Breaking News
Home / Breaking News / কবি অনামিকা চৌধুরীর কবিতা ” আঁখিদ্বয় “

কবি অনামিকা চৌধুরীর কবিতা ” আঁখিদ্বয় “

শিরোনামঃ ❝ আঁখিদ্বয় ❞
কলমেঃ অনামিকা চৌধুরী।
তাং- ১২/০৮/২৩-ইং।
____________________________

আমার প্রতিমূর্তি
প্রায়ই বিলীন হওয়ায় তরে,
নাহ্!
এইটাই সত্যি,
এটা একটা স্বর্গীয় ভেট।

সৌভাগ্যের নীলাম্বর আমায়
দিচ্ছে প্রশস্ততা
স্বার্থশূন্য হয়ে।

আশা আকাঙ্খার বেড়াজালে
আমি ও লিপ্সাযুক্ত
উচ্চাকাঙ্খার তাড়নায়
হচ্ছি সদাই ক্ষীণকায়।

নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ
ব্যতিরেকে মম চিত্ত
পরমানন্দের অনুসন্ধানে
আজ ক্ষণিকের তরে তরান্বিত।

এর এমন কী ই বা সামর্থ্য!
যা কিছু নিয়ে নিত্য লড়াই
কে কতোটা উঁচুতে
উঠবো বিহঙ্গ চিল শকুনের ন্যায় হনন
করে অন্যের ধন,
অথবা মুখের গ্রাস,
অথবা বস্তিবাসীর বাসস্থান!

আমি, কেবল আমারেই শুধাই,
কেন তাঁহার ভালবাসাকে
তুচ্ছতাচ্ছিল্য
করি পুনঃ পুন?

যে আমায় রেখেছেন
অধিক মর্যাদায় নির্ভীক
বীরোচিত
করে তাঁহারই সৃষ্টি তরে ।
নব নব বৈচিত্র্যময়, সৌষ্ঠব
সৌন্দর্যের বিভূষণ ধরিত্রীতে।

সৃষ্টি কর্তার “নিয়ামত”
মৃগনয়ন দ্বারা ভূষিত করিয়া
আমায় করেছেন প্রাকৃতিক
রূপের বৈচিত্রতা পরিবেষ্টিত পর্যবেক্ষণে সমর্থক।

সে ও কী আমি
কখনো করিয়াছি অনুধ্যায় ?

কত সৌভাগ্যবতী আমি,
যিনি আমায় তাঁহার সৃষ্টির শক্তিশালী অনুপম নিসর্গ, আঁখি
করিয়াছেন দান, একমাত্র
তাঁহার বিভূষণ আকাশ-বাতাস
ধরনীর সকল সম্পদ
ফুল ও ফলের রসের সমারোহ
করো স্বাদ গ্রহণ, কিছুতেই
তোমার নেইকো বাঁধা ওই
নেত্রপাতে।

শুধু একটাই কথা
তব অনুমান যেন হয় আমার,
মিথ্যে অহমিকা ও অলিক
খেয়ালে,বিস্মৃত যেন না হই! ওই’যে
তিঁনি আমার আপন “প্রভু” তাঁহার,
সীমাহীন পরিশুদ্ধ ভালোবাসায় যে অমূল রতন
দিলেন বড্ড সযতনে,
আমি যেন তাঁর না করি
কভু অনাদর। যেথায় মম অতি নগণ্য এক মানব মূর্তি মাত্র।।

Powered by themekiller.com