সবাই দেবু দাদা বলে ডাকতো।
আমি দেবুদা বলে ডাকতাম এর জন্য
সবাই আমার সাথে আড়াআড়ি করে তাকাতো।
সে যাই হোক আমি সব বুঝতাম। ওতোটা বকা আমি ছিলাম না।
তবে মাঝে মাঝে সময় গুলো ইনসিকিউরিটি মনে হতো,
দেবুদা সব সময় আমার চোখে চোখ রেখে কথা বলতো।আর আমি তার চোখে আমার পৃথিবী দেখতাম।সবাই আমার সাথে ঈর্সা করতো।
সবাই বলতো দেবুদা আমাকে ভালোবাসে। ওটা আমার মাথা ব্যথা ছিলোনা।
কারন আমি বুঝতাম Some time i have lost my mind..
এখন বুঝি সেটা হয়তো বয়সের দোষ।
কারন আমি দেবুদার কথার শব্দে ডুবে যেতাম।এক হাঁটু জলে নয় একে বারে সমুদ্রের তলায় ডুবে যেতাম।
সময় গড়িয়ে যেতে থাকলো সময়ের তালে।
অনেক ভালো মন্দ বুঝার শক্তি সঞ্চয় হলো। দেবুদা বিয়ে
করলেন।
আমি লেখাপড়ার টানে শহর মুখি হলাম। ভীষণ ব্যস্ততায় ডুবে গেলাম। কিন্তু আমার সঙ্গীরা আমার সাথেই ছিলো জীবনের ওপরের ওঠার সিঁড়ি হচ্ছে শিক্ষা। দেবুদার এই কথাটা আমি আমার হাতের মুঠোয়ে ধরে রেখেছিলাম।
জীবনের অনেক বাহারি রঙ্গ বয়সের সাথে মিলেমিশে ছিলো।
ভীষণ ব্যস্ত।
সময় গুলো বৃদ্ধ হচ্ছে পরিচিত মুখ বদলাচ্ছে কেউ হারিয়ে যাচ্ছে।
আয়নার সামনে সামনে দাঁড়ালে স্মৃতি গুলো জীবন্ত হয়।
কারন আমি এসবের পরিচর্যা করি। সারাজনম তোমার পাশে থাকবো এটা শুনতে আমি অভস্ত নই।
বরন সম্পর্কে পরিচর্যা করাটা গুরুত্বপূর্ণ। এ জীবনে ভালোবাসা হয়নি। কিছু মানুষকে ভীষণ ভাবে মনে রেখেছি।
যেমুন দেবুদা ভাবতাম আমি বুঝিওনার প্রেমে পড়েছি।নয়তো বা দেবুদা। আসলে ও সব কিছুই ছিলোনা ওটা একটা সময়ের ডাইরি।
শৈশব থেকে কিশোরী, কিশোরী থেকে কন্যা জয়া জননী।
তবে আমার সব সঞ্চয় আমার আয়না থেকে।
আয়না প্রতারণা করেনা।
সে ভালোবাসতে শেখায় জন্মলগ্ন থেকে প্রতিটি মানুষের সাথে সংলিষ্ট আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকে।
সে জন্য সে আমাদের গল্প।
আমাদের গল্প——লাজু চৌধুরী।