Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

বিদায়
এস কে বিশ্বাস
তারিখ ২৯-০১-২০২৩

আসা যাওয়া পোশাক হীনে
রঙিন পোশাক মাঝে,
অট্টালিকা বাড়ি গাড়ি
এক শোরগোল বাজে।

স্বজন প্রীতি গড়তে মোরা
মান অভিমান আঁকি,
সবকিছুই যে থাকবে পড়ে
স্বপ্ন দিবে ফাঁকি।

স্বপ্ন আঁকে হৃদে সবার
গড়তে নতুন ভুবন,
অহংকারে চুরমার করে
নিয়ে আসে পতন।

ভুবন মাঝে রঙ্গ খেলায়
উৎসব নেশায় মাতি,
মাদক সেবন জুয়াচুরি
ঘটায় তখন রাতি।

ফ্রেম বাঁধনে সুখের স্মৃতি
বিদায় নিবো ধরায়,
সকল খেলায় প্রভুর অংশ
ক্ষমাতেই জল ঝরায়।

——————————–_———–
চকমকির আলো
শ্রী আশীষ মুখোপাধ্যায়
৩০-০১-২৩

দিন কালের অসংযমী চলমানতায়
অসংখ্য মাত্রায় অবাঞ্ছিত প্রত্যাশা ভিড় করে আসে,
সন্দেহের চক্রব্যুহে ঢুকে যায় বেনোজল স্রোতে অবাধে,
আসন্ন আগমনীর অনুতাপে বিমর্ষ তাকায়।
অনুবাদী হয়ে ওঠে বোধ
দূর্বোধ্য জটিল অঙ্ক মুখ্য হয়ে ওঠে
কাটা ছেঁড়া করতে করতে ডাস্টবিনে ভর্তি উত্তর না মেলা পন্ডশ্রমী কাগজের স্তুপ,
অবশেষে মৌখিক সমাধান ( ধান মানতে কুলো মাসি) দায়সারা,
ধার করে আনা নকল উত্তর কিংবা অন্য কারো নমুনা দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
মানুষের মধ্যে মানুষ কেন যেন অকারণে স্তরীভূত,
স্বার্থের অলক্ষ্য প্রান্তরে বপন বিষবৃক্ষের চারা,
মানবতার শিরা উপশিরা পচন ধরে
ছিঁড়ে যায় অমোঘ কৌশলে।
আমরা এখন কেউ পোক্ত অবস্হানে নেই
শরীর মগজ বোধের অচিন্ত্য ব্যবধানে,‌
বিদ্বজনের সম্মেলনে ও প্রাপ্তি লেপা তোষনবাদীতা,
সামনে জৌলুষী বাহারি সনদপত্র।
আপাতত রসনা তৃপ্তির আনন্দে ঢোঁক গিলে।
সবাই জ্ঞান পাপী
জেনেশুনে পথভ্রষ্ট,
মতিভ্রম হলেও তো থামার ইচ্ছে নেই, জো নেই,
রক্ত চাপে বেড়ে উঠে পদ প্রত্যাশীর অকিঞ্চন
জনান্তিকে মনস্কতার সৎকার করে নীরস হাসায়
নিস্কৃতির চকমকি আলো——

