মুক্তি
সোনালী আদক
২৮/০২/২৩
মৃত্যুর আগে মানুষ পোড়ে? জীবন থাকতে মৃত্যু হয়?
প্রশ্ন উত্তরের বেড়াজালে, পাঁজর পোড়া গন্ধ বয়।
নিজে পুড়ি বেশ টের পাই, শরীরটা ধামা চাপা ছাই,
অনেক হলো ছুটোছুটি, ও বিধাতা মুক্তি চাই।
কাল ঘুমটায় বার্তা পাঠাই, সকালটা মোর কেড়ে নে,
চুপটি করে পরান পাখিটা, ঐ আকাশে উড়িয়ে দে।
ভোরের ডাকে সাড়া দিয়ে, বন্ধ চোখের পলক মেলি,
মনকে বলি মরিস নি রে, আর একটা দিন হাতে পেলি।
এমনি করেই কাটে বেলা, অপেক্ষার প্রহর গুণি,
আসবে নেমে আকাশ বাণী, দুকান পেতে শুধুই শুনি।
বলবে হেথা কাজ কী তোর? গোটা সকল দয়া মায়া,
পিছু ফিরে দেখবো সাথে,চলছে কেবল আপন ছায়া।
পাপী তাপী দেহ খানা, ধূলায় লুটে মিশে যাবে,
মায়া মমতা স্নেহ ভালবাসা,মিথ্যে ভাড়ে গড়াগড়ি খাবে।
দাও না প্রভু আমায় ছুটি, আমি বড়োই ক্লান্ত,
মায়ের কোলে ঘুমিয়ে নিশ্চিন্তে, জুড়িয়ে হৃদয় শ্রান্ত।
শোকে তাপে দোষারোপে, হৃদয় বেশ পরিপূর্ণ,
শক্ত গেঁটের গাঁটছড়াটাও,মুক্তি বেগে ছিন্ন।
নাড়ির টানটাও আলগা বেজায়,ভুলে রক্তের বন্যা,
অশ্রু ঝরে পাথর হয়ে,ব্যাথা চাপা বোবা কান্না।
রোজ মরি জীবন ভয়ে ,কোথা গেলে শান্তি পাই,
জীবনের শেষ দিনের মতো, এক্কেবারে মুক্তি চাই।