Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

[{ গুরু }] [ আগন্তুক🕊️ ]

গুরু বলতে কালের স্রোত,জ্ঞান সঞ্চারক।
গুরু বলতে অসীম হৃদয়,উড়ানের ধারক।
গুরু বলতে আমার ভ্রূণের রক্ষক যেজন।
গুরু বলতে অসার দেহের বিশ্বভ্রমণ !

গুরু আমার মাতাপিতা যাদের তুলনা নাই।
গুরু আমার বসুমাতা যার বুকেতে ঠাই !

গুরু আমার সর্ব দিশা,গ্রহ নক্ষত্র তারা ।
যাদের পরশ বিহীন আমি সদা সর্বহারা !

গুরু আমার ইন্দ্রিয়রা অনুভবের দ্বারে !
শত্রু মিত্র সবাই গুরু,শ্বাস বায়ুর সেতারে!

গুরু আমার বাঁশের বাঁশি,আমার হাতের লাঠি !
গুরু আমার সর্বশিক্ষক,জীবন গড়ার সাথী।

গুরু বলতে জীবন মৃত্যুর,পথের দিশারী
গুরু বলতে সাধক প্রাপ্ত,শক্তির সঞ্চারী !
গুরু বলতে আর কিছুনা গুরু কেবলই গুরু !
জড় জৈব প্রতি প্রাণের স্পন্দনের শুরু !

——————————–_———–

দু-ধারা দু-জন
আবদুল কুদ্দুস বেপারী
১।২।২০২৩

দিনের আলো মনের মাঝে
রাতের আলো বনে,
আপন পথের সন্ধি স্বজন
সাহস দেয় মনে।

নিত্য দিনের সঙ্গী সবার
দু-ই ধারা দু-জন,
ভাল মন্দ লেখেন সবই
যে যা করছে যখন।

পাসপোর্ট ভিসার সাথে যাবে
দিবা রাত্রের সব কথন,
হিসাব কালে ছাড় পাবেনা কেহ
আগ বাগে কর তা স্মরণ।

জীবন ভিসার নাইরে বিশ্বাস
যম রাজা সন্নিকট,
মন্দ লোকের পক্ষে কার
চলবেনা আর দাপট।

——————————————-
কবিতা
“ভাটিয়ালী ”
কলমে -মীনাক্ষী বন্দ্যোপাধ্যায়
31/1/2023
**************
মাতলা নদীর মাতাল স্রোতে
হাওয়ার সাথে ভেসে,
চল না সখী হারিয়ে যাবো
অচিন নিরুদ্দেশে।
থাকবে শুধু ভাটিয়ালি
মাঝ দরীয়ার গান,
সেই সুরেতে উদাস হবে
মোদের এ মন প্রান।
উজান স্রোতে যাবে ভেসে
মোদের ছোট্টো নাও,
যাবে যদি সঙ্গে এসো
যদি যেতে চাও।
দরাজ গলায় ভাটিয়ালি
বড্ড মধুর লাগে,
মিষ্টি সুরের মুর্ছনাতে
প্রাণে শিহর জাগে।
তুলেছে পাল ধরেছে হাল
শক্ত মুঠি তার,
উঠছে গলায় মধুর টানে
সুরের সে ঝংকার!
মধুর সুরে মাঝ দরীয়ায় ধরলো মাঝি তান,
আমার মাটির গন্ধ মাখা ভাটিয়ালি গান।।।

——————————————–
. ঐ ডাকছে আমায় …
বনানী সিনহা
***********************************
ঐ ডাকছে আমায় মধুমাখা সোনার গ্রামখানি
সাড়া দিতেই হৃদয়ে তা করে নিল জানাজানি।
মাটির গন্ধ মাটির মানুষ আছে পথো-চেয়ে
মন বলছে চলরে যাই ঝড়ের মতো ধেয়ে।

নদীর জল টানছে আমায় ভিজিয়ে দিতে গা
বলো না মাগো, উঠরে এবার আর ভিজিস না।
ফসলী মাঠ ডেকেছে বলেই শাক তুলতে যাবো
আয়রে সবে শেঁনচি কলমি নিশ্চয়ই খুঁজে পাবো।

ভুতের ভয়ে ভর দুপুরে একলা যাবো না
অন্য রূপে আসতে পারে ভুত পেত্নীর মা।
আম জাম তেঁতুল বড়ই পাক ধরেছে বুঝি
হারিয়ে যাবো এবারও,তাইতো সঙ্গী খুঁজি।

মিলবো সবাই নতুন করে বটগাছটির তলে
ভাসাবো নাও,বয়ে যাওয়া কুমার নদীর জলে।
মাছ ধরতে বরাবরই ছিলাম ভীষণ কাঁচা
খেলাধুলায় ছিলাম পাকা এই কথাটি হাঁছা।

দলের সাথী হতে চায়, বায়না ছিল ওদের
এক দৌড়ে জিতে যাবো বুঝতো সবাই ঢের।
চলরে এবার চাল,ডাল,নুন,চুরি করে নিয়ে
আরও একবার চরইভাতি করি জমিয়ে।

স্কুলের মায়ার ডাক আজও দিয়ে যায় সাড়া
বেতের ভয়ে পড়তেই হবে ছিল বেদম তাড়া।
পরীক্ষা শেষ হতে না হতেই কতই ফন্দি আঁটি
ছেলেবেলার সব স্মৃতিই সোনার চেয়ে খাঁটি।