——————————————–

চোর

ডাক্তার দেবাশীষ দাশ গুপ্ত
৩০/০১/২০২৩

চোর কে? যে না জানিয়ে জিনিস সরিয়ে ফেলে,
কারণে অকারণে অজস্র মিথ্যে কথা বলে।
হোক সেটা প্রয়োজন বা প্রয়োজন ব্যতিরেকে,
দু-চারটে কাজ করতে করতে অভ্যাস গড়ে একে একে।
আমি চোরঃ-
চুরি করে বাসি খাবার খাই,সমস্যা বউ খেয়ে অসুস্থ হলে,
কাঁটার মাছটা আমিই খাই,মেয়ে পেটি খাবে বলে।
আমি মিথ্যেবাদি নিজের ঔষধ না এনে মা এর ঔষধ আনি,
জিজ্ঞেসিলে মিথ্যে বলি, ডাক্তার দিয়েছেন বারণ আমি কি জানি?
আমি অবাধ্য ডাক্তারের দেয়া টেষ্ট না করে করেছি নির্দেশ অমান্য,
বড় বাবুটাকে ভর্তি করাবো,এর চেয়ে টেষ্ট করানো নয় কি জঘন্য?
অবাধ্য হয়ে পুজোয় নেইনি পাঞ্জাবি,
বাবুদের দু’জোড়া জুতো দিবো দেখবো মন ভরে ওদের সাহেবী।
আমি কথা খেলাপি কথা করি নড়চড়,
চিকিৎসার জন্য পাসপোর্ট না করিয়ে ঠিক করিয়েছি বাড়ি ঘর।
আমার মনটা অনেক নিচু,
দামী গিফট কিনতে হবে এড়িয়ে ওভার টাইমে সময় দিয়েছি কিছু।
আমি হতে চাইনা ভালো,
দেহে আছে প্রাণ যতক্ষণ সন্তানের জন্য খেটে যাবো অহরহ।
আমার মধ্যে নেই ভালোবাসা ছিটেফোঁটা,
না হলে কি এড়িয়ে যাই না দিয়ে ভাই ফোঁটা।
দায়িত্বভার বইতে অক্ষম তবুও দায়িত্ব নেই কাঁধে,
দায়িত্ববোধ খোঁচায় মাথায় নইলে মানসিকতায় বাঁধে।
কি গো তুমি হবেনা মানুষ? বুদ্ধি বিবেচনা কিছু নেই,
ছেলেপুলের এত সমস্যা কনার মায়ের শ্রাদ্ধে কিভাবে অর্থ কড়ি দেই।
দুধ টুকু খেয়ে নাও,চোখে নাকি দেখো আধার?
ওরে বাবা সেতো হাই প্রেসারের সমস্যা, রেখে দাও ওবেলা চা খাবে আবার।
দুপুরে আজ হয়নি খাওয়া পেট চু চু করে,খেয়ে নেই গ্রীল আর নান,
ও বাবা রাতে যে নিতেই হবে ম্যাগীর প্রডাক্ট চেয়েছে ছোট জান।
আমি বলেই সব সহ্য করে করছি তোমার সংসার,
অন্য কেউ বউ হলে কবেই ছাড়তো ঘর।
একথা তো প্রতি ঘরে ঘরে,স্বচ্ছল বউরাও বলে,
শুনতে হবে একথা যারা সংসার চালাই চলি নানান ছলেবলে।
কাকডাকা ভোর থেকে মধ্যরাত খেটেও হলাম চোর,
নিজের স্বাধ কে গলা টিপে দিয়ে,ভালোর প্রচেষ্টায় রাতভোর।

——————————————–
পাপ
মোঃ হোসেন আলী
তাং-৩০/১/২৩ইং

মনে মনে ভাবি এখন
আমরা করি পণ,
দেশের জন্য দশের জন্য
উদার হবে মন।

সুন্দর করে জীবন গড়বো
করবো ভালো কাজ,
পাড়া পড়শী বলবে ভালো
নাই রে তাতে লাজ।

সঙ্গ দোষে জীবন নষ্ট
বাড়বে শুধু দুখ,
খারাপ সঙ্গ ছাড়তে পারলে
পাইবে খুঁজে সুখ।

ভালো চিন্তা থাকলে মনে
কর্ম ভালো হয়,
মনটা যদি ভেজাল থাকে
হবে জীবন ক্ষয়।

মরণ হবে রাখি স্মরণ
আড়াল করি পাপ,
জাহান্নামের ভয় থাকিলে
কেউ দেবে না শাপ।

——————————————–
খোকার ঘুড়ি

সাগর আহমেদ

উড়ছে দেখো খোকার ঘুড়ি
মেঘলা আকাশে,
উথাল,পাতাল, মাতাল করা
বাউয়ি বাতাসে।

ঘুরছে নাটাই, ছুটছে খোকা
নাটাই নিয়ে হাতে,
পথ পেরিয়ে, মাঠ পেরিয়ে
কিযে নেশা তাতে।

রং ঝলমল ঘুড়ি যে এক
লেজ নাড়িয়ে ভাসে,
আকাশ, বাতাস সঙ্গী করে
মুক্ত অভিলাষে ।

খোকাও ওড়ে মনে মনে
ঐ ঘুড়িটার সাথে ,
আকাশটাকে জয় করতে
দারুন খেলায় মাতে ।

——————————————–

ভ্রান্ত পথে
মোঃ সেলিম হোসেন

সত্য ন্যায়ের পথিক যারা
সঠিক পথে চলতে চায়,
দেখরে তারা লোকের ত্রুটি
মনে ভীষণ কষ্ট পায়।

তখন ত্রুটি দূর করিতে
সঠিক পথের কথা কয়,
তাই শুনিয়া দুষ্ট মতি
ন্যায়ের প্রতি রুষ্ট হয়।

দুষ্ট মতি ভণ্ড অতি
মুখোশ পরে চলে পথ,
সত্য ন্যায়ের ধার ধারে না
যেমন খুশি চালায় রথ।

নিজে দোষী তাইতো পরের
দোষ খুঁজে না ধরার পর,
মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে এরা
বোঝাই করে আপন ঘর।

অসৎ ধরে অসৎ এর হাত
অবলীলায় এক সাথে,
ভণ্ড পীরে সেই সুযোগে
জট বাঁধায় সে নিজ মাথে।

——————————————–
সকল বিজয়ী কবিদের বাংলারমুখনিউজ২৪.কম পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

Powered by themekiller.com