Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

তবুও আবার আসে
✍️ অভিজিৎ কর্মকার
তারিখ: ২১/০২/২০২৩
———
চোখে দূরবীণ, সুদূরে বিলীন পাহাড়
বৃষ্টি ভেজা মন, খোঁজে তখন
পৃথিবী যখন বইছে ভার ।
হয়তো জানি, অথচ মানি না কার ।
এমনই সময় যখন, সোজা করি দূরবীণ
থামে বৃষ্টি , নামে কুয়াশা সুদূরে উপত্যকায়
দেখি অস্তিত্ব আধা , দড়ি দিয়ে বাঁধা
কারও যে হয়নি স্বপ্ন-পূরণ।
ডানপিটে ছিলো কোনও এক ক্লাসে
প্রথম বা সারির শেষে।
বই হাতে একদিন, বয়সে তখন নবীন
শুনেছে সাম্যের গান , নকশী কাঁথার দেশে।
কোদাল-কাস্তে তুলেছে হাতে
যখন বাবার জ্বর, দুর্যোগ-ঘন রাতে ।
খুজেঁ পাওয়া বেশ, শেষ-সম্বল মায়ের খুঁটে
হয়তো ছোট্ট কয়েন, হটাৎ যেতো জুটে ।
সাথে বুনোফুল , পিঠে হাল্কা ব্যাগ
আর হাসি-মাখা মুখ, নিশ্চয় নির্ভুল ।
পাতা উল্টানো যখনই হলো শেষ
রইল কিছু না-গোনার , মস্ত চাঁদোয়া খানার
নীচে জমাট কালো ঝুল ।
গুগল তখন পড়ছে অবিরত
কি করে মিটাবে ক্ষত , জ্বালাবে হ্যারিকেন
ঝুল হবে সব সাফ।
নতুন আলো মিটাবে কালো
পিছনে ফেলে বৃক্ষের অনুতাপ।
বিবির্তন-ধারা লিখে গেলো কারা
পড়া হলোনা তো, শেষ হলো ধারাপাত ।
নেই কোনো মানা, সব কিছু জানা
তবুও আবার আসে, বৃষ্টি-বজ্রাঘাত ।
——

——————————————-
কবিতা: স্বার্থ ও পরার্থ
কলমে: তরুণ কুমার ভট্টাচার্য্য।
তারিখ: 21/02/2023

পৃথিবীটা যদি হতো এমন
সবাই স্বার্থপর!
কেউ হতো না কারোর আপন
সবাই সবার পর!
হতোই যদি বেইমান হয়ে
সব মায়েরই ছেলে
বড়ো হয়েই চলেই যেত
মা বাবাকে ফেলে!
বন্ধু বলেই কেউ যদি ভাই
থাকতো নাকো আর
সবাই সবার শত্রু হতো
হৃদয় বিষাধার!
ভালোবাসা বলেই যদি
থাকতো নাকো কিছু
হিংসা ঘৃণা স্বার্থ নিয়ে
ছুটতো সবাই পিছু!
বলো দেখি কেউ এই পৃথিবী
কে বা গড়তে চাই!
না যদি চাই তাহলে মিছে
হিংসা কেন ভাই?
স্বার্থশূন্য এমন জীবন
হয়তো সোজা নয়
বাঁচতে গেলে নিজের স্বার্থ
কিছু তো থাকতে হয়!
স্বার্থ কিছু থাকা ভালো
বৃহৎ স্বার্থ যেথা
পরের জন্য নিজের জীবন
এমন জীবন কোথা?
দেশের স্বার্থে জীবন দিয়ে
শহীদ যারা হলো
ধন্য এমন মায়ের ছেলে
আর কে আছে বলো!

——————————————–

শিরোনামঃ মাতৃভাষার ঋণ
কলমেঃ এস এম এইচ মুন্না
তারিখঃ ২১শে ফেব্রুয়ারি ২০২৩
•••••••••••••••••••••••••••••••••••

আমার মুখের বুলি, ঠাকুমার ঝুলি,
গাছের মগডালে বসা কাঠটুকরা বুলবুলি।
মাথায় লেজের রক্তমাখা পালকগুলি।
যেনো শিল্পী আঁকা রংতুলি।

মনে করিয়ে দেয় সবুজ মাঠের বুকে
রক্তাক্ত সুর্যের প্রতিচ্ছবি।
পুর্ব পুরুষের মুখের কথায় আহরণ,
মনের মাঝে দেয় শিহরণ।