স্মৃতির রোমন্থন কতই শান্তি হয়না কখনো শেষ
এ অন্তর আকুতি প্রভুর চরণে রাখি এখন বেশ।
কবে যাবো? কবে যাবো? সইছে না আর তড়
বাংলা আমার মাতৃভূমি বাংলাই প্রাণের ঘর।
********************
রচিত-২৪শে জানুয়ারী ২০২৩ নিউইয়র্ক যুক্তরাষ্ট্র।

——————————————–

মঙ্গলবার ৩১.০১.২০২৩
বৃদ্ধাশ্রম
আশিক -ই-ইলাহী

বৃদ্ধকালে মানুষ একান্ত অসহায়।
নিদানকালে সে বেঁচে আছে কিনা
মরে গেছে নিজেই কিছু বুঝতে পারে
না। কাউকে কিছু জানাতেও পারে না।
আই সি ইউ তে যাদের নাকে নল ঢুকিয়ে
লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়, তারা জীবন
মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। ভাগ্যবান যারা, যাদের
সঙ্গতিসম্পন্ন নিকটাত্মীয় কাছে থাকে,
প্রয়োজন মুহূর্তে দফায় দফায় খরচ
করতে পারে, মুমূর্ষুর কপালে সেবার
হাত বুলিয়ে দিতে পারে, তাদের কথা বাদ।

যাদের কেউ নেই, বিছানায় বেঘোরে
পড়ে থাকলেও যাদের দেখার কেউ নেই,
অভূক্ত নিঃসার অবস্থায়ও যাদের মুখে
হাতে তুলে দুমুঠো খাবার দেওয়ার মতো
কেউ নেই, তাদের জন্য আল্লাহই ভরসা।

এমন অনেক উপযুক্ত সন্তান আছে যারা
সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও মা-বাবার খোঁজ খবর
রাখে না। অফিস কামাই হবে বলে, ব্যবসায় লস হবে বলে মুমূর্ষু বাবা মাকে
দেখতেও আসে না। সেবাযত্ন দূরে থাক,
অনেকে পরিচয়টি পর্যন্ত দিতে রাজি না।

অযথা তাদের দোষারোপ করে লাভ নেই।
নিন্দা জানিয়ে তাদের কাছ থেকে অতি
প্রয়োজনীয় সেবা আদায় করা যাবে না।
আসুন সবাই মিলে অসহায় বৃদ্ধদের কল্যাণে বৃদ্ধাশ্রম গড়ে তুলি। বৃদ্ধদের
পরকালযাত্রা মসৃণ ও সুগম করি। মনে
রাখবেন প্রত্যেকেই একদিন বৃদ্ধ হবেন।
যে কেউ কোন না কোন ভাবে অসহায়
হয়ে যেতে পারেন। আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম লাশ সৎকারে এগিয়ে আসবে। কিন্তু লাশ হওয়ার পূর্ববর্তী নিদানকালটুকু
পার করার জন্য কেউ পাশে নাও থাকতে পারে। তাই আসুন, চেষ্টা করে বৃদ্ধাশ্রম গড়ি। নিঃস্বদের নিদান নির্ঝঞ্ঝাট করি।

——————————————–
মানুষ “পাথর” হওয়ার গল্প।
✍️রাকিব আল হাসান ✍️

তুমি প্রায়শই বলতে –
তুমি জাদুবিদ্যায় পারদর্শী;
মানুষকে এক নিমিষেই পাথর বানিয়ে দিতে পারো!
একদিন আমার খুব করে ইচ্ছে হলো, আমি তোমার আশ্চর্য প্রতিভার প্রত্যক্ষদর্শী হব;
তাই তোমাকে সবিনয় অনুরোধ করি- আমি তোমার আশ্চর্য প্রতিভা দেখতে চাই।
তখনই তুমি, আমার ইচ্ছেতে কিছু শর্ত জুড়ে দিলে;
তোমাকে ভালোবাসতে হবে সবটুকু উজাড় করে।

ভালোবাসতে হবে,
মাটি ও মানুষের মতো করে,
সাগর ও জলের মতো করে,
মেঘ ও আকাশের মতো করে,
সরল ও সরলা’র মতো করে,
ভালোবেসে দিতে হবে এক অনিন্দ্য প্রেমের সমাহার।

তখন ভীষণ কৌতুহলে তোমাকে জিজ্ঞেস করি__ তোমাকে ভালোবাসতেই হবে, এমন কারণ কী আছে?
সদা হাস্যোজ্জ্বল তুমি, জবাবে,__ আমাকে অবাক করে দিলে।
জাদু দেখার স্বার্থে, জাদুপারদর্শীকে ভালোবাসা নিতান্তই আবশ্যিক।
শর্তসাপেক্ষে আমিও ভালোবাসলাম;
মাটি ও মানুষের মতো করে,
সাগর ও জলের মতো করে,
মেঘ ও আকাশের মতো করে,
সরল ও সরলা’র মতো করে,
ভালোবেসে তোমাকে দিলাম, অনিন্দ্য প্রেমের সমাহার।

অতঃপর, আমার আষ্টেপিষ্টে জড়িয়ে থাকা তুমি, সযতনে নিজেকে ছাড়িয়ে উধাও!
সেই থেকেই আপন কৌতুহলে, তোমার মন্ত্রহীন জাদুর বদৌলতে, আমি নিজেই পাথর! আমি নিজেই পাথর!

৩১\১\২০২৩ ইং

——————————————-
বাংলারমুখনিউজ২৪.কম এর পক্ষ থেকে সকল কবিদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

Powered by themekiller.com