবছিলাম আগামীকাল উত্তর
পাবোতো। ঘুম ভেঙ্গে গেলো রিং এর শব্দে ।
অসম্ভব ভালো লাগা মূহুর্তেই ছুঁয়ে গল। মামার সাথে মন প্রাণ ভরে কথা হলো দীর্ঘ কয়েক বছরে কতজনকে
হারিয়েছি মামাকে জানালাম। মামা ও ভীষণ কষ্ট পেলো

তারপর আমার সবার সাথে যোগাযোগ শুরু হলো।
রীমা খালার সেই মিষ্টি কন্ঠ এখনো চির সবুজ।
সব খালাদের সাথে আমার একন কথা কিছু দিন পর পর। গত কাল রাতে ডীনা খালার সাথে ফোনে দীর্ঘ
সময় নিয়ে কথা হলো সেই আগের আন্তরিকতা এতো
টুকুও আমার খালা মামাদের।

আজ সকালে বীণু মামী ফোন দিয়েছিল মিষ্টি হাসির কন্ঠ মন ছুঁয়ে দিলো।
অনেক কথা হলো। আসলে জীবন সুন্দর হয় মধুময়
প্রিয়জনদের সংস্পর্শে। প্রিয় মানুষ গুলো বেঁচে থাকার
অক্সিজেন।
Thanks আকবর মামা তোমার জন্য প্রিয় মানুষ গুলোকে খুঁজে পেয়েছি।
আমরা সবাই ভালো থাকবো সবাই সবাইকে ভালোবেসে।
লাজু চৌধুরী —সংস্পর্শ

Powered by themekiller.com