আজো কেঁপে ওঠে বুক,
শুনে ঐ পাকিস্তানিদের চাবুক।
জর্জরিত করেছিল বাঙালির বুক।

মুখের ভাষা কেড়ে নিতে চেয়ে,
বাংলা ভাষার পরিবর্তে উর্দু দিয়ে।
পুর্ব পাকিস্তানকে জিম্মি করে
হাজারো বাঙালি জেলে ভরে।

রুখে দাড়ায় সেদিন শফিক রফিক
সালাম বরকত জব্বার,
বাংলাকে ফিরিয়ে আনতে আবার।
যোগদেয় কৃষক শ্রমিক দিনমজুর
ছাত্র শিক্ষক সর্বস্তরের জনতা,
হয়েছিল সেদিন সকলেই একতা।
খালি হয়েছিল কত শত মায়ের বুক খানি।
মুছে ফেলতে হিংস্র হায়েনার থাবার গ্লানি।

করতে পারেনি কভু বিনাশ
বিনিময়ে নিয়েছে নিষ্পাপ বাঙ্গালীর লাশ।
বুলেটের গুলিতে বাঙ্গালীর বুক ছিড়ে
তাজা রক্ত অজোরে ঝরে যায়
বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা পাওয়ার আশায়।
ফুলের পাপড়ি হয়ে পড়ে রুপ নেয়
লালাভা শিমুল কৃষ্ণচূড়া পলাশ।

বিনিময়ে ছিনিয়ে এনেছে ক খ অ আ
শোধরানো যাবেনা তা কোনো দিন।
তোমাদের আন্দোলনটি চিরকাল
চিরতরে থাকবে হৃদয়ে অমলিন।
অমর ২১শে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবসে
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার ঋণ।

© এস এম এইচ মুন্না || মাতৃভাষার ঋণ

——————————————
প্রাণের ভাষা
বিপুল পাল চৌধুরী
২১/০২/২০২৩
মা বলে শুরু কথা বলা
কালো স্লেটে কচি হাতে চক
হাত বুলিয়ে হাতেখড়ি অ আ,

গোলাপি রংটা হৃদয়ে আঁকা
বর্ণপরিচয় প্রথম, দ্বিতীয় ভাগ
গান – গল্প – উপন্যাস- ছড়া-কবিতা,

কবিগুরু-নজরুল-জীবনানন্দের ভাষায়
নদী – সাগর – মহাসাগরে আমাদের ভাসা,

অনুবাদে বাংলা লেখনীর বিশ্বময় বিস্তৃতি
২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক ভাষা দিবসের স্বীকৃতি ।

——————————————–
ওদের বলিদানে
ভোলা নাথ রায়
২১-০২-২০২৩
—————

প্রথম শ্রেণীতে ছিল যেই পাঁচ
ভাষার জন্য শহীদ হয়েছে
অমর হয়েছে আজ।

ছিল সেই পাঁচ
জব্বার সফিক সালাম বরকত রফিক
পাকিস্তানের পোষা কুকুরে
বুলেটে দিয়েছে প্রান
ওরা রেখেছে বাংলা ভাষার মান।

ওরা বাংলা মাকে মানে
বাংলার লাগি রক্ত ঝরিয়ে
আঘাত হানতে জানে ।

সেদিন হেনেছে আঘাত
ঢাকার ঐ রাজ পথে
বুলেটের মাঝে বুক চিতিয়ে
দিয়েছে বীরের সাথে।

মাটিতে লুটিয়ে নিথর দেহ
বুঝিয়েছিল মানে
আমার ভাষা বাংলা ভাষা
এই ভাষারই টানে।

ওরা বাংলা মায়ের সন্তান
ওরা রক্ত ঝরাতে জানে
বাংলা ভাষার স্বীকৃতি আজ
ওদের বলিদানে।

——————————————–

* খিদের সহজ ভাষা *

ওরা বোঝে না ভাষা দিবস,শহীদ মিনার
ওরা বোঝে না শতদল,জানে না প্রথা শ্রদ্ধাঞ্জলি দেবার
ওদের শিশুকাল কাটে ছেঁড়া-রুটি; ভিক্ষার ঝুলিতে অনাহার,
পাঁজরে নিশান,জঠরে অনাহূত মেঘের আঁধার-
ওরা বোঝে না উৎসব-রোশনাই; বিদ্বজ্জন সমাহার
ওরা বোঝে খিদের সহজ ভাষা; আঁস্তাকুড়ে নগ্ন একাকার!

🖊 মহেশ্বর গায়েন

#আন্তর্জাতিকমাতৃভাষাদিবস#❤❤

Powered by themekiller.com