সার্বজনীন..
অনমিত্র
এত কেনো কাছে এলে বলো,
ক্ষীর নদী পেরিয়েছো..অথচ শরীর ঘিরে
বালি মাখামাখি হয়ে,
বেশ অশরীরী,
ও টুকুই বস্ত্র করেছো,
শরীরের দ্বিগুণ বসন্ত নিয়ে, বালিকার মতন,
এ তো নয় নন্দা,ভদ্রা,জয়া কিম্বা অষ্টমী তিথি
সব ভুলে তবে কেনো হঠাৎ অতিথি..?
কত কথা সাতাশ বছর ধরে আজ-ও ফুরোলো না..
ফুরোবে না,আরো জানি সহস্র বছর..
চোখের পাথর সরে গেলে,
অশ্রু ঝরে,
আঙুল ছুঁলে সিক্ত হয় দেহ,
নির্বাপিত হয় না কখনো,
তবু, সেটুকুও নয়,
যখনই এসেছো কাছে ভুলেছি সময়,
আটপৌরে দূপুরেও কেটেছে সময়
কত বৈশাখে,আলস্যে, যখনই ছুঁয়েছো, লহমায় নির্বোধ পুরুষ হয়েছি,
তোমাকে চেয়েছি আমি, আরো কাছে চেয়েছে সময়..
বুঝেছি বারংবার তুমি কারো নও,
তবু তো কপট ঠোঁট, খুঁজে মরে
তৃষিত প্রহর,
আমি জানি,
কবিরাও জানে,
তাই
নির্বাচিত কবিতার মতো
সজ্ঞানে পাতা ওল্টাই..
সার্বজনীন তুমি, তুমি নিরুপায়…