হঠাৎ করেই রাত্রির সাথে দেখা।
দীর্ঘ পচিঁশ বছর পর —
অনেক দিনের সম্পর্ক একই পাড়ায় বেড়ে ওঠা।
ভীষন ছট ফটে আললাদী মায়া ভরা মুখ
সব সময় কল্পনায় ভর করে পথ চলতো।
।
এখন রাত্রির চোখে সমুদের লোনাজল বয়সের একটা ধাপে
এসে পৌঁছেছে ।
রাত্রি কে জড়িয়ে ধরলাম কত কাল পর দেখা
কেমন আছিস তুই —–
“রাত্রির সংলাপ ”
মিথ্যের বহু রং মেখে বহু ঘাটের পানি খেয়েছি
নিদারুণ মানুষিক যন্ত্রণায় মাঝে মাঝে মনে ম্যানহলে মুখ লুকিয়ে রাখি।
জীবনে শুধু উপরে ওঠার শিড়ি দেখেছি।
প্রজাপ্রতির মত পাখা মেলে মিলে আবদ্ধ হয়েছি অসংখ্য
মানুষের সাথে।
সযত্নে সৃষ্টি করেছি গভীর মগ্ন থাকার বিভরে
রঙ্গিন পানির গ্লাসে বহ বার স্নাণ করছি —
একবারও পিছনে ফিরে তাকাবার সময় পাইনি।
গ্রীষ্মের তপ্ত রোদে দেহ পুড়েছে বহুবার।
অসংখ্য ঘোর পাকে একটা দীর্ঘ সময় গেছে —
আসলে মেয়েদের বেশি রুপ থাকতে নেই।
স্বামী সংসার সব ছেড়েছি কারো প্রতি আমার কোন
অভিযোগ নেই।
প্রয়োজনে বোনের ছেলের সাথেও বেভে গেছি।
সবাই বলে আমার ঠোঁট জুড়ে কাব্য খেলে।
কত দুপুর কেটেছে কাব্য জোড়ে ঠোঁট —-
এই ঠোঁট ডুবেছে বাহারী রঙ্গের গ্লাসে।
এখও জীবন থেকে ঘোর কাটেনি আজও যত্ন উপরে ওঠার শিড়ি।
জীবনের এই শেষ বিকেলে উপরে ওঠার শিড়ি ভেঙ্গে চূর মার হয়ে গেলো।
এখন শুখনো চোখে আর কাব্য ফুরিয়ে গেছে ঠোঁটের কোনে———
রাত্রির সংলাপ শুনলাম কত ঘাটের পানি খেয়েছে —
ওপের ওঠার স্বপ্ন বরাবরই ছিলো,
রাত্রির জীবনের জার্নিটা উল্টো পথে চলেছে।
আমি ওর দিকে যতবার তাকিয়েছি ততবার ওর চোখে গড়িয়ে জলপড়ছিলো ——
আমি ওর চোখে চোখে রেখে বললম কখনো ভেবে দেখিসনি অঝড় ধাড়ায় বৃষ্টিতে তাজা ফুল গুলো ঝড়ে যায়
তোর ঠোঁটে কাব্য খেলায় চুম্বন একেঁছে—-
তোর ঠোঁটেই হাজার মানুষ সাঁতার কেটেছে।
আর আমি খরকুটো দিয়ে ছোট্ট কুঠিরে বেঁধেছি ঘর।
আমরা মানুষ গুলো অনেক পুরনো হয়ে গেছি —-
কিন্তু প্রতিদিন নতুন ভোরের আশায় শক্ত করে বেঁধে রেখেছি ছোট্ট কোটির।
রাত্রির এই স্যাঁতস্যাঁতেভাব শরীরে পোড়া রোদ শুকায়।
আসলে কিছু কিছু রাত্রিরা নিজেরাই মনের অজান্তেই
নিজেদেরকে ব্ল্যাক বোর্ড বানায় ———–
ব্ল্যাক বোর্ডের একটাই শুভিধা ইচ্ছে মত কাটা কাটি কর
প্রয়োজনে ডাষ্টার দিয়ে মুছে ফেলো।
—————————————————–ব্ল্যাক বোর্ড
লাজু চৌধুরী –
9-11-2021