একবুক
——–
যখনই ভাসিয়েছো মেঘ, দূরে পাহাড়ের চূড়া
চাতক পাখির মতো বসে…, একবুক আশা..……
মেঘও ক্রমায়াত ক্ষণ মেপে ঠিক গলে জল হয়…,
অবশেষে মিটে যাবে বুঝি তার অনন্ত পিয়াসা……
——————————————–
জাল, কবিতা, 02/02/2023
সবাই কথা বলছে
একইভাবে কথা বলা
একই রঙ বাতাসে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে
একই সুর
একই রঙ এবং স্বরে
মুখোমুখি দাঁড়িয়ে মানুষ
পুনরাবৃত্তি
একই জিনিস
পৃথিবীর আকাশ মাঝখানে
বিণ
বুদবুদের জাল I
©Suvayan Dey
——————————————–
ভালোবাসতেই পারি
প্রদীপ আচার্য্য
ভালোবাসতেই পারি •••
যদি খোলা হাওয়ায় এসে দাঁড়াও;
নীল আকাশ থাকবে মাথার উপর;
রাতের আঁধারে ঝিকমিক করবে হাজারো নক্ষত্র;
ঝোপের আড়ালে জ্বলে উঠবে জোনাকির আলো;
নিস্তব্ধতা ভেঙে যাবে রাতজাগা পাখির ডানায়;
তুমি হলুদ শাড়ি পড়বে চুলে জড়িয়ে নেবে রজনীগন্ধা;
জুঁই এর সুবাস মেখে নেবে সারা গায়ে;
তোমার কাজল কালো চোখ আর কমলা ঠোঁটের ফাঁকে;
অনেক না বলা কথা লুকিয়ে থাকবে!
অথবা;
অনিঃশেষ পথে;
ছুঁয়ে আসবো দিগন্ত রেখা;
চড়াই উৎরাই বেয়ে ঘুরে বেড়াবো নন্দনের বনে ;
ক্লান্ত হলে বিশ্রাম নেব গুলমোহরের ছায়ায় ;
তুমি ঝরণাস্নাত হয়ে খোলা চুলে এসে দাঁড়াবে;
রোদ পিছলে যাবে তোমার পিঠ বেয়ে;
তোমার মোহিনী মায়ার আকর্ষণে;
আমি অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকবো নির্নিমেষ!
অথবা
আদিগন্ত নীল ঊর্মিমালার মাঝে ;
যখন সূর্যাস্ত দেখবো সন্ধ্যার আলো আঁধারিতে;
তোমার ময়ুরপঙ্খী নৌকা এসে ভিড়বে তীরে;
দিনের শেষ আলোর বিন্দু
সোনার টিপ এঁকে দেবে তোমার কপালে;
রাজকীয় মহিমায় তোমাকে বরণ করে নেবে আমি!
যেভাবেই আসো না কেন;
তোমাকে নিজের মতো করে ভালোবেসে যাবো আমি।
——————————————–
মানুষ কাকে বলে
সারমিন জাহান মিতু
মুছে গেছে ধুপকাঠির কুয়াশা – -খামখা পৌষের হিম শয্যা বিছিয়ে জীবন বড়ো একা,
কেউ কেউ স্বপ্ন বুনছে নতুন বসন্তের প্রথম আলোকে ছুঁয়ে দেবার – কেউ কেউ প্রভাত ফেরীতে ভুলে যাওয়া নামের মলিন স্মৃতি স্মরণে বেঁচে তো আছি ভাবনায়।
কি পেলাম জীবন ছকে – রোজ বড়ো বাড়াবাড়ি,
শৈশবের লেপটে যাওয়া কাজলে- যে স্বপ্ন সুতায় বাঁধা ছিলো – সে আজ নতজানু দেহে একটু একটু হাঁটে – জীবন বড়ো ক্লান্ত।
প্রাপ্তির খাতাটি শূন্য যোগফল – আরও চাই নিত্য প্রতিধ্বনি বেজে ওঠে গির্জা, মসজিদ – মন্দিরে,
মানুষ কাকে বলে ব্যাখ্যাটি বাতিল খাতায় পরে থাক- যদি স্বপ্ন না থাকে কোন মনে।
আমি আসলে জীবনের কথা বলতে পারিনি- যেভাবে দুঃখের কথা গুলো বলেছি,
জীবনে সুখের সংজ্ঞা নিবেদনে চাই – আরও চাই – বলতে এসে থেমে গেছি – আমার কন্ঠরুদ্ধ – আওয়াজ টুকু শুনতে পাওনি তুমি।
আমিও আমার মনের ভেতর মন রেখেছি কারাদণ্ড দিয়ে – বিশ্বাস করো আমি মসজিদ, মন্দির অথবা গির্জার পাথুরে চৌকাঠ পেরিয়ে – তোমার কাছে চাইতে পারিনি,
যা আমার প্রাপ্তির হিসেব খাতা ভরাট করে।
তুমি আমাকে দিয়েছিলে ঢের সুন্দর জীবন – কিন্তু আমি দুঃখ বলে ফিরিয়ে দিলাম – বসন্তের ফুল সহ্য হয়না আমার ,
নিতেই পারো যতটুকু তোমার দেবার ছিলো ফিরিয়ে – আমার কিচ্ছু চাই না – কারণ মানুষ কাকে বলে আজও জানা হয়নি আমার।
——————————————–
নরকের সন্ধানে
– সাইদুল ইসলাম (ধ্রুব★তারা)
চন্দ্রাবতী তুমি’ত আমাকে ছাড়া বেশ আছো!
অন্তর্দাহ ব্যথা বুকে নিয়ে, জীর্ণ , শীর্ণ,
দাঁড়িয়ে আছি নিস্তেজ দরিয়ার পাশে!
কাতর কণ্ঠে মায়া বড়া চোখে তরঙ্গিণী সু ধায়?
বিরহের অনল বুকে নিয়ে, “আহ”!
তীব্র আহাজারি করো তুমি,
চোখে ঈষৎ জল কথায়?
আমি রহিলাম নিস্তব্ধ কি কহিমু হেথায়!
ভাঙ্গা হৃদয় ভরা কান্ত মন নিয়ে সেথায়
অন্বেষণ করি নরকের রাজা কে,
বলি হায় মশাই প্রাসাদে আমাকে কিঞ্চিৎ
দাওনা সম ঠাঁই ।
আমি যে পাগল প্রেমিক কলিজা পুরা মনুষ্য মলিন,
কি হবে এই জগতে থেকে মোরে বাতাওনা ভ্রাতা!?
জগত এই সংসারে প্রেম বিদ্বেষী
মনুষ্য মানব মোর প্রেমকে জবাই করেছে,
চুষে নিয়েছে বধন থেকে মেরে রক্ত!
মোরে দাও গো মশাই একটু নরকে ঠাঁই।
বয়ে চলা রক্তের গাঢ় লাল ওই নরক
সমুদ্রের তলদেশে, গড়ে তুলবো আপন হাতে
কাড়ার জিঞ্জির!
প্রেম বিদ্বেষী মনুষ্যত্ব মানবের জন্য,
চন্দ্রাবতি আমি এখন নরকের
সন্ধানে!!
উৎসর্গ,, সুহা’কে,
রচনা,, ১৩/০৩/২০২২-
কিশোরগঞ্জ ধনু নদীতে ভ্রমণ সময়,,
——————————————–
প্রার্থনা
গোলাম মোস্তফা
&&&&&&&&&&
কষ্টটা থাকুক বুকে আর মনে
থাক শরীরে ব্যথা
সবাই জানুক সুস্থ আমি
শুনুক সবাই মিষ্টি মিষ্টি কথা।
বিরহ থাকুক, অভিমান থাকুক
নিরবে নিভৃতে
কাজটা যেন করতে পারি
স্বার্থহীন, পরের হিতে।
দামী কাজ না ও পাই
কাজটি যতই ছোট হোক
যত্ন নিয়ে করতে পারলে
উপকৃত হবে অনেক লোক।
সুস্থতা দিও রহমান
অযুত রহমত তোমার
দানের হাত রেখ জারি
তোমার দয়ার নেই শুমার।
দিন যাপনের বৃত্ত টুকু
হচ্ছে যতই বড়
দিন যাপনের আলসেমিতে
শরীর ততোই হচ্ছে জড়।
কর্মের মাঝেই রেখ প্রভু
কর্মের মাঝেই থাকি
কর্মের মাঝেই হোক অবসান
জীবনটা মুল্যবান নাকি ফাঁকি।।
——————————————–
Banglarmukhnews24.com এর পক্ষ থেকে সকল বিজয়ী কবিদের অভিনন্দন