Breaking News
Home / Breaking News / নৌকাকে বিজয়ের লক্ষ্যে নিজেদের মধ্যে কাদাঁ ছিটানো বন্ধ করে, এক কাতারে আসতে হবে ——– মারুফা আক্তার পপি

নৌকাকে বিজয়ের লক্ষ্যে নিজেদের মধ্যে কাদাঁ ছিটানো বন্ধ করে, এক কাতারে আসতে হবে ——– মারুফা আক্তার পপি

নিপুন জাকারিয়া:
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, সকল বেদাভেদ ভুলে, স্বাধীনতার প্রতিক, মুক্তিযোদ্ধের প্রতিক, উন্নয়নের প্রতিক, নৌকাকে বিজয়ের লক্ষ্যে নিজেদের মধ্য কাদাঁ ছিটানো বন্ধ করে, এক কাতারে আসতে আহব্বান জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য, সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী মারুফা আক্তার পপি।

তিনি আরো বলেন, জামালপুর সদর উপজেলার মানুষের প্রাণের দাবী রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন, ১৫ ইউনিয়ন ও একটি বৃহৎ পৌরসভার থাকায় আমরা রাস্তা ঘাটের উন্নয়নে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছি, তবে জামালপুরে অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ শহরের সামগ্রিক উন্নয়নের ছোঁয়াটা অন্য সব জেলার থেকে অনেক বেশি।

কেনো কেন্দুয়া অবহেলিত, ইউনিয়নে উন্নযনের ছোঁয়া লাগেনি, নেতাদের এমন অনেক প্রশ্ন ও বক্তব্যের পেক্ষিতে পপি বলেন, আমরা কাজের চেয়ে কথা বেশি বলি। আমার জানা মতে, অন্য যে কোন উপজেলার চেয়ে জামালপুর সদরে বরাদ্ধ বেশি ছিল, রাস্তা তথা সার্বিক উন্নয়নে আরো সম্মৃদ্ধ হতে পারতো আমাদের প্রাণের সদর উপজেলা। কিন্তু কারো উদাসিনতার কারনে হয়তো পিছিয়ে পড়েছি আমরা।

এজন্যই মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বঙ্গবন্ধুর কন্যা, তৃনমূল মানুষের নেত্রী, বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমুন্ত্রী দেশরন্ত শেখ হাসিনা, ঈদ পরর্বতী শুভেচ্ছা, পৌচ্ছে দেওয়ার জন্য, আপনাদের মাঝে আমাকে পাঠিয়েছে। আপনাদের কথা শুনতে, আপনাদের সমস্যা গুলি শুনতে।

তিনি বলেন এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, আমিও মনোনয়ন কিনবো, তবে আমাদের নেত্রী যাকেই আগামীতে মনোনয়ন দিবেন, আমি আপনাদের পাশে থাকবো, আপনারা তার হয়ে কাজ করবেন। আমি আপনাদের নিয়ে, কেন্দুয়া তথা সদরের উন্নয়নে, আপার সাথে কথা বলবো।

কেন্দুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিসে শনিবার রাতে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সেলিম রেজার সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক শহিদুল ইসলামের সঞ্চলনায় মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফারুক শোয়েব তালুকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদুজ্জামান প্রদীপ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ ফকরুল আলম লিটু, যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক জিয়াউল হক, গোলাপ নবী, ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সোহেল, ছাত্রলীগ নেতা শাওনসহ অনেকে।

নেতারা তাদের বক্তব্যে, সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে, কেন্দুয়া সাংগঠনিক থানা ছাত্রলীগের কমিটি এনে দেওয়ার জন্য নেত্রীকে জোর দাবী জানান। ও কেন্দুয়া রেল ষ্টেশনে আন্তনগর জামালপুর এসপ্রেস ট্রেনটি থামানোর দাবী রাখেন। এবং যেকোন একটি ব্যাংকের অফিস কেন্দুৃয়া বাজারে স্থাপনের জন্য দাবী করেন।

সেই সাথে তৃনমূলের দাবীতে পরিনত হওয়া, যে কথাটি বার বার তৃনমূল কর্মীদের বক্তব্যে লক্ষ্য করা যায়, তা হলো, কেন্দুয়ার উর্বর মাটির প্রিয় নেতা খালেদুজ্জামান প্রদীপকে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে পদ না দেওয়ার বক্তব্যরা সমালোচনা করেন। এবং সকলেই আওয়াজ তুলে জোর দাবী রাখেন, যেনো জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে সম্মানীত স্থানে তাকে রাখা হয়।

Powered by themekiller.